logo
news image

বাঘায় নতুন ড্রেনেও দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী)।  ।  
রাজশাহীর বাঘা পৌর সদরে পাকা রাস্তার পাশ দিয়ে ৮ মাস আগে নির্মান করা হয়েছে নতুন ড্রেন। এ জন্য সরকারের ব্যায় হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। উদ্দেশ্য পানি নিস্কাশন। কিন্তু সেটি হচ্ছে না! অপরিকল্পিতভাবে নির্মান করা হয়েছে এই ড্রেন। এর ফলে বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার জনগণ।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, বাঘা পৌরসভা থেকে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী ডিসেম্বর মাসে তার নির্বাচনী মেয়াদ শেষ হওয়ার পুর্বে বাঘা পুরাতন বাসটার্মিনাল থেকে-সড়কঘাট পদ্মানদী পর্যন্ত ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ড্রেন নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।
একই সাথে বলিহার চ্যাংমারি কালভাট থেকে বাঘা বাজার পূর্বপ্রান্ত ক্যানেল পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে অনুরুপ একটি ড্রেন নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। বৃষ্টির সময় রাস্তা এবং আশ-পাশের পানি ড্রেনের মাধ্যমে যাতে নিষ্কাষন হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সেটি হচ্ছে না। কারণ পরিকল্পনা মাফিস এই ড্রেন নির্মান করা হয়নি এমনটি অভিযোগ স্থানীয়দের। এর ফলে এক পসলা বৃষ্টি হলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকতে দেখা যাই।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার পর বাঘা বাজারে গিয়ে দেখা যায় একটি স্থানে প্রায় হাটু পরিমান পানি জমে আছে। অথচ সেই পানি ড্রেন দিয়ে নামছে না।
অপর দিকে বাঘা পুরাতন বাস টার্মিলালে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর দিকের পানি দক্ষিনে পদ্মায় না গিয়ে বিপরিত দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সেখানেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
বাঘা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মানিক বলেন, এটা নতুন কোন ঘটনা নয়, বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা-সহ দোকানের সামনে পানি জমে। আমরা ব্যবসায়ীরা ভেবে ছিলাম নতুন ড্রেন হওয়ার পর এ থেকে পরিত্রান পাবো। কিন্তু বাঘা পৌর সভার সাবেক মেয়ার আক্কাস আলীর নিজেস্ব ঠিকাদারের মাধ্যমে এতো নি¤্নমানের ড্রেন হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তার মতে, রাস্তার চেয়ে ড্রেন অনেক বেশি উচু এ কারনে পানি গড়ায় না।
আবার অনেকই মন্তব্য করে বলেন, যে পরিমান রড়-সিমেন্ট দিয়ে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে তার ভবিষ্যৎ মোটেও ভাল নয়। পানির চাপ বাড়লে যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
প্যানেল মেয়র (১) উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পৌর সভার প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন।
বাঘা পৌরসভার প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, বাস টার্মিনাল এলাকার সমস্যা আগে ছিল। তবে নতুন করে কিছু স্থানে ড্রেনের কাজ করায় এখন উত্তরের পানি দক্ষিন দিকে’র নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাঘা বাজারের যে স্থানে পানি জমে আছে এটি নিচু যায়গা। নতুন করে রাস্তা হওয়ার সময় সেখানে উচু করে রাস্তার কাজ করলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top