logo
news image

বীমা আইন ২০১০ বাংলায় প্রকাশ

( ২০১০ সনের ১৩ নং আইন )
[মার্চ ১৮, ২০১০]
   
     
Insurance Act, 1938 রহিতপূর্বক উহা পুনঃপ্রণয়ন ও সংহত করিবার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
 
যেহেতু, Insurance Act, 1938 (Act IV of 1938) রহিতপূর্বক উহা পুনঃপ্রণয়ন ও সংহত করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং 

সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
   
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বীমা আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে। 

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
   
 
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- 

(১) "অনুমোদিত নিরীক্ষক" অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক; 

(২) "অনুমোদিত বিনিয়োগ" অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা অনুমোদিত বিনিয়োগ হিসাবে নির্দিষ্টকৃত বিনিয়োগ; 

(৩) "অনুমোদিত সিকিউরিটিজ" অর্থ সরকারের সিকিউরিটিজ এবং সরকারের রাজস্ব হইতে পরিশোধযোগ্য কিংবা সরকার কর্তৃক আসল ও সুদ পরিশোধের নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত যে কোন সিকিউরিটিজ; এবং সংসদের কোন আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অর্থ আহরণের জন্য ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চার বা অন্য কোন সিকিউরিটিজও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে যাহা সরকার কর্তৃক, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে সিকিউরিটিজ হিসেবে নির্ধারণ করা হইয়াছে; 

(৪) "অংশগ্রহণকারী পলিসি" অর্থ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে উহার অর্থ বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট চুক্তি, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চুক্তি, গোষ্ঠি লাইফ ইন্সুরেন্স চুক্তি এবং গোষ্ঠি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চুক্তি ব্যতীত এইরূপ চুক্তি যাহার শর্তাবলীর অধীনে বীমা পলিসি গ্রাহক লাইফ ইন্সুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর লভ্যাংশ বা উদ্বৃত্ত বিতরণে অংশগ্রহণের অধিকারী; তবে পলিসির অধীনে দেয় সুবিধা, যদি তাহা চুক্তির শর্তাবলী অনুয়ায়ী নির্ধারিত হয় এবং উহাতে বীমাকারীর ঐচ্ছিক ক্ষমতা প্রয়োগযোগ্য না হয়, তাহা হইলে উক্ত সুবিধা এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে লভ্যাংশ বা উদ্বৃত্ত বিতরণ বলিয়া গণ্য হইবে না; 

(৫) "আর্থিক প্রতিষ্ঠান" অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (খ) এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান; 

(৬) "ইলেকট্রনিক প্রচার মাধ্যম" অর্থ ইন্টারনেট, মোবাইল, রেডিও, টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডার, ক্যাসেট এবং কম্পিউটার ডিস্কেট ও সিডি রমসহ প্রচারের কাজে ব্যবহৃত যে কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যম; 

(৭) "ইসলামী বীমা ব্যবসা" অর্থ ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত বীমা ব্যবসা; 

(৮) "একচ্যুয়ারি (actuary)" অর্থ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন একচ্যুয়ারি; 

(৯) "এজেন্ট নিয়োগকারী" অর্থ এই আইনের অধীন সনদপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, যিনি লাইফ ইন্সুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর জন্য তাহার সার্বক্ষণিক বা খণ্ডকালীন কর্মী নিয়োগ করিয়া বা করাইয়া তাহার জন্য বীমা ব্যবসা সংগ্রহ করেন;

(১০) "কর্তৃপক্ষ" অর্থ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১২ নং আইন) এর অধীন গঠিত বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ; 

(১১) "কোম্পানী" অর্থ কোম্পানী আইনের ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) তে সংজ্ঞায়িত কোম্পানী; 

(১২) "কোম্পানী আইন" অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন); 

(১৩) "চলমান অসামর্থ্য চুক্তি" অর্থ এইরূপ চুক্তি যাহার অধীনে নিম্নবর্ণিত ঘটনা সাপেক্ষে সুবিধা প্রদেয় হইবে, যথা :- 

(অ) বীমা চুক্তিতে বর্ণিত কোন কারণে লাইফ ইন্স্যুরেন্সকৃত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিলে; 

(আ) দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার কারণে বীমাকৃত ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত বা অসামর্থ্য হইলে; অথবা 

(ই) বীমাকৃত ব্যক্তিকে চুক্তিতে উল্লিখিত কোন রোগে রোগাক্রান্ত বা চিকিৎসারত অবস্থায় পাওয়া গেলে; 

(১৪) "তফসিল" অর্থ এই আইনের কোন তফসিল; 


(১৫) "তফসিলী ব্যাংক" অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972)এর section 2 এর clause (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank; 

(১৬) "দায়ভার" অর্থ কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোন মর্টগেজ, ফিক্সড অথবা ফ্লোটিং চার্জ, হাইপোথিকেশন, পেজ, স্বত্ব প্রদান বা জামানত বা অন্যভাবে স্বার্থ স্থানান্তর যাহা দ্বারা আইনানুগ ও লাভজনক মালিকানাস্বত্ব হ্রাস পায়; 

(১৭) "নিবন্ধন" অর্থ এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন; 

(১৮) "পরিবার" অর্থ স্বামী বা স্ত্রী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই ও বোন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল সকলেই অন্তর্ভুক্ত হইবে; 

(১৯) "পলিসি" অর্থ কোন বীমা চুক্তি; 

