logo
news image

রাবির বসবাস অনুপোযোগী ৯ ভবন-আরো ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি।  ।  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, আবসিক হলসহ ১০ টি পুরাতন ভবনের উপর তলার ছাদগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা এসব ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করেছে। এছাড়াও ৯ টি আবাসিক ভবনের উপর তলায় বসবাস অনুপোযোগী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা। ভবনগুলোর ৫০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে গত বছরের আগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউজিসির কাছে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীরা। কিন্তু অর্থ সংকটে সংস্কার কাজে হাত দিতে না পারায় প্রায় দুইশ কোটি সমমূল্যের সম্পদ ক্ষতির সম্মূখীন হতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনগুলোর মধ্যে- প্রথম বিজ্ঞান ভবন, রবীন্দ্র ভবন রয়েছে। শিক্ষক কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনের মধ্যে লাল কোয়ার্টার-৬৪, ৬৬ নং, পূর্ব-৯, পূর্ব ৩৬, ৩৭, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ নং, পশ্চিম-৫৪ এফ, ৫৩ এফ এবং ৫২ ই নং ভবন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের মধ্যে, নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদার বখশ হল, শাহ মখদুম হল, সৈয়দ আমীর আলী হলসহ ১৯ ভবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্রকৌশলীরা জানান, নিম্ন মানের নির্মাণকাজ, নির্মাণকাল থেকে নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা, ময়লা জমতে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে ড্যামেজড হয়ে গেছে এসব ভবনের ছাদ গুলো। এরই মধ্যে ৯ টি ভবনের উপর তলা ও বিভিন্ন ভবনের প্রায় ৭ টি রুম বসবাস ও ক্লাস করার অনুপোযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেগুলোর পুরো ছাদ ফেলে দিয়ে নতুন ছাদ করা প্রয়োজন। হলগুলোর ছাদে সমস্যার বিষয়ে হল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের কাজ ভবনের সংস্কার করাসহ নতুন ভবন নির্মাণ করা। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নয়। হলগুলোতে মাসে বা বছরে দুইবার উপরের ছাদ পরিস্কার করলে এ সমস্যার তৈরি হতো না। প্রয়োজনে স্টুয়ার্ট শাখা থেকে লোকবল চাইতে পারেন। কিন্তু হল প্রশাসন এই কাজটি করে না।’ এদিকে কবে নাগাদ ভবনগুলো সংস্কার করা যাবে সে নিয়েও বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। অতিদ্রুত সংস্কার না করা গেলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইউসুফ আলী জানান, আমাদের কাছে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মতো বরাদ্দ এসেছে। তবে এই অর্থ দিয়ে ভবনগুলো মেরামত করা সম্ভব নয়। যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫ কোটি টাকা। সংস্কার করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুইশত কোটি টাকার সম্পদ বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে। এদিকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ভবনগুলো পুরোপুরি নষ্ট বা অকেজো হয়ে যায় নি। এই সকল ভবনের উপরের ছাদগুলো ড্যামেজড হয়েছে। যেগুলো সংস্কার করলে আরও ১৫-২০ বছর অনায়াসে বসবাস ও একাডেমিক কাজ পরিচালনা করা যাবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top