logo
news image

বিশ্বের আজব সব চাকরি

প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক।  ।  
চাকরি কে না চায়? সারা বিশ্বে বিভিন্ন রকম চাকরি আছে।   কয়েকটি বিশেষ চাকরির খবর জানবো এখন।  
মুখে চড় মারার চাকরি
শুনেই চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জো! কখনও শুনেছেন কি একবার বাঁ গালে চড় খেয়েই আবার ডান গাল বাড়িয়ে দেয় সেই চড় খাওয়া পাবলিক! হ্যাঁ, এইভাবেই মুখে চড় মেরে ফেসিয়াল করার চাকরি জন্যেই ইনারা গুনেন মোটা অঙ্কের টাকা। এরকম চাকরিতে বেশ মজাও আছে, সম্মানীও ভালোই।
খাওয়ার চাকরি
দক্ষিণ কোরিয়ার Mukbang বা gastronomic voyeurism এমন এক অনলাইন অ্যাকটিভিটি যেখানে খাওয়ার ভিডিও আপলোড করতে হয়। খাবারের বিভিন্ন পদ টেস্ট করে মুখের আকর্ষণীয় এক্সপ্রেশান দিয়ে ভিউয়ারদের বুঝাতে হবে খাবার কতটা মুখরোচক টেস্ট আর লোভনীয় হয়েছে। এইভাবে খেয়ে খেয়ে ভিডিও আপলোড করবেন আর মাস শেষে গুনে নিবেন ১০ হাজার ডলার।
বমি পরিষ্কার করার চাকরি
কী? শুনে অবাক হচ্ছেন তো? হ্যাঁ, সত্যিই এই চাকরির অস্তিত্ব আছে। শিশুপার্কগুলো ছোট ছোট শিশুদের অতি প্রিয় বিনোদনের জায়গা। পার্কে নানা ধরনের রাইড থাকে। কিছু কিছু রাইড আতঙ্কের হলেও বাচ্চারা অনেক সময় বায়না ধরে এইসব রাইডে চড়তে। রাইডে চড়তে গিয়ে বমি হয় না এমন কম বাচ্চাই আছে। কিন্তু অদ্ভুত হল বাচ্চারা বমি করেই তো খালাশ, তারপর এইসব বমি পরিষ্কার করেই চলে কিছু মানুষের জীবিকা অর্জন। তাদেরকে মূলত রাখা হয় বমি পরিষ্কারের জন্য। তারাও মোটামুটিভাবে অস্বস্তিবোধ ছাড়াই এই কাজটিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট টেস্টার
মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাঝে ঘ্রাণ ইন্দ্রিয় অন্যতম। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, এই ঘ্রাণ ইন্দ্রিয়কে সম্বল করেই অনেকেই জীবিকা অর্জন করে থাকেন! অবাক হলেও সত্যি যে আপনি, আমি যে ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম ব্যবহার করি তার পেছনেই রয়েছে এই ডিওডোরেন্ট পরখ করা পেশার মানুষ গুলো। এই পেশার মানুষদের দিনের পুরো সময়টা অন্যের শরীরের ডিওডোরেন্টের গন্ধ পরীক্ষা করতে করতেই অতিবাহিত হয়ে থাকে। আমাদের কার জন্যে কোন ডিওডোরেন্ট ভালো হবে এটাই তারা বাছাই করেন ডিওডোরেন্ট কোম্পানির পরীক্ষক হিসেবেই। মূলত মানব দেহে ডিওডোরেন্ট গন্ধ সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় গলা আর বগলে। তাই পরখ করার শুরুতেই পরীক্ষককে শুঁকতে হয় টেস্ট বডির বগল দুর্গন্ধ থাকা অবস্থায়, তারপর তাকে শুঁকতে হয় সেন্ট না দিয়ে সাধারণ গন্ধ, একেবারে শেষে সেন্ট লাগানোর পর সুগন্ধে ভরা বগলের গন্ধ। আর এভাবেই তিনি কোম্পানির কাছে রিপোর্টে লেখেন সেই বিশেষ পারফিউমের পারফরম্যান্স অর্থাৎ তার ভাল বা খারাপ দিক, বাজারে কতটা চলতে পারে এর সম্ভাবনা, সেই সব বিষয়।
দাঁড়িয়ে থাকার চাকরি
কোনো কিছুর সিরিয়াল ধরা অথবা বাস-ট্রেনের টিকেট কাটার পূর্বেই যে কারো মাথায় একরকম দুঃস্বপ্ন হোঁচট খায় যে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, নিতান্তই বিশেষ সৌভাগ্যবান যদি না হন। তখন নিশ্চয়ই মনে একবারের জন্যে হলেও উঁকি দেয় এমন চিন্তা যে, ইশ! যদি এমন একজন লোক পাওয়া যেত প্রক্সি দাঁড়ানোর জন্য! আপনার জন্যে সুসংবাদ হল সত্যিই তেমন লোকও আছেন। বলতে গেলে ইনারা একরকম পেশাদার বটে। জাপানে এই প্রফেশনের চাহিদা প্রচুর। এই পেশার মানুষ আপনার হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে প্রস্তুত। বিনিময়ে আপনাকে শুধু তাদেরকে টাকা দিলেই হয়ে যাবে।
ক্ষমা পরিষেবা
ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা ভুল করেছেন কিন্তু ক্ষমা চাইতে মোটেও মন সায় দিতে চায় না তাদের! নো চিন্তা, ডু ফুর্তি। আপনার হয়েই যেকোনো মানুষের কাছে এমনকি যেকোনো সংস্থার কাছেও জাপানের কিছু এজেন্সি আছে যারা ক্ষমা চেয়ে নেবে। তবে এদের পারিশ্রমিক কিন্তু বেশ চড়া। হাজার হোক, ক্ষমা চাওয়া বলে কথা

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top