logo
news image

দেবীর প্রচারে জাদুশিল্পী জয়া ও ফারিয়া

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা।  ।  
মুক্তির আগে থেকে ‘দেবী’ ছবি নিয়ে অভিনয়শিল্পী জয়ার কাছ থেকে একের পর এক চমক দেখছেন দর্শক। যে জয়াকে দর্শক কখনো সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে দেখেনি, ছবির জন্য তা–ও দেখেছেন। ‘দেবী’ মুক্তির আগের দিনরাত মাছরাঙা টেলিভিশনে রাত দশটার সংবাদ পাঠ করেন জয়া আহসান ও চঞ্চল চৌধুরী। এই ছবির জন্য জয়া ছুটে গেছেন দেশের নানা প্রান্তের প্রেক্ষাগৃহে। চট্টগ্রামে তো জয়াকে প্রেক্ষাগৃহে টিকিট বিক্রেতার ভূমিকায় দেখা গেছে। এবার জয়া আহসান জাদুশিল্পী হিসেবে সবার সামনে এলেন। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে ছবির প্রচার চালাতে গিয়ে জাদু দেখিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ মুক্তির চার সপ্তাহে পা রাখবে। তবে এখনো দেশের দর্শক বেশ আগ্রহ নিয়ে ছবিটি দেখছেন। দেশের কোনো কোনো প্রেক্ষাগৃহ থেকে এখনো দর্শকের টিকিট না পাওয়ার খবর শোনা যায়।
চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, ‘দেবী’ এ বছর সবচেয়ে ব্যবসাসফল একটি চলচ্চিত্র। এখন শুধু দেশে নয়, ছবিটি দেশের বাইরেও দর্শকের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। দর্শকের আগ্রহ উসকে দিতে প্রচারের নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হয়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি তে সিনেমা’র কর্ণধার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী জয়া আহসান। উপস্থিত দর্শকের অনুরোধে একসময় তাঁদের অভিনব কায়দায় জাদুও দেখান ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের ‘রানু’ জয়া আহসান। এই জাদু পর্বটি পরিচালনা করেন জাদুশিল্পী শাহীন শাহ। জয়ার জাদু দেখানোর সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের ‘নীলু’ চরিত্রে রূপদানকারী শবনম ফারিয়া। রুম্মান রশীদ খানের সঞ্চালনায় এই জাদু প্রদর্শনী ছিল উপস্থিত দর্শকদের জন্য বিশেষ চমক।
রবীন্দ্রসরোবরে উপস্থিত দর্শকদের মতে, এর আগে টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ পরিবেশন করে এবং প্রেক্ষাগৃহে টিকিট বিক্রি করে প্রচারের নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেন জয়া। এবার সবার সামনে জাদু দেখিয়ে প্রচারের কৌশলগত দিক দিয়ে যেন নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন; বিশেষ করে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির ২০ দিনের মাথায় কোনো চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাধারণত প্রচারে দেখা যায় না। সে ক্ষেত্রেও জয়া আহসান ও তাঁর টিম ব্যতিক্রম।
জয়া আহসান বলেন, ‘আমরা “দেবী” চলচ্চিত্রে শুনেছি, প্রকৃতি বড়ই অদ্ভুত, কিছু সত্য সে পরম মমতায় লুকিয়ে রাখে। আমরা সেই লুকিয়ে থাকা অলৌকিকের ব্যাখ্যা সাধারণ যুক্তি দিয়ে বারবার বোঝার চেষ্টা করি। বুঝতে না পারলে কাকতালীয় ঘটনা বলে চালিয়ে দিই। এই ভাবনা থেকেই জাদু দেখানোর ঝুঁকি নিয়েছি। এত দিন দর্শক হিসেবে জাদু নিয়ে অনেক প্রশ্ন, অনেক রহস্যের গন্ধ খুঁজে বেড়িয়েছি। এবার নিজে জাদু দেখাতে গিয়ে বুঝেছি, অনেক অলৌকিক ঘটনার ব্যাখ্যা যুক্তি দিয়ে করা যায় না। আর এটিই বোধ হয় প্রকৃতির সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য।’
মেরিল রিভাইভের সার্বিক সহযোগিতায় এই জাদু প্রদর্শনীর সম্প্রচার সহযোগী মাছরাঙা টেলিভিশন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top