logo
news image

তিশার নতুন ছবি ‘শনিবার বিকেল’

নুসরাত ইমরোজ তিশা। নাটক ও সিনেমার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি শেষ করলেন ‘শনিবার বিকেল’ ছবির কাজ। কলকাতার নতুন ছবিতেও যুক্ত হয়েছেন। কেমন ছিল অভিজ্ঞতা?

আপনার নতুন ছবি শনিবার বিকেল-এ কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলুন?

অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। চরিত্র নিয়ে এখন তো কিছু বলা মুশকিল। তবে কাজ করে ভালো লেগেছে। আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তো একটু ডিফারেন্ট চিন্তা থেকে কাজ করেন। এই সিনেমার গল্প এবং আমার চরিত্রটি অন্যরকম। নতুন কিছু দর্শক পাবেন।

আপনার প্রত্যাশা কেমন

প্রত্যাশার কথা বলাটা কঠিন। আমার প্রত্যাশা সবসময়ই ভালো থাকে। আর আমি চেষ্টা করি, ভালো সিনেমায় ভালো চরিত্রে অভিনয় করার। দর্শকরা আমার বেশিরভাগ কাজই ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। এই সিনেমার কাজটিও তারা পছন্দ করবেন বলে আশা করছি।

সম্প্রতি কলকাতার নির্মাতা অরিন্দম শীলের বালিঘর ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন...

এটা একটা ভালো কাজ হবে আশা করছি। মূল কাজ এখনো শুরু হয়নি। চিত্রনাট্য ও কাজের ব্যাপারে সেশন এবং চূড়ান্ত কথা হয়েছে। শুটিং সামনে শুরু হবে।

ভালো গল্প ও চিত্রনাট্যের জন্য প্রতিটি অভিনয়শিল্পী অপেক্ষা করে থাকেন। এটুকু বলতে পারি যে, ‘বালিঘর’ ছবির কাহিনী ও চরিত্র নিয়ে জানার পর আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। এ ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ‘বন্দনা’।

অরিন্দম শীল ভালো একজন নির্মাতা। তার সঙ্গে কাজ করতে পারাটাও দারুণ ব্যাপার। আমি তার কাজের ভক্ত। গল্পে অসাধারণ কিছু বিষয় আছে যা অনেকের ভালো লাগবে। দুই বাংলার দক্ষ শিল্পীকে নিয়ে যেহেতু কাজটি হচ্ছে, দর্শকদের জন্য ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে।

অরিন্দম শীল আপনার সম্পর্কে বলেছেনতিনি আপনার অনেক দিনের ভক্ত...

তিনি যাদের কাজ পছন্দ করেন, তাদের সবাইকে তার সিনেমায় নিয়েছেন। এটা খুব ভালোলাগার বিষয়। আর এমন কথা তিনি আরিফিন শুভ সম্পর্কেও বলেছেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে তার পরিচালনা ও অভিনয়ের ভক্ত। তিনি নিজে একজন ভালো অভিনেতা এবং পরিচালক। আমার কাজ তিনি আগে দেখেছেন জেনে খুব ভালো লেগেছে। আমিও অরিন্দম দার কাজ দেখেছি।

আর একটি সিনেমায় কাজ করছেন 

হলুদ বণী...

হলুদ বণীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। আসলে হয় কী, সিনেমা মুক্তির আগে ছবির গল্প ও চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত বললে দর্শকের তো সব জানা হয়ে গেল। তখন আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মানে হয় না। তাই কিছু কথা গোপন রাখাই ভালো। দর্শক হলে গিয়ে সবটুকু দেখবে। এটাই ভালো।

কিন্তু এমনভাবে কিছু বলা কি সম্ভব নয়যাতে দর্শক সিনেমা দেখার জন্য উৎসাহীও হবেন?

হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। কিন্তু আমি অত সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারি না। আর কিছু কৌশলগত দিক থাকে তো, সিনেমার প্রচারণার জন্য নানারকম ক্যাম্পেইন থাকে। আর্টিস্ট যদি নিজের মত করে বলে দেয়, প্রচারণার কাজ বিঘœ হতে পারে। তাই পরিচালকের দিক থেকে কথাগুলো বললে বেশি ভালো হয়।

আপনি অনেকদিন পর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলেন...

বাণিজ্য মেলায় গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। পুরো মেলাটা ঘুরে দেখতে পারলে আরও ভালো লাগতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। যতটুকু সময় ছিলাম, খুবই ভালো লেগেছে আমার।

ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে যেতাম। পরে আর সেভাবে যাওয়া হয়নি। আমি আকিজ গ্রুপের আমন্ত্রণে মেলায় গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে ভক্তদের ভালোবাসা আর আকিজ গ্রুপের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। সেখানে দেশীয় বিভিন্ন পণ্য দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।

ভালোবাসা দিবসের নাটক একটি মধ্যবিত্ত ফ্রিজের গল্পতে কাজ করলেনএটা নিয়ে বলুন?

এই নাটকটি করেছেন সাগর জাহান। আমার কো-আর্টিস্ট তাহসান। এর আগেও তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এখানে অভিনয় করলাম। সাগর জাহান ভাই একজন ভালো নির্মাতা। এ নাটকটিতে কাজ করে অবশ্যই ভালো লেগেছে। এখন আসলে কোনো কাজ ভালো না লাগলে আমি করি না। এটুকু বলতে পারি, নাটকের কাজটি একটু অন্যরকম। দর্শকের ভালো লাগবে।

সাক্ষাৎকার : মাসউদ আহমাদ / পরিবর্তন

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top