(২০) "পুনঃবীমা" অর্থ এইরূপ চুক্তি যাহা বীমাকারী নিজ স্বার্থে বীমাকৃত অতিরিক্ত ঝুঁকি অন্য কোন এক বা একাধিক পুনঃবীমাকারী অথবা অন্য কোন বীমাকারীর নিকট হস্তান্তর করিয়া নিজের কাছে দায় সীমিত রাখে; 

(২১) "প্রত্যর্পণ বীমা" অর্থ এইরূপ চুক্তি যাহার মাধ্যমে পুনঃবীমাকারী নিজস্বার্থে অন্যবীমাকারীর নিকট পুনঃবীমাকারীর কিছু নির্দিষ্ট দায় প্রত্যর্পণ করাকে বুঝাইবে; 

(২২) "প্রত্যায়িত" অর্থ কোন বীমাকারী বা তাহার পক্ষে বা এই আইনের তৃতীয় অধ্যায়ে সংজ্ঞায়িত কোন সমিতি কর্তৃক দাখিল করিতে হইবে এমন দলিলাদির অনুলিপি বা অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুরূপ বীমাকারী অথবা সমিতির একজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অবিকল নকল বা অনুবাদ হিসাবে প্রত্যায়িত; 

(২৩) "প্রবিধান" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; 

(২৪) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; 

(২৫) "বীমাকারী" অর্থ বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে বাংলাদেশের আইন বা অন্য কোন রাষ্ট্রের আইনে নিগমিত বা নিবন্ধিত এইরূপ কোন কোম্পানী, সমিতি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যাহা-

(১) বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনা করে; বা, 

(২) বীমা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে কোন প্রতিনিধি নিয়োগ করে কিংবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়িক কার্যালয় স্থাপন করে; 

(২৬) "বীমা পলিসি গ্রাহক" বা "বীমা গ্রাহক" অর্থ এইরূপ ব্যক্তি যাহার অনুকূলে পলিসি ইস্যু করা হয় বা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রে, এইরূপ ব্যক্তি যাহার অনুকূলে পলিসির সমুদয় স্বার্থ চিরতরে অর্পিত হয়; 

(২৭) "বীমা পলিসি গ্রাহকের দায়" অর্থ লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংশ্লিষ্ট -

(অ) পলিসির অধীনে উদ্ভূত দায়; অথবা 

(আ) পলিসিতে বর্ণিত ঘটনা সংঘটনে উদ্ভূত দায়; 

(২৮) "বীমা" অর্থ পলিসি এবং চুক্তি অথবা অন্য যে কোন নামে প্রিমিয়াম গ্রহণ সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে, চুক্তিতে উল্লিখিত কোন ঘটনা যে ঘটনায় দ্বিতীয় উল্লিখিত ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উহা সংঘটিত হওয়া সাপেক্ষে, অর্থ প্রদানের অংগীকারপূর্বক লিপ্ত হওয়ার ও নিয়োজিত থাকার ব্যবসা, লাইফ ইন্স্যুরেন্স চুক্তিসহ পুনঃবীমা, এবং প্রত্যর্পণ বীমাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(২৯) "বীমা এজেন্ট" অর্থ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি, যিনি কমিশন বা অন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করিয়া বা গ্রহণে সম্মত হইয়া বীমা পলিসি সচল, নবায়ন বা পুনরুজ্জীবিতকরণসহ বীমা ব্যবসা আহরণ ও সংগ্রহ করেন; 

(৩০) "বীমা জরিপকারী" অর্থ এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, যিনি নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স চুক্তির অধীনে বীমাকৃত কোন পণ্য, সম্পত্তি বা স্বার্থের কোন ক্ষতির কারণ, ব্যাপ্তি, অবস্থান এবং দাবী সংঘটিত ক্ষতি বা দাবীকৃত ক্ষতির পরিমাণ পরীক্ষপূর্বক নিরপেক্ষ মতামত প্রদান করেন;

(৩১) "ব্যবস্থাপক" অর্থ কোম্পানী আইনের ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) এ সংজ্ঞায়িত ম্যানেজার; 

(৩২) "ব্যক্তি" অর্থ যে কোন ব্যক্তি এবং কোন প্রতিষ্ঠান, কোন কোম্পানী, কোন অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোন সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; 

(৩৩) "ব্রোকার" অর্থ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ মধ্যস্থতাকারী বা বীমা মধ্যস্থতাকারী যিনি বীমাকারী বা পুনঃবীমাকারীর নিকট হইতে ব্রোকার ফি বা কমিশন প্রাপ্তি প্রত্যাশায় বীমা বা পুনঃবীমা প্রস্তাবকের জন্য বা তাহার পক্ষে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা প্রাপ্তির জন্য কাজ করিতে এই আইনের অধীন নিবন্ধিত; 

(৩৪) "ম্যানেজিং এজেন্ট" অর্থ এমন কোন ব্যক্তি, ফার্ম বা কোম্পানী যিনি কোম্পানীর সহিত চুক্তিবলে এবং চুক্তিতে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে পরিচালক পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনাধীন ঐ কোম্পানীর সমুদয় বিষয় ব্যবস্থাপনার অধিকারী এবং, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, অনুরূপ পদাধিকারী কোন ব্যক্তি, ফার্ম বা কোম্পানীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; 


(৩৫) "সরকারি সিকিউরিটিজ" অর্থ Securities Act, 1920 (X of 1920) এর section 2 এর clause (a) তে সংজ্ঞায়িত Government Security; 

(৩৬) "সমবায় সমিতি আইন" অর্থ সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪৭ নং আইন); 

(৩৭) "সলভেন্সি মার্জিন" অর্থ বীমাকারী কর্তৃক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ সংরক্ষিত সম্পদ; 

