logo
news image

অনাদায়ী টাকার পরিমাণ ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা

গত ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। বুধবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র এমপি মো. রুস্তুম আলী ফরাজীর খেলাপি ঋণ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে শেষ ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ৮ হাজার ৭৯১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছেন এক হাজার ৯৫৬ জন। তাদের কাছে অনাদায়ী টাকার পরিমাণ ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এছাড়া ১০ বছরে ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ রোধ করতে সরকার খেলাপি গ্রাহকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সবগুলো ব্যাংকের ঋণ আদায়ের ইউনিটকে শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে।

সংরক্ষিত আসনের এমপি সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণ খেলাপি বা অনিয়মে জড়িতদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছেন। অনেকে জেলে আছেন। আরো অনেকের বিচার চলছে। তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি কয়েক দিন আগেও সংসদে বলেছি- ব্যাংক ব্যবস্থায় এখনো কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চলছে। তবে এ জন্য একটু সময় লাগবে।

একই দলের ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি সম্পূরক প্রশ্নর প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তার পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো এবং ভাই সাঈদ ইস্কান্দারসহ তাদের সহযোগীরা বাংলাদেশ থেকে ৯৮০ কোটি ২ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন এই সংরক্ষিত আসনের সদস্য। জবাবে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তাদের সহযোগীরা বহু অনাচার করে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এক্ষেত্রে সব সময়ই মামলাগুলো প্রলম্বিত করার একটা চেষ্টা চলে। আর আমাদের আইন ব্যবস্থা সহজ বিধায় তা সম্ভবও হয়। তবে সরকার তাদের দুর্নীতি-অর্থপাচারের কথা ভোলেনি।

সূত্র: মানবকণ্ঠ

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top