logo
news image

সংবিধান অনুযায়ী ইরাকের সরকার গঠনের অপেক্ষায় সদর জোট

সাধারণ নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্যের পর নতুন সরকার গঠনে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও একইসঙ্গে ইরানবিরোধী হিসেবে পরিচিত ইরাকের ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদরের নেতৃত্বাধীন জোট। শনিবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায় সদরের সাইরুন জোটকেই বিজয়ী ঘোষণা করে ইরাকের নির্বাচন কমিশন। প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী ৩২৯ আসনের মধ্যে তাদের ঘরে ৫৪টি আসন গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
 
ইরান সমর্থিত হাদি আল আমিরির আল-ফাতিহ জোট দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, তারা পেয়েছে ৪৭টি আসন। ৪২টি আসন নিয়ে এরপরেই আছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির ভিক্টরি অ্যালায়েন্স।
 
ইরাকের সংবিধান অনুযায়ী কোনো দল বা জোটের সরকার গঠনের জন্য সংসদের অর্ধেকের বেশি প্রতিনিধির সমর্থন লাগবে। যে কারণে, অন্যান্য জোটের সঙ্গেও দরকষাকষির প্রয়োজন হবে কমিউনিস্ট ও ধর্মনিরপেক্ষদের নিয়ে গঠিত সদরের সাইরুন জোটকে।
 
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সদর নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন না; তবে তার জোটই সরকার গড়লে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নির্ধারণে বড় ভূমিকা থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুই দফা বিস্তৃত বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া এ ধর্মীয় নেতার।
 
সামপ্রতিক বছরগুলোতে নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া সদর হচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের সেই বিরল শিয়া নেতাদের একজন ইরানের সঙ্গেও যার দূরত্ব আছে বলে ভাষ্য পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর। নির্বাচনের আগে ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থিদের ইরাক শাসন করতে দেওয়া হবে না বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছিল তেহরান।
 
দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও সরকারের অকার্যকর শাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের কারণেই এবারের নির্বাচনে তরুণ ও দরিদ্র ইরাকিরা সাইরুন জোটের পক্ষ নিয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। কমিউনিস্ট ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোকে নিয়ে গড়ে ওঠা সদরের এ জোট ইরাকে যে কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top