(৩৮) "সাবসিডিয়ারি" বা "সাবসিডিয়ারি কোম্পানী" অর্থ কোম্পানী আইনের ধারা ২ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত সাবসিডিয়ারি কোম্পানী; 

(৩৯) "নিরীক্ষক" অর্থ কোম্পানী আইনের ধারা ২১২ এর বিধান অনুযায়ী কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে কাজ করার যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি; 

(৪০) এই আইনে যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি কোম্পানী আইন, ১৯৯৪-এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।
   
   
দ্বিতীয় অধ্যায়
বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য বিধানাবলী
 
দায়যুক্ত বীমাকারীর ক্ষেত্রে আইনের প্রযোজ্যতা
৩৷ কোন শ্রেণীর কোন বীমাকারীর সংশ্লিষ্ট ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশে কোন দায় অপূর্ণ থাকিলে এবং সংশ্লিষ্ট দায় সম্পর্কে ভিন্নরূপ কোন কার্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হইলে উক্তরূপ বীমাকারীর ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
   
   
 
বীমা বা পুনঃবীমা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ
৪৷ (১) নিম্নবর্ণিত কোম্পানী বা সমিতিসমূহ ব্যতীত অন্য কাউকে এই আইনের অধীন বাংলাদেশে বীমা বা পুনঃবীমা ব্যবসা করার জন্য অনুমতি প্রদান করা যাইবে না, যথাঃ- 


(ক) কোম্পানী আইন এর অধীন কোন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী; 

(খ) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে সমবায় সমিতি আইন এর অধীন নিবন্ধিত যে সকল সমবায় সমিতি Insurance Act, 1938 এর অধীন বীমাকারী হিসাবে নিবন্ধিত; এবং 

(গ) বাংলাদেশের বাহিরে কোন দেশের আইনের অধীন সংবিধিবদ্ধ এমন কোন বীমা সংস্থা, যাহা কোন প্রাইভেট কোম্পানী নহে অথবা প্রাইভেট কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী নহে৷ 

(২) কোন মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী এই আইনের অধীন নন- লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে না৷
   
   
 
বীমা ব্যবসার শ্রেণীবিন্যাস
৫৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নন- লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামীয় দুই শ্রেণীর বীমা ব্যবসা থাকিবে৷ 

(২) এই ধারার অধীন লাইফ ইন্স্যুরেন্স বলিতে মানবজীবন সংক্রান্ত বীমা চুক্তিসমূহকে বুঝাইবে এবং উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়কে কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য, বিধি দ্বারা, বিভিন্ন উপ-শ্রেণীতে শ্রেণীবিন্যাস করা যাইবে৷ 

(৩) এই ধারার অধীন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স বলিতে মানব জীবন সংক্রান্ত বীমা চুক্তি ব্যতীত অন্য সকল শ্রেণীর বীমা চুক্তিকে বুঝাইবে এবং উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসাকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য, বিধি দ্বারা, বিভিন্ন উপ-শ্রেণীতে শ্রেণীবিন্যাস করা যাইবে৷ 

(৪) এই আইনের অধীন যে চুক্তির অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করা, সেই চুক্তিতে যদি নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংশ্লিষ্ট বা উহার সম্পূরক কোন বীমা ব্যবসার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহা হইলেও উক্তরূপ চুক্তি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য সম্পাদন করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷ 

(৫) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবন্ধিত বীমাকারী কর্তৃক অনধিক ১ (এক) বৎসর মেয়াদী চুক্তির অধীন কোন ব্যক্তির দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা মৃত্যু ব্যতীত দুর্ঘটনা, রোগ বা অক্ষমতাজনিত ক্ষতির জন্য অর্থ পরিশোধের শর্ত সম্বলিত চুক্তি সম্পাদন ও পরিপালন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স চুক্তি হিসাবে গণ্য হইবে ৷ 

(৬) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, Insurance Act, 1938 এবং Insurance Corporations Act, 1973 এর অধীন কোন বীমাকারী কর্তৃক পরিচালিত জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা ব্যবসা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যথাক্রমে লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
গ্রামীণ বা সামাজিক খাতে বীমা ব্যবসা
৬৷ প্রত্যেক বীমাকারী এই আইন বলবৎ হইবার পর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত আনুপাতিক হারে গ্রামীণ বা সামাজিক খাতে লাইফ ইন্স্যুরেন্স বা নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করিবে৷
   
   
 
ইসলামী বীমা ব্যবসা
৭৷ (১) এই আইন কার্যকর হইবার পূর্বে Insurance Act, 1938 এর অধীন নিবন্ধিত যেই সকল বীমাকারী ইসলামী বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিত, সেই সকল বীমাকারী এবং ইসলামী বীমা ব্যবসা পরিচালনায় আগ্রহী যে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানী এই আইনের অন্যান্য বিধান এবং কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে, যে কোন শ্রেণীর বা উপ-শ্রেণীর বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবেঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি বা কোম্পানী একই সঙ্গে প্রচলিত নন লাইফ বীমা ব্যবসা এবং ইসলামী বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে না । 

(২) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে যে সকল বীমাকারী প্রচলিত নন লাইফ বীমা ব্যবসার সহিত একই সঙ্গে ইসলামী বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিত, সেই সকল বীমাকারী এই আইন কার্যকর হইবার পর প্রচলিত বীমা ব্যবসা এবং ইসলামী বীমা ব্যবসা এর মধ্য হইতে যে কোন এক ধরনের বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে : 

