logo
news image

সাভার ট্যানারি শিল্পনগরী ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার (ঢাকা)।  ।  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সাভার ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি (ট্যানারি শিল্প নগরী) উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি দূষণ রোধে শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়ার জন্য ট্যানারি মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্যানারি শিল্প নগরী উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদের সবসময়ই দূষনের বিষয়টি মনে রাখতে হবে।’
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এসময় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ‘এ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ এবং সিরাজগঞ্জে বিএসসিআইসি শিল্প পার্ক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ। ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা করেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
উদ্বোধন করার পর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জে অবস্থানরত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমের সাথে মতবিনিময় করেন এবং মুন্সিগঞ্জ এবং সাভারের স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগি, বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তাঁর সরকার গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে সকল ট্যানারী শিল্প মালিক সুপারিশকৃত প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে এপিআই শিল্প পার্ক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে আমাদেরকে মনোযোগি হতে হবে। আমরা ওষুধ রফতানি করি, কিন্তু ওষুধের বেশির ভাগ কাঁচা মালের জন্য আমাদেরকে বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। শিল্প পার্কে ওষুধ শিল্পের জন্য কাঁচা মাল উৎপাদন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের বিপুল পরিমাণ চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারে। বাংলাদেশ বিশ্বের একশ’র বেশি দেশে ওষুধ রফতানি করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের সিদ্ধান্ত হিসাবে প্রতিটি জেলায় বিএসসিআইসি শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে শিল্পমন্ত্রী হিসাবে এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও বস্ত্র শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা গড়ে তুলতে স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি বাজেট বৃদ্ধি, মাথাপিচু আয় বৃদ্ধি করতে শিল্পায়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা না ঘটলে অনেক আগেই বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ হতে পারতো। তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর পথই অণুসরন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সে সময়ের সরকারের নেয়া উন্নয়ন কর্মসূচির সুফল জনগণ এখন পাচ্ছে। বিগত আট বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ত্বরান্বিত করার জন্য শিল্প উন্নয়ন বিকাশের প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top