logo
news image

উদ্ভাবনের বিশ্ববিদ্যালয় সাস্ট

মোয়াজ্জেম আফরান
দুইটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট। আর এই সিলেটের টিলাবেষ্টিত সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও সাফল্য ইতোমধ্যে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দ্বার উম্মোচন করেছে।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান অবস্থা: সিলেট তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এবং চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৮৬ সালের ২৫ আগষ্ট। আর ১৯৯১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩টি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়টি।
অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২টি প্রশাসনিক ভবন, ৬ টি একাডেমিক ভবন, ৩টি ছাত্র হল, ২টি ছাত্রী হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ইউনিভার্সিটি ক্লাব, ইউনিভার্সিটি সেন্টার রয়েছে।
আয়তন ও অবস্থান: শাবিপ্রবি সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে কুমারগাঁওয়ে ৩২০ একর জমির উপর অবস্থিত।
মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চারদিকে তাকালে ক্যাম্পাসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সকলের দৃষ্টি কাড়ে। মূল ফটকে প্রবেশের পরই দীর্ঘ এক কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশ জুড়ে পরিলক্ষিত হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য। কিলোরোডের দু’দিকে রয়েছে স্বচ্ছ পানির লেক। এক কিলোমিটার রাস্তা পার হলেই দেখা যায় গোল চত্বরের বিশাল ফুল বাগান। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার।
টিলার উপরে নির্মিত দেশর অন্যতম সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এ শহীদ মিনারে উঠতে প্রায় একশত সিঁড়ি অতিক্রম করতে হয়। এছাড়া প্রায় সবকটি অবাসিক হলের পাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন উঁচু-নিচু টিলা ও পাহাড়ের সমাগম।
চায়ের দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চা বাগান থাকবেনা তা কি হয়? ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রচেষ্টায় সৈয়দ মুজতবা আলী হলের পিছনের টিলায় একখণ্ড চা বাগান গড়ে উঠেছে, যা পূর্ণতা দিয়েছে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে।
উদ্ভাবন ও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জটিল বিষয়কে সহজ করে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সুনাম কুঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্পসময়ের ব্যবধানে দেশের উচ্চশিক্ষাঙ্গনে তার দৃঢ় অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে।
১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্নাতক কোর্সে সেমিস্টার পদ্ধতির প্রর্বতন, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চালু, দেশের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’ চালু, সর্বপ্রথম সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোকে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা, নিজস্ব ডোমেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ই-মেইল সার্ভিস চালু, প্রথম বাংলায় কথা বলা রোবট ’রিবো’র উদ্ভাবন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যানবাহনের অবস্থান নির্ণয়ের ট্র্যাকিং ডিভাইস, অনলাইনে ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের সুবিধা চালু প্রভৃতি। আর তথ্য প্রযুক্তির এই দিনে এখন আর পাখির চোখে ক্যাম্পাস দেখতে হয়না শাবি শিক্ষার্থীদের। নিজেদের উদ্ভাবিত ড্রোন দিয়ে আকাশ থেকে ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো দেশকে। ২০১৬ সালে স্পেনের ‘সিমাগো রিসার্চ গ্রুপ’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্কপাস’ থেকে প্রকাশিত এক তালিকায় বিশ্বে সম্মিলিত র‌্যাংকিংয় ৬১০তম এবং দেশে প্রথম অবস্থানে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সর্বশেষ দেশের তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে সাফল্যে অবদানস্বরুপ ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আইসিটি এ্যাওয়ার্ড অর্জন উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
চ্যান্সেলর ও ভাইস-চ্যান্সেলর: বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষদভিত্তিক বিভাগসমূহ: বর্তমানে শাবিপ্রবিতে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৮ টি বিভাগ চালু রয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে যেসব বিভাগ রয়েছে- নৃবিজ্ঞান, বাংলা, অর্থনীতি, ইংরেজী, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ, লোকপ্রশাসন, সমাজকর্ম ও সামাজবিজ্ঞান বিভাগ।
এগ্রিকালচার এন্ড মিনারেল সায়েন্স অনুষদের অধীনে রয়েছে- ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ।
এপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি অনুষদের অধীনে রয়েছে- আর্কিটেকচার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
জীব বিজ্ঞান বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে- বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে রয়েছে- ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ।
ফিজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের অধীনে রয়েছে- রসায়ন, ভূগোল ও পরিবেশ, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ।
ইন্সটিটিউটসমূহ: শাবিপ্রবিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য যেসব ইন্সটিটিউট রয়েছে- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট, স্থাপত্য গবেষণা কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রকৌশল গবেষণা কেন্দ্র, পরিসংখ্যান গবেষেণা ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট, ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এশিউরেন্স সেল (আইকিউএসি), সেন্টার অব এক্সেলেন্স ও আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০,০০০ জন। এছাড়া ৫৫২ জন শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ৭৩৬ জন।
ভর্তি প্রক্রিয়া: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীরা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি হতে পারে। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ‘এ’ ও ‘বি’ এই দুই ইউনিটে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগের জন্য ‘এ’ ইউনিট এবং বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগের জন্য ‘বি’ ইউনিট। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের অধীনে ২৮টি বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ১,৬০৩টি। এর মধ্যে সাধারণ আসন ১,৫০৩টি এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, চা শ্রমিকদের সন্তান, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী এবং পোষ্যদের জন্য মোট ১০০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, অন্যান্য স্বীকৃত আন্তর্জাতিক গলিত অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ, রোপ্য ও ব্রোঞ্জ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরিক্ষা ছাড়াই পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে।
আবাসিক হলসমূহ: শাবিপ্রবিতে বর্তমানে ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৩টি এবং মেয়েদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২টি হল। তবে মেয়েদের আবাসিক সমস্যা কিছুটা দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রাধীনে ক্যাম্পসের প্রধান ফটক ও সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া করা আবাসিক ভবন রয়েছে।
যেসব আবাসিক হল রয়েছে- শাহপরাণ হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল, ১ম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৗধুরী হল।
মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য: শাবিপ্রবি তথা সিলেটের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-‘চেতনা-৭১’। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে রাখতে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকৃতির অরণ্যে ঘেরা ক্যাম্পাসের শিক্ষা ভবন-এ এর উত্তর-পশ্চিম পাশে ভাস্কর্যটির অবস্থান। যাকে ঘিরে রেখেছে কদম, কৃঞ্চচূড়া, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার: শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সিলেটের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার, যা দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থাগারের বর্তমান সংগ্রহ প্রায় ২ লক্ষ বই। ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে।
সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম: একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, বিতর্ক, ক্যারিয়ার, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া ভিত্তিক সংগঠগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। প্রক্টর অফিস কর্তৃক অনুমোদিত সংগঠনের সংখ্যা ৫৫টি। এসব সংগঠনের কার্যক্রম চলে বছরব্যাপী। থিয়েটার সাস্ট, দিক থিয়েটার, সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব, শাহজালাল ইউনিভার্সিটি স্পিকার্স ক্লাব, শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা, স্পোর্টস সাস্ট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য সংগঠন।
এত অর্জনের মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ক্লাসরুম সংকট, পরিবহন সংকট এর মধ্যে অন্যতম। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা অনেক সীমিত। দশ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র পাচঁটি আবাসিক হল যার আসন সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। তবুও এসব সংকট কাটিয়ে খুব দ্রুত বিশ্বের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শাবিপ্রবিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে শাবিপ্রবিকে প্রথম সারির এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে আমরা কাজ করছি এবং ইনশাল্লাহ করে দেখাবো।’
এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এবং একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণসহ ১৭টি প্রকল্পের জন্য ৯৫০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেয়া হয়ছে। যদি এই বাজেট আমাদের হাতে চলে আসে আশা করি কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারবো।’

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top