এই রাগটা নিজেদের ওপর। এই ড্রয়ের পর ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার ৪ নম্বরে রিয়াল। একই রাতে লেভান্তের বিপক্ষে ৩-০ গোলের সহজ জয়ের পর ১৮ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে বার্সেলোনা। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভ্যালেন্সিয়া। লা লিগায় বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়ালের সর্বশেষ ১৬ পয়েন্টের ব্যবধান হয়েছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে। রিয়াল কোচ হিসেবে হোসে মরিনহোর শেষ ওই মৌসুমে বার্সেলোনা লিগ জিতেছিল রিয়ালের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে।
এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, বার্সা-রিয়ালের ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত এ রকমই থাকবে বলে মনে হচ্ছে। এত দিন তবু কোচ জিদানসহ রিয়ালের খেলোয়াড়েরা ‘লিগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি’ জাতীয় কথা বলে গেছেন। পরশু ড্রয়ের পর ডিফেন্ডার মার্সেলো তো সরাসরিই বলে দিলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে যা মনে হচ্ছে, আমাদের অবস্থা তা-ই। আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। মনে হচ্ছে, আমরা ডুবে যাচ্ছি।’
২০০৭ সালে ফ্লুমিনেন্স থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর চারটি লা লিগা ও তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন মার্সেলো। কিন্তু এবারের মতো এত খারাপ সময় আর আসেনি বলেও মেনে নিলেন এই ব্রাজিলিয়ান, ‘রিয়ালে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়গুলোর একটা এটা।’
ইএসপিএনের খবর, পরশু ম্যাচের পর রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও ড্রেসিংরুমে গিয়ে পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের। জিদান অবশ্য এটাকে খুব বড় করে দেখতে রাজি নন, ‘ম্যাচের পর সভাপতি প্রায়ই ড্রেসিংরুমে আসেন খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে। এটা নতুন কিছু নয়।’ খেলোয়াড়দের ওপর সব দায় না চাপিয়ে জিদান দায় নিচ্ছেন নিজের কাঁধে, ‘আমরা অনেক ভুল করছি। চাপের মুখে আমরা বলের দখল হারাচ্ছি, যেটা সাধারণত আমাদের হয় না। আমাকে অবশ্যই এটার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কারণ এটা আমারই দায়।’
শুধু মুখে বললে বোধ হয় আর হবে না, চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে হলে জিদানকে সমাধানও খুব শিগগিরই বের করতে হবে। এএফপি, রয়টার্স।
সাম্প্রতিক মন্তব্য