logo
news image

প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেলে সেই পরীক্ষা বাতিল

কোনো অবস্থাতে যদি কেউ ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে আনন্দিত হন, তাহলে তার জন্য সংবাদ হচ্ছে, সেই পরীক্ষাটি বাতিল হবে। পরীক্ষা হওয়ার পরেও যদি প্রমাণ হয় যে, এই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তাহলে সেই পরীক্ষাটি অবশ্যই বাতিল করব। জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধে শুধু ফেসবুক নয়, পরীক্ষার সময় ইন্টার‌নেট ভি‌ত্তিক সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যমগু‌লো বন্ধ রাখার সুপা‌রিশ করা হ‌বে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে এসএস‌সি পরীক্ষার্থীদের সিটে বস‌তে হবে।

সোহরাব হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন কারণে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষার নেয়ার ঝুঁকিটা নিচ্ছি। অনেক সময় অনেকে আমাদের অভিযুক্ত করছেন যে বিভিন্ন বোর্ডে বিভিন্ন মানের প্রশ্ন হচ্ছে, সারা দেশে একভাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। ওই সমস্যা মেটাতেই সারা দেশে এক প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। কোনো ধরনের আপস করতে রাজি নই। কেউ যদি দায়িত্বে অবহেলা বা কোনো ধরনের অনিয়ম করেন তাকেই অপরাধী বলে গণ্য করা হবে।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে।

সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সারাদেশে প্রথমবারের মতো অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে সকল পরীক্ষা বাতিল করা হবে।  

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আগামীকাল শুক্রবার থেকেই দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল, পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। এখন সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সাত দিন আগে থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top