logo
news image

অপরূপ চোখ তার

(সুরমা কন্যাকে নিবেদিত)
এম আর আলম ঝন্টু।  ।  
এক উদাসী বাতাস উড়িয়ে নেয় অবিন্যস্ত চুল!
মনে হল কেউ তাকে এলোমেলো
করে যায়। কেউ তার হৃদয় ছুঁয়ে দেখে সাগরের
গভীরতায় অতলান্ত চোখ তার।
ডুব সাতারে আরও বেশি অতলে একেবারে নৈশব্দের
কাছে একরাশ মায়াবী আহবান, ছুটে চলা।

স্নিগ্ধতায় সপ্রতিভ ছায়া। মনে হয় দেখেছি কোনোখানে!
দেখেছি কুশিয়ারায়, সুরমায় কিংবা মোহনায়।
মিশে গেছো খাশিয়া গাঁ, অথবা চায়ের কাপে চুমুক
দিতে গিয়ে কুলিপাড়ায়। দেখেছি জিন্দাবাজারে
নয়তো সাগরদিঘীর পাড়ে। অনুভবে আসেনা এসব।

রোকেয়ার সমূখে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা তারুণ্য, অবলীলায়
যে দুঃসাহসিক হয়ে উঠেনি। তবে তাকে তুমি চিনতে
পারোনি আজও। শতধা ধারাপাতে অপলাপ ভেবে যাকে
তুমি ঠেলে দিয়েছিলে শতদলে। সেই আমিইতো আজ
পুনর্বার খুঁজে পাই সুরমার ঢেউ তেপান্তর দূরে। প্রান্তদেশে
বহুদূরে ভিনগ্রহে। তুমি কী অপ্সরী নাকি বিভূঁইবাসী?
তুমি তাকে চিনতে পারোনি আজও!

শত বা শতাধিক আকাশযান প্রতিদিন ভীর করে তার
স্বপ্ন চেতনায়। এভাবেই ব্যস্ততার দেওয়াল দাঁড় হয়
সাবওয়ে আর মেট্রোরেলে, সেই ধারাপাতে মুহূর্ত কালে
তার কলম ঝরায় কাব্যকথন ততোধিক কবিতা।

আমি মুগ্ধ হই, আর এতেই খুঁজে পাই তাকে,
সুরমা কুশিয়ারার বিমূর্ত মানবী একজন সুদর্শনা নবনীতা।
তোমাকে খুঁজেছি আমি চিরকাল। চেয়েছি ছুঁয়ে দেখি
স্পর্শ অলীক, অধরা তুমি তাই। এই তোমাকেই খুঁজে পাবো
ভাবি আপন নিলয়ে। স্বপ্নকন্যা সে মিলিয়ে যায়
দিগন্ত নীলিমায়। তবু খুঁজে ফিরি ধরাধামে। অপরূপ
চোখ তার, নিশুতি রাতেও জ্বলজ্বল করে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top