শাবিপ্রবিতে সমন্বিত সেমিস্টার পরীক্ষার উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক শাবি। ।
চলতি সেমিস্টার থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা এক সাথে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি সেমিস্টারের ফাইনাল ১ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বিভাগে এক সাথে নেয়া হবে। তাছাড়া ড্রপ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য মানোন্নয়ন পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের এক বছরের মাথায় নিজের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা তুলে ধরে সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথাগুলো বলেন।
উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিগত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে নিয়মানুবর্তীতা, জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ফাইল প্রসেসিং দ্রুত ও ‘লাল ফিতা’ মুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। যার কারণে গত এক বছরে একটিও অডিট আপত্তি উত্থাপিত হয়নি। ভবিষ্যতে সুশাসন ও জবাবদিহিতার কেন্দ্র হবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।’
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য সর্বমোট ৩৯টি ভিন্ন ভিন্ন কার্যক্রম ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন যা নিজের কাজের জবাবদিহিতার স্বরূপ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট যোগদানের পর থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির দিকেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তারই অংশ হিসেবে বেশকিছু কার্যক্রম তুলে ধরেন তিনি যার মধ্যে সেশনজট কমানো, প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা, আর্থিক স্বচ্ছতা, নিয়োগ বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরা, শৃঙ্খলা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। এছাড়া র্যাগিং এর শাস্তির ব্যবস্থা, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা বৃদ্ধি ও গুরুত্তপূর্ণ স্থানে স্থাপন, সীমানা প্রাচীরের কাজ দ্রুত শুরুর বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রাপ্ত ২০০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার কাজ শুরুর সব ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষে এবং একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নিমার্ণসহ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৭ টি প্রকল্পের জন্য ৯৫০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে। যদি এই ১৭টি প্রকল্পের বাজেট আমাদের হাতে চলে আসে আশা করি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারবো। এছাড়া পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে কোটা চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ শাবিপ্রবি ‘আইসিটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ লাভ করেছে। গবেষণা খাতে এবছর ১০৯ শতাংশ বাজেট বাড়ানো হয়েছে। গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশিষ্ট গবেষণা কর্মের জন্য পুরষ্কার প্রবর্তন করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য