logo
news image

শেখ হাসিনা-অাধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি

মো. অাব্দুল মতিন।  ।  
শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর সূযোগ্যা তনয়া। বিশ্বের বিশ্বয় বিশ্বনেতা। যোগ্যতায়। অভিজ্ঞতায়। কর্মে। সততায়। পরিশ্রমে। মানবতায়। উন্নয়নে। অাধুনিক বাংলাদেশেরর স্থপতি। দেশের কল্যাণ কামনায় জেগে থাকা অতন্দ্র প্রহরী। সর্বংসহা মা । দেশের মানচিত্র করেছেন দ্বিগুণ। সংগ্রাম করে। অান্তর্জাতিক অাদালতে লড়ে। বেড়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ। অর্থনৈতিক সক্ষমতা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নে চমকে দিয়েছেন। দেশ কে। বিশ্বকে।দেশের দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে। জঙ্গি দমনে সফলতা এসেছে। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনা সুসম্পর্ক বজায় রেখে কুটনৈতিক ভাবে নজর কাড়া সাফল্য দেখিয়েছেন।
মাথাপিছু গড় অায় ও অায়ু, বৈদেশিক রিজার্ভ, যোগাযোগ ব্যবস্থার সর্বকালের নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৭০ সালের ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের প্রাক্কালে বেতার ও টেলিভিশনে সূদীর্ঘ বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, 'বিপুল ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যাপক ভাবে বিজলি সরবরাহ করতে না পারলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধিত হতে পারেনা। 'তাঁর সেই অাশা অাজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে অাজ বিদ্যুৎ। প্রত্যেকটি গ্রাম অাগামী দিনে একেকটা শহর হবে। দু’বারের টানা ক্ষমতায় শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ কে অান্তর্জাতিক পর্যায়ে অকল্পনীয় উচ্চতায় নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য অাওয়ামী লীগের ভাগ্যের সাথে একসূত্রে গাঁথা। যতবার ব্যত্যয় হয়েছে ক্ষমতার অন্ধগলিতে পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ।১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যা কান্ডে স্বজন হারানোর তীব্র অসহনীয় ব্যথা নিয়ে তিনি পিতার অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্নের বাস্তবায়নে মহাব্যস্ত। ঘরে ঘরে সুখ পৌছে দিতে হবে।বুকে সবহারা বেদনার অতীত স্মৃতিরা ছটফট করে। কালোবৈশাখীর তান্ডবে ভেসেছে কত শান্তির ঘুম। ফি বছর গুণে গুণে অনাগত কাল বইতে হবে এ দহন। তবু থেমে নেই। এদেশের সব মানুষ স্বজন। অাত্মার অাত্মীয়। এদের কান্না জনকের কান্নার মতো। বঙ্গবন্ধু বলতেন, 'সাতকোটি বাঙালীর ভালবাসার কাঙ্গাল অামি। অামি সব হারাতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা হারাতে পারবোনা। বাঙালীর ভালবাসার ঋণ বুকের রক্ত দিয়ে শোধ করবো ইনশা অাল্লাহ।'
বঙ্গবন্ধু তাঁর কথা রেখেছেন। জীবন দিয়েছেন স্বজনসহ। শেখ হাসিনা সতের কোটি মানুষ কে সুখী রেখে জনকের মতো ঘাতকদের মৃত্যুর ফাঁদ থেকে বার বার বেঁচে ও রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। রক্তের বদলে রক্তদেয়া ভাল বাসার ফুলের সুবাস ছড়াচ্ছেন। বিশ্বময়  ধৈর্য্য, ঘাতক নিরবতায় চুপ থেকে অপেক্ষা। সূর্য উঠবে। পিতার স্বপ্ন সফল হবে। এ রক্তাক্ত বাংলায়। বিচার হবে। অন্ধ অাইনের চোখে অালো জ্বলবে । অালো জ্বালাতে হবে।
অনেক কাজ তাঁর। অসম্পূর্ণ পিতার স্বপ্ন ঘুমাতে দেয়না। শত ষড়যন্ত্রের গ্রেনেড বৃষ্টিতে তবু মানুষের ভাললবাসা জয়ী হয়। ক্ষমতা তাঁর কাছে ভোগের নয়। দায়িত্বের; নিরন্ন মানুষের মুক্তির প্রতিক্ষিত শ্লোগান। বড় কঠিনের সাথে প্রেম। অক্ষমের বুকে সক্ষমতায় তারা ভরা রাত। জেগে উঠছে সহস্র স্বপ্নের ডানা।
এগিয়ে চলছে দেশ। মানুষের মুখে হাসি। চোখভরা ঘুম। বুক ভরা অক্সিজেন। মাংশাসি শকুন দল উড়েনা জয়নুলের দূর্ভিক্ষের চিত্রকর্মে। দেশের মানুষের ভালবাসার ধন শেখ হাসিনা। তাঁর দেশ পরিচালনায় সবাই খুশী। শুধু নির্বাচনে নিজ দলের যারা বুকে নৌকা সাটিয়ে ঘাতক সাজে তাঁদের কে নেত্রী যেন ক্ষমা না করেন দেখতে চান। পলাশী থেজে পঁচাত্তর। ব্রুটার্স থেকে মোস্তাক পর্যন্ত ঘাতকের বিষাক্ত বংশধররা যেন এদেশে মাথা তুলে না দাঁড়ায়।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন বাংলাদেশের মানুষের নিষ্পাপ হাসির মতো। অানন্দের। গর্বের। একাত্তর তম জন্ম বার্ষিকীর মতো প্রতিটি দিন হয়ে উঠুক দেশের, বিশ্বের মানুষের ভালবাসার ও শ্রদ্ধার। জয় হোক শেখ হাসিনার। জয় বাংলা।

* মো. অাব্দুল মতিন, অধ্যক্ষ, শাহজালাল মহাবিদ্যালয় ,জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ২০১৭। 

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top