logo
news image

সড়কের শৃংখলা ফেরাতে পুলিশের যথেষ্ট আন্তরিক-ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।  ।  
ঢাকা মহানগর কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা আশানুরূপ কমছে না।
তিনি বলেন, সড়কের শৃংখলা ফেরাতে পুলিশের যথেষ্ট আন্তরিকতা আছে। ট্রাফিক ব্যবস্থায় আমাদের সফলতা আছে, তারপরও সড়ক দুর্ঘটনা আশানুরূপ কমছে না কেন?
ডিএমপি কমিশনার শনিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়াসংসদে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতি হিসেবে মক স্পীকার ছিলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চালকের অসতর্কতা, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, অদক্ষতা, পেশাদারিত্বের অভাবের পাশাপাশি পথচারীদের জেব্রাক্রসিং-ফুটওভার, আন্ডারপাস ব্যবহারে অনীহা, আবকাঠামোগত অপর্যাপ্ততা, নাগরিক দায়িত্ববোধের অভাব রয়েছে।
নিরাপদ সড়কের জন্যে সবার আইন মানার সংস্কৃতি ধারণ এবং সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও আইন না মানার প্রবণতার ফলে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আইন না মানার মানসিকতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে এখনও পুলিশ হাত উঁচিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। মানসম্পন্ন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকা প্রয়োজন। অথচ আমাদের দেশের শহরগুলোতে ৮ শতাংশের বেশি রাস্তা নেই। যে কারণে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
চালকদের লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া এখনও পুরোপুরি আধুনিকায়ন সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, চালকদের আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য কোনো ইনস্টিটিউটও গড়ে উঠেনি।
প্রতিযোগিতায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সাংবাদিক মঈনুল আলম, ফ্রী-ল্যান্স সাংবাদিক জাহিদ রহমান, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. এসএম মোরশেদ, ড. তাজুল ইসলাম তুহিন এবং সাংবাদিক আহমেদ সারোয়ার।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top