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবার অনধিক ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে উক্তরূপ বীমাকারী কোন্ ধরনের বীমা ব্যবসা করিতে আগ্রহী তাহা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে৷ 

(৩) উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশের অধীন কোন বীমাকারী যে ধরনের বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিয়াছে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, সেই ধরনের বীমা ব্যবসা অব্যাহত রাখিতে পারিবে এবং উহা ব্যতীত অন্য ধরনের বীমা ব্যবসা অব্যাহত রাখিতে পারিবে না : 

      তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অন্য ধরনের বীমা ব্যবসার আওতায় ইতিপূর্বে ইস্যুকৃত বীমা পলিসিসমূহ দাবী পরিশোধ না হওয়া বা মেয়াদ অবসান না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে৷
   
   
 
নিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি
৮৷ (১) কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন বীমা ব্যবসা সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না : 

      তবে শর্ত থাকে যে, Insurance Corporations Act, 1973 এর অধীন গঠিত জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য এই আইনের অধীন নিবন্ধিত বলিয়া গণ্য হইবে। 

(২) লাইফ ইন্স্যুরেন্স বা নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করিতে ইচ্ছুক এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের নিকট, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে, নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করিতে হইবে৷ 

(৩) এই আইন বলবৎ হইবার অব্যবহিত পূর্বে Insurance Act, 1938 এর অধীন নিবন্ধিত কোন বীমাকারী বাংলাদেশে উহার বীমা ব্যবসা অব্যাহত রাখিতে চাহিলে উক্ত বীমাকারীকে এই আইন বলবৎ হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট নিবন্ধন সনদের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করিতে হইবে৷ 

(৪) এই ধারার অধীন নিবন্ধন সনদ ইস্যুকরণ ও নবায়নের জন্য আবেদনকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান করিতে হইবে৷ 

(৫) এই ধারার অধীন নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদনপত্রের সহিত নিম্নবর্ণিত দলিল, কাগজ ও তথ্যাদি দাখিল করিতে হইবে, যথাঃ- 

(ক) আবেদনকারী কোন কোম্পানী হইলে, উহার সংঘ-স্মারক ও সংঘ-বিধির প্রত্যায়িত অনুলিপি, পরিচালকদের নাম, ঠিকানা, পেশা এবং ট্যাক্স পরিচিতি নম্বর, যদি থাকে;


(খ) আবেদনকারী Insurance Act, 1938 এর অধীন নিবন্ধিত বীমা কোম্পানী হইলে বাংলাদেশে উহার প্রধান কার্যালয়ের পূর্ণ ঠিকানা এবং উক্ত কোম্পানীর পরিচালকগণের এবং ব্যবস্থাপকের নাম, ট্যাক্স পরিচিতি নম্বর, যদি থাকে, এবং যোগাযোগের ঠিকানা; 

(গ) আবেদনকারীর বীমা ব্যবসার প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের বাহিরে হইলে বা আবেদনকারী বাংলাদেশের বাহিরে স্থায়ী নিবাসী হইলে ধারা ১১৪ এর দফা (ক) এ বর্ণিত দলিল; 

(ঘ) আবেদনকারী সমবায় সমিতি হইলে, উহার সকল সদস্যের নাম, ঠিকানা, ট্যাক্স পরিচিতি নম্বর, যদি থাকে, এবং সমিতির নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা; 

(ঙ) বাংলাদেশের বাহিরে বীমা ব্যবসার প্রধান কার্যালয় রহিয়াছে এইরূপ আবেদনকারী বা বাংলাদেশের বাহিরে স্থায়ী নিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যে দেশে উক্ত বীমাকারী গঠিত, নিগমিত বা যে দেশে উক্ত ব্যক্তি স্থায়ী নিবাসী সেই দেশের নাগরিকগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এমন আবশ্যকীয় বিষয়াদি, যদি থাকে, যাহা সেই দেশের বীমা ব্যবসায় পরিচালনার জন্য বাংলাদেশী নাগরিকগণের ক্ষেত্রে শর্ত হিসাবে আইন কিংবা প্রচলিত প্রথা দ্বারা আরোপিত এইরূপ বিষয়ে বীমাকারীর মুখ্য-নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক হলফনামা দ্বারা প্রতিপাদিত একটি বিবরণী; 

(চ) যে শ্রেণী বা উপ-শ্রেণীসমূহের বীমা ব্যবসা করা হইবে তৎসম্পর্কিত বিবরণী এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পূর্বে ধারা ২৩ অথবা ধারা ১১৯ অনুযায়ী আবশ্যকীয় অর্থ জমাদান সম্পর্কিত বিবরণসহ জমাকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ সম্বলিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যায়নপত্র ; 

(ছ) যেই সকল ক্ষেত্রে ধারা ২১ ও ধারা ১১৮ এর বিধান প্রযোজ্য সেই সকল ক্ষেত্রে যথাক্রমে বীমাকারীর মোট পরিশোধিত মূলধন এবং মোট চলতি মূলধন সম্পর্কে নিরীক্ষক দ্বারা যথাযথ প্রত্যায়নকৃত একটি বিবরণী এবং এতদ্ববিষয়ে বীমাকারীর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক পরিশোধিত মূলধন বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, চলতি মূলধন সংক্রান্ত উক্ত ধারাসমূহের বিধান পরিপালিত হইয়াছে মর্মে হলফনামা দ্বারা প্রত্যায়িত একটি ঘোষণাপত্র; 

(জ) প্রকাশিত প্রসপেক্টাস, যদি থাকে, এবং বীমাকারীর মানসম্মত পলিসি ফরম এর প্রত্যায়িত অনুলিপি, প্রস্তাবিত প্রিমিয়াম হার, সুবিধা এবং বীমা পলিসি সম্পর্কিত শর্তাবলীর বিবরণ এবং তৎসহ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সম্পর্কিত উক্ত হার, সুবিধা ও শর্তাবলীর কার্যকরযোগ্য ও যথার্থ মর্মে একচ্যুয়ারী কর্তৃক একটি সনদপত্রঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও মোটরকার বীমা ব্যতীত অন্যান্য নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রস্পেক্টাস, পূরণকৃত ফরম ও বিবরণী সংক্রান্ত করণীয়সমূহ; 

(ঝ) এই আইনের অধীন বিন্যাসিত কোন শ্রেণীর বা উপ-শ্রেণীর বীমা ব্যবসার জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত, ফি পরিশোধের রসিদ; এবং 

(ঞ) এতদুদ্দেশ্যে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্য যে কোন দলিল, কাগজ বা তথ্যাদি৷ 

(৬) এই ধারার অধীন প্রতিটি আবেদনপত্র আবেদনকারী কর্তৃক এই মর্মে ঘোষণাপত্র দ্বারা স্বাক্ষরিত ও প্রত্যায়িত হইবে যে, আবেদনপত্রের সহিত সংযুক্ত বিবরণী সত্য ও সঠিক৷ 

(৭) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রের সাথে দাখিলকৃত সকল তথ্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হইবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও অনুসন্ধান করিতে পারিবে৷
   
   
 
নিবন্ধন সনদ প্রদান
৯৷ (১) ধারা ৮ এর অধীন নিবন্ধন সনদের জন্য কোন আবেদন প্রাপ্তির পর, উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইলে বীমাকারীকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স বা নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবন্ধন সনদ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ- 

(ক) আবেদনকারী বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে বাংলাদেশের বা অন্য কোন রাষ্ট্রের আইনে নিগমিত বা নিবন্ধিত; 

(খ) এই আইনের অধীন আবশ্যকীয় ন্যূনতম পরিশোধিত শেয়ার মূলধন সম্পর্কিত বিধানাবলী আবেদনকারী পরিপালন করিয়াছে; 

(গ) এই আইনের অধীন ন্যূনতম সংবিধিবদ্ধ জমা সম্পর্কিত বিধানাবলী আবেদনকারী কর্তৃক পরিপালিত হইয়াছে; 

(ঘ) আবেদনকারীর ব্যবস্থাপনার সাধারণ বৈশিষ্ট্যাবলী ভাল এবং আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ় ; 

(ঙ) এই আইনের অধীন পুনঃবীমা সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের বিধানাবলী আবেদনকারী পরিপালন করিয়াছে; 

(চ) আবেদনকারীর পরিকল্পিত ব্যবসায়ের পরিমাণে উহার দায় পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত আয়ের সম্ভাবনা রহিয়াছে; এবং 

(ছ) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য একজন একচ্যুয়ারি এবং যোগ্যতাসম্পন্ন অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী আবেদনকারীর অধীন চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবার মত পরিস্থিতি রহিয়াছে৷

(২) কোন আবেদনকারীর আবেদন যথাযথ বিবেচিত না হইলে, কর্তৃপক্ষ, আবেদনকারীকে যুক্তিসঙ্গত শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া, নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে আবেদনটি নামঞ্জুর করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক উহা আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে৷ 

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন সনদ সংক্রান্ত আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত হইবার অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷ 

(৪) আবেদনকারী কর্তৃক বীমা ব্যবসার প্রত্যেক শ্রেণীর এবং উপ-শ্রেণীর জন্য, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি পরিশোধিত না হইলে এবং তদসংশ্লিষ্ট পরিশোধের রসিদ জমা প্রদান করা না হইলে কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন সনদের আবেদনপত্র নামঞ্জুর করিবে৷
   
   
 
নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিলকরণ
১০৷ (১) কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক কারণে বীমাকারীর নিবন্ধন সম্পূর্ণরূপে বা বিশেষ কোন শ্রেণীর বা উপ-শ্রেণীর বীমা ব্যবসা স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে, যথাঃ- 

যদি বীমাকারী- 

(ক) ধারা ২৩ বা ধারা ১১৯ এর জামানত সম্পর্কিত বিধান পালনে ব্যর্থ হন ; 

(খ) নিবন্ধনের ১ (এক) বৎসরের মধ্যে ব্যবসা শুরু না করেন ; 

(গ) উহার পাওনাদারদের সংগে কোন সমঝোতা বা বন্দোবস্ত করার প্রস্তাব করিয়া বা উক্ত সমঝোতা বা বন্দোবস্ত করিয়া থাকে, বা একীভূত হইয়া থাকে বা বীমা ব্যবসা অবসায়িত বা অবলুপ্ত হইয়া থাকে বা অন্য কোনভাবে ব্যবসাটি বন্ধ হইয়া যায় বা বীমাকারী দেউলিয়া ঘোষিত হন ; 

(ঘ) বীমা পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থের বা ব্যবসার উন্নয়নের পরিপন্থী বা জাতীয় স্বার্থে ক্ষতিকর কোন বীমা ব্যবসা পরিচালনা করেন; 

(ঙ) তাহার দায় দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন ; 

(চ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সলভেন্সি মার্জিন সংরক্ষণে ব্যর্থ হন; 

(ছ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান লংঘন করেন বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত কোন শর্ত বা প্রদত্ত কোন নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হন; 

(জ) তাহার ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে বা অপকর্মে বা অনিয়মের সহিত জড়িত থাকেন; 

(ঝ) সন্তোষজনকভাবে পুনঃবীমা ব্যবস্থাকার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; বা 

(ঞ) তাহার উপর কোন বীমা পলিসির, বাংলাদেশে উদ্ভূত, কোন দাবী কোন আদালতের চূড়ান্ত রায়ের বা এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের আদেশের পর ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত অপরিশোধিত থাকে৷ 

(২) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত এক বা একাধিক কারণে, বীমাকারীকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করিয়া, বীমাকারীকে প্রদত্ত নিবন্ধন অনধিক ৩ (তিন) মাসের জন্য স্থগিত করিতে পারিবে।উক্ত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বীমাকারী কর্তৃক নূতন পলিসি জারী নিষিদ্ধ থাকিবে এবং ইতিপূর্বে পলিসির অধীনে পালনীয় দায়-দায়িত্ব অব্যাহত রাখিবে। 


(৩) বীমাকারীর নিকট হইতে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রেরিত নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথাঃ- 

(ক) বীমাকারী কর্তৃক প্রদত্ত স্থগিতাদেশ দূরীকরণের পক্ষে প্রদর্শিত কারণে সন্তুষ্ট হইলে, অনতিবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারকরণ; বা 

(খ) বীমাকারী কর্তৃক প্রদর্শিত কারণে সন্তুষ্ট না হইলে ইতিপূর্বে বলবৎ স্থগিতাদেশের মেয়াদকাল অনধিক আরও ২ (দুই) মাসের জন্য বৃদ্ধি বা নিবন্ধন বাতিলকরণ৷ 

(৪) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) অনুসারে স্থগিতাদেশ বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুনরায় বীমাকারীকে নিম্নরূপ বিষয়াদি অবহিত করিতে হইবে, যথাঃ- 

(ক) স্থগিতাদেশ বর্ধিতকরণের সময়কাল; এবং 

(খ) স্থগিতাদেশ বর্ধিত করণের কারণ এবং উক্তরূপ কারণ অবসানের জন্য বীমাকারী কর্তৃক গৃহীতব্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এবং উহার সময়সীমা৷ 

(৫) বীমাকারী কর্তৃক উপ-ধারা (৪) এর দফা (খ) এর অধীন গৃহীত কার্যক্রমে সন্তুষ্ট না হইলে কর্তৃপক্ষ, অবিলম্বে, বীমাকারীর নিবন্ধন সনদ বাতিল করিবে এবং সন্তুষ্ট হইলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করিবে৷ 

(৬) এই ধারার অধীন কোন নিবন্ধন সনদ বাতিল করিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনধিক ১৫(পনের) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ, লিখিত নোটিশ দ্বারা, বীমাকারীকে তাহার সিদ্ধান্ত অবহিত করিবে এবং এইরূপ সিদ্ধান্ত নোটিশে উল্লিখিত তারিখে কার্যকর হইবে। 

(৭) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ধারা ৯, ১০ ও ১১ এর অধীন গৃহীত যে কোন ব্যবস্থা ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত হইবার অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবে। 

(৮) এই ধারা অনুযায়ী কোন নিবন্ধন সনদ বাতিল হইলে বাতিলকরণ কার্যকর হওয়ার পর বীমাকারী নতুন কোন বীমাচুক্তি করিতে পারিবে নাঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, নিবন্ধন সনদ বাতিল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তদকর্তৃক ইস্যুকৃত বীমাচুক্তিসমূহের অধিকার ও দায়-দায়িত্ব, উপ-ধারা (১১) এর বিধান সাপেক্ষে, নিবন্ধন সনদ বাতিল না হইলে যেইরূপ হইত সেই একইরূপে উহা চলমান ও অব্যাহত থাকিবে৷ 

(৯) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন বাতিল হইয়া থাকিলে কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত কারণে সন্তুষ্ট হইয়া স্বীয় বিবেচনায় নিবন্ধন পুনরুজ্জীবিত করিতে পারিবে, যথাঃ- 

যদি বীমাকারী- 

(ক) ধারা ২৩ বা ধারা ১১৯ এর বিধান অনুযায়ী আবশ্যকীয় জামানত প্রদান করেন; 

(খ) তাহার স্থায়ী চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করেন; 

(গ) উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ) এর অধীন যে লংঘন বা পরিপালনজনিত ব্যর্থতার জন্য নিবন্ধন বাতিল হইয়াছিল তাহা পরিপালন করিয়া থাকেন; 

(ঘ) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঞ) এর অধীন কোন দাবী অপরিশোধিত না রাখেন; বা 

(চ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ পরিপালন করিয়া থাকেন৷ 

(১০) উপ-ধারা (১) এর অধীন বীমা কোম্পানীর নিবন্ধন বাতিল হইলে বাতিলকরণ কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস পর কর্তৃপক্ষ বীমা কোম্পানীর অবসায়নে বা বীমা কোম্পানীর যে কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসার অবসায়ন আদেশের জন্য আদালতে আবেদন করিতে পারিবে, যদি না উপ-ধারা (৯) অনুযায়ী বীমা কোম্পানীর নিবন্ধন পুনরুজ্জীবিত হইয়া থাকে বা কোম্পানী অবসায়নের জন্য ইতোপূর্বে কোন আবেদন আদালতে উত্থাপিত হইয়া থাকে৷ 

(১১) আদালত উপ-ধারা (১০) এর অধীন আবেদনকে ধারা ১০৩ ও ধারা ১০৯ এর অধীন আবেদন গণ্য করিয়া প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।
   
   
 
নিবন্ধন সনদের নবায়ন
১১৷ (১) ধারা ৯ এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদ নবায়নযোগ্য এবং উহা প্রতি বৎসর নবায়ন করিতে হইবে৷ 

(২) বীমাকারীকে কোন বৎসরের নিবন্ধন নবায়নের দরখাস্ত পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০শে নভেম্বরের পূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং আবেদনের সাথে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান করিতে হইবে৷ 

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বীমাকারীর আবেদন ও আবেদনের ফি প্রাপ্তি সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ বীমাকারীর লাইসেন্স নবায়ন করিবে। 

(৪) কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন সনদ এবং উহা নবায়ন, স্থগিত এবং বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবে এবং উহাতে এতদ্‌সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয় লিপিবদ্ধ রাখিবে।
   
   
 
নিবন্ধনের আবেদনের সাথে দাখিলকৃত তথ্যের পরিবর্তন অবহিতকরণ
১২৷ (১) ধারা ৯ এর অধীন নিবন্ধীকরণের পর যদি কখনও এমন কোন পরিবর্তন ঘটে বা করা হয় যাহা আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত কোন দলিল বা বিবরণ বা আবেদনের সহিত দাখিল করা প্রয়োজনীয় এমন কোন দলিল সংশ্লিষ্ট, তাহা হইলে বীমাকারী উক্তরূপ পরিবর্তনের বিষয়ে তদকর্তৃক প্রত্যায়িত একটি বিবরণী অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে৷ 

(২) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পরিবর্তন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির সহিত সম্পৃক্ত হয় এবং প্রস্তাবিত বীমা হার, সুযোগ-সুবিধা ও শর্তাবলীকে প্রভাবিত করে, তাহা হইলে উক্তরূপ পরিবর্তন সংক্রান্ত বিবরণীর সংগে একটি একচ্যুয়ারিয়াল সনদপত্র সংযুক্ত করিতে হইবে৷
   
   
 
একই বীমাকারী কর্তৃক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার নিবন্ধনে বিধিনিষেধ
১৩৷ কোন বীমাকারী- 

(ক) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার কোন শ্রেণীর জন্য নিবন্ধিত হইলে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার জন্য; এবং 

(খ) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার কোন শ্রেণীর জন্য নিবন্ধিত হইলে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার জন্য, নিবন্ধিত হইবে না৷
   
   
 
বীমাকারীর শাখা ও কার্যালয় স্থাপনে লাইসেন্স প্রদান
১৪৷ (১) কোন বীমাকারী এই আইন কার্যকর হইবার পর কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত নতুন শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করিতে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন করিতে পারিবে না৷ 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বীমাকারী কর্তৃক, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, আবেদন দাখিল করিতে হইবে৷ 

(৩) এই ধারার অধীন লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিবেচনাক্রমে নূতন শাখা বা কার্যালয় স্থাপনের জন্য বীমাকারী বরাবরে নির্ধারিত ফরমে লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবে৷ 

(৪) কোন আবেদনকারীর আবেদন যথাযথ বিবেচিত না হইলে কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া আবেদনটি নামঞ্জুর করিবে এবং নামঞ্জুর সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণের তারিখ হইতে অনধিক ৬ (ছয়) সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে৷ 

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন লাইসেন্স সংক্রান্ত আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্তরূপ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত হইবার অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ আবেদনের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷ 

(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কোন আপীল করা হইলে উক্তরূপ আপীল অনিষ্পন্ন থাকাবস্থায় একই বীমাকারী একই স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করিতে বা ব্যবসায়িক লেনদেন করিতে লাইসেন্সের জন্য পুনরায় আবেদন করিতে পারিবেন না। 

(৭) এই ধারার অধীন কোন স্থানে নূতন শাখা বা কার্যালয় স্থাপন বা ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য লাইসেন্সের আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে বা, ক্ষেত্রমত, আপীল নামঞ্জুর হইলে, উক্তরূপ নামঞ্জুরের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের মধ্যে একই বীমাকারী একই স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করিতে বা ব্যবসায়িক লেনদেন করিতে লাইসেন্সের জন্য পুনরায় আবেদন করিতে পারিবেন না।
   
   
 
বীমাকারীর নাম সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ
১৫৷ (১) এই আইনের অধীন বা এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে Insurance Act, 1938 এর অধীন নিবন্ধিত কোন বীমাকারীর একই নামে কিংবা সাদৃশ্য নামে, যাহা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করিতে পারে বা প্রতারণামূলক বিবেচিত হইতে পারে, কোন ব্যক্তিকে বীমাকারী হিসাবে নিবন্ধন করা যাইবে না, যদি না নিবন্ধিত বীমাকারী অবসায়ন প্রক্রিয়ায় না থাকে এবং একই নামে বা সাদৃশ্য নামে কোন ব্যক্তিকে বীমাকারী হিসাবে নিবন্ধনের জন্য ইতিমধ্যে নিবন্ধিত বীমাকারীর সম্মতি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা না হয়। 

(২) যদি কোন বীমাকারীকে অসতর্কতাবশতঃ এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কোন নামে বা সাদৃশ্য নামে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয় যাহা ইতিমধ্যে নিবন্ধিত কোন বীমাকারীর নামের অনুরূপ এবং তৎসম্পর্কে ইতিপূর্বে নিবন্ধিত বীমাকারীর কোনরূপ সম্মতি না থাকে, তাহা হইলে পূর্বে নিবন্ধিত বীমাকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরে নিবন্ধিত বীমাকারী, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের মধ্যে উহার নাম পরিবর্তন না করিলে, কোনরূপ বীমা ব্যবসা করিতে পারিবে না।
   
   
 
লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর জন্য প্রিমিয়াম হারের যথার্থতা
১৬৷ (১) ধারা ৮ এর অধীন নিবন্ধনের আবেদনকালে অথবা অন্য কোন সময় কর্তৃপক্ষের কাছে যদি এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবিত প্রিমিয়াম হার, সুবিধা ও শর্তাবলী গ্রহনযোগ্য বা যথার্থ নহে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ, তদকর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উক্ত হার, সুবিধা ও শর্তাবলী ঐরূপে সংশোধন করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে যাহা গ্রহনযোগ্য ও যথার্থ বলিয়া কর্তৃপক্ষ মনে করে৷ 

(২) কোন বীমাকারী কর্তৃক নিয়োজিত একচ্যুয়ারি কর্তৃক পলিসিতে বর্ণিত প্রিমিয়াম হার, সুবিধা ও শর্তাবলী গ্রহনযোগ্য ও যথার্থ বলিয়া প্রত্যায়িত করা না হইলে উক্ত বীমাকারী কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি ইস্যু করিতে পারিবে না৷ 

(৩) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন বীমাকারী নূতন কোন বীমা পরিকল্প চালু করিতে চাহিলে নিয়োজিত একচ্যুয়ারির প্রত্যায়নপত্রসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পূর্ণ বিবরণ সম্বলিত প্রসপেক্টাস বা প্রচারপত্র ও পলিসির নমুনা পরিকল্পটি বিপণন করার অন্যূন ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিতে হইবে৷ 

(৪) কোন বীমাকারী উপ-ধারা (২) এবং উপ-ধারা (৩) এর বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে ঐরূপ প্রত্যেক ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর উপর কর্তৃপক্ষ অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে৷ 

(৫) একচ্যুয়ারি কর্তৃক প্রদেয় প্রত্যায়নপত্র প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী হইবে৷

(৬) কর্তৃপক্ষ প্রিমিয়াম হারে ব্যবহৃত সর্বোচ্চ সুদ হার এবং কমিশন হার নির্ধারণ করিতে পারিবে৷ 

(৭) কর্তৃপক্ষের নিকট লাইফ ইন্স্যুরেন্স পরিকল্প যথার্থ প্রতীয়মান না হইলে কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ত্রিশ (৩০) দিনের মধ্যে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথাঃ- 

(ক) বীমাকারী কর্তৃক লাইফ ইন্স্যুরেন্স পরিকল্পটি সর্বসাধারণের নিকট বিপণন নিষিদ্ধ করিবে; বা 

(খ) বীমাকারীকে তদকর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বীমা পরিকল্পটি পরিবর্তন বা সংশোধন করিতে নির্দেশ দিবে ।

(৮) কর্তৃপক্ষ বীমা পলিসি গ্রাহকদের মৃত্যুহার, বিনিয়োগলব্ধ আয়ের হার, ব্যবস্থাপনা ব্যয় হার এবং প্রদত্ত কমিশন হার সম্পর্কিত তথ্যাবলী প্রেরণ করার জন্য বীমাকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং বীমাকারী উক্তরূপ নির্দেশ প্রতিপালন করিবে৷ 

(৯) কোন বীমাকারী ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (জ) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত প্রস্‌প্রেক্টাস, যদি দাখিল করা হইয়া থাকে, বা ধারা ১২ এর অধীন দাখিলকৃত সংশোধিত বিবরণীতে উল্লিখিত লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার পলিসি ব্যতীত অন্য কোন পলিসি বা চুক্তির প্রস্তাব করিবে না, যদি না বীমাকারী এই ধারা অনুযায়ী উক্তরুপ পলিসির হার, সুবিধা ও শর্তাবলী সংক্রান্ত প্রত্যায়ন পত্র কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করে৷ 

(১০) কর্তৃপক্ষ প্রতি ১০ (দশ) বৎসর অন্তর বীমা পলিসি গ্রাহকদের গড় মৃত্যুহার সম্বলিত মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুত করিবে৷
   
   
 
নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর জন্য প্রিমিয়াম হার নির্ধারণ
১৭৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ একটি সেন্ট্রাল রেটিং কমিটি (সি.আর.সি) গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, নন-লাইফ ইন্সু্রেন্স ব্যবসার জন্য প্রিমিয়াম হার নির্ধারণ করিতে পারিবে, যাহা উক্তরূপ বীমাকারী প্রতিপালনে বাধ্য থাকিবে৷ 

(২) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সেন্ট্রাল রেটিং কমিটির প্রধান হইবেন এবং ইহার সদস্য সংখ্যা, ক্ষমতা, কার্যাবলী এবং ব্যবস্থাপনা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷ 

(৩) সরকার, প্রয়োজনে, যে কোন সময়ে সেন্ট্রাল রেটিং কমিটি ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবে৷
   
   
 
প্রিমিয়াম সংগ্রহ সংক্রান্ত বিধানাবলী
১৮৷ (১) প্রত্যেক বীমাকারী এই আইন বলবত্‍ হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তাহার অগ্নি, নৌ এবং বিবিধ বীমা ব্যবসা সংক্রান্ত বকেয়া মোট প্রিমিয়ামের পরিমাণ এজেন্টদের স্থিতিসহ, যদি থাকে, কর্তৃপক্ষের নিকট ঘোষণা করিবে এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