logo
news image

ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে আলোচনায় বসেছে এশিয়া মহাদেশের ৭টি দেশ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে আলোচনায় বসেছে এশিয়া মহাদেশের ৭টি দেশের বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কোম্পানিগুলো। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার মাকাটি সিটিতে ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ক্ষুদ্রবীমার মাধ্যমে এই অঞ্চলের স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর আর্থিক সুরক্ষা কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় সেটাই আলোচনার বিষয়। বৈঠকে অংশ নেয়া দেশগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন।

ক্ষুদ্রবীমাকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহার, বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক মডেল, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগসমূহ (এসএমই), ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সরকারী-বেসরকারী করপোরেশনগুলোর জন্য দূর্যোগ ঝুঁকি বীমা (ডিআরআই) ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে বৈঠকে।

বৈঠকে ক্ষুদ্রবীমা বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে যেসব বিষয় উঠে আসবে সেগুলো এশিয়া এবং এশিয়া প্যাসিফিক ইকনোমিক কোঅপারেশন (এপেক) এর সদস্য দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট নীতিমালা তৈরিতে কাজে লাগানো হবে।

এশিয়ার বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিউচ্যুয়াল এক্সচেঞ্জ ফোরাম অন ইনক্লুসিভ ইন্স্যুরেন্স (এমইএফআইএন) নেটওয়ার্ক। দারিদ্রতা হ্রাস করতে এই অঞ্চলে ক্ষুদ্রবীমা নিয়ন্ত্রণ জোরদার, তত্ত্বাবধান এবং বাজারের পরিধি বাড়াতে জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

জার্মান করপোরেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জিআইজেড) এর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি উন্নীত করতে নেটওয়ার্কটিকে সহায়তা করছে জার্মান সরকার।

জিআইজেড এর প্রগ্রাম ডাইরেক্টর ড. অ্যান্টোনিস মালাগার্ডিস বলেছেন, ফিলিপাইন এই নেটওয়ার্কের একটি সক্রিয় সদস্য। দেশটিতে ক্ষুদ্রবীমার উন্নয়নে উদ্দীপনার ভালো চর্চা করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের ভালো চর্চাগুলো ইন্দোনেশিয়া ও নেপালে গ্রহণ করা হয়েছে।

ফিলিপাইন ইন্স্যুরেন্স কমিশন জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশটির ৩২ মিলিয়ন নাগরিক ক্ষুদ্রবীমা পলিসির আওতায় এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে দেশটির প্রায় প্রতি ৩ জনের ১ জন ক্ষুদ্রবীমার মাধ্যমে আর্থিক ঝুঁকির সুরক্ষায় রয়েছে। আগের বছরের চেয়ে যা ২১.৬৬ শতাংশ বেশি। (সূত্র: এমআইএন)

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top