স্বাধীনভাবে চলেন চার বৃদ্ধা
নাবিউর রহমান পিপলু। ।
ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলছে তাদের জীবন। ছেলে সন্তান থাকলেও নিজের স্বাধীনতা রয়েছে এই ভিক্ষা জীবনে। গালমন্দ খেলেও শান্তিতে রয়েছেন। ছেলে সন্তান বা ছেলে বউদের কটু কথা শুনতে হয়না। গায়ে গতরে শক্তি নাই তাই অন্যের বাড়িতে কাজ করতে পারেননা। সেখানেও নির্যাতন হয়। তাই ভিক্ষাবৃত্তি ভাল নয় জেনেও শুধু স্বাধীনভাবে চলতে পারেন বলেই একাজ করছেন। ভিক্ষাবৃত্তি শেষে ট্রেনের অপেক্ষায় নাটোর স্টেশনের ওভারব্রীজের ওপর বসে দিনভর পাওয়া ভিক্ষার টাকার পরিমান গুনছিলেন। জিজ্ঞাসা করতেই একজন বললেন বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) তার আয় দুশ টাকা কম হয়েছে। একজন হাজারের ওপর আয় করেছেন। ওদের তিনজনের বাড়ি নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর। একজনের বাড়ি বিরকুৎসা স্টেশন এলাকায়। উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে নাটোরে এসে ভিক্ষার কাজে লেগে পড়েন। প্রতিদিন একই রুটিন।ছেলে সন্তান রয়েছে প্রত্যেকের তবুও কেন ভিক্ষা করেন বললে ,উত্তরে জানালেন এতে নিজের স্বাধীনতা রয়েছে। কাজটা ভালনা জানেন তবুও করেন,কারন কাউকেই জবাবদিহি করতে হয়না।স্বাধীনভাবে চলতে পারেন। ভিক্ষাবৃত্তি করলেও প্রতিদিনের খাবার সঙ্গে বেধে নিয়ে আসেন। তাই ওভার ব্রীজে বসেই খাওয়া দাওয়া সেরে ভিক্ষার টাকা গুনতে বসেছেন। আমার উপস্থিতি ওদের কাছে বিব্রতকর বুঝতে পেরে বিদায় নিয়ে চলে আসি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য