logo
news image

সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে-শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।  ।  
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গত ১০ বছরে নারী শিক্ষায় বাংলাদেশে যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েরা সমতা অর্জনের পথে। সকল সেক্টরেই মেয়েরা আজ সমানভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সমান সুযোগ পেলে মেয়েরা পুরুষের পাশাপাশি যেকোন চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে সক্ষম। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জিত হয়েছে। নারীরা আজ সর্বত্র কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকায় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ৬-তলা নতুন একাডেমিক ভবনের নবনির্মিত উর্ধ্বমুখী বর্ধিত ৩-তলা এবং মেহেরুন্নেসা আইসিটি ল্যাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন সম্ভব হয়েছে। মাত্র ১০ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন পৃথিবীর আর কোন দেশে সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শতকরা ৪০ জনকে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি-উপবৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ জন ছাত্রী এবং ১০ জন ছাত্র। নারী শিক্ষার উন্নয়নে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। গত নয় বছরে এর ব্যত্যয় হয়নি। এবারও হবে না। বছরের প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে একটি আধুনিক বিশেষায়িত কলেজ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ কলেজের উন্নয়নে ইতোমধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আরো ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৬-তলা আবাসিক হল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান অর্থবছরের মধ্যে সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় প্রায় ৩৩ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে হবে। কারন, শিক্ষকরাই ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ ও যোগ্য মানুষ তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তারাই নিয়ামক শক্তি।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, উচ্চশিক্ষায় আমরা আগের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছি। একই সাথে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা রাড়ানোর জন্য কাজ করছি। শতকরা ১৪ভাগ শিক্ষার্থী এখন কারিগরি শিক্ষায় পড়াশুনা করছে। ২০২১ সালে তা ২০ ভাগে এবং ২০৩০ সালে ৩০ ভাগে উন্নীত হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্র গড়ার জন্য তরুণ জনশক্তিকে দক্ষতা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কারিগরি শিক্ষা খুবই জরুরী।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইসমাত রুমিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মোহাম্মদ শামসুল হুদা, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সোনিয়া বেগম এবং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন আরা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শিক্ষামন্ত্রী কলেজের মুক্তিযোদ্ধা লাইব্রেরিরও উদ্বোধন করেন।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের প্রথম ব্যাচের প্রয়াত শিক্ষার্থী মেহেরুন্নেসা ইসলামের পরিবারের উদ্যোগে ৪০টি ডেক্সটপ কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ নবনির্মিত ভবনের ৪র্থ তলায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ’মেহেরুন্নেসা আইসিটি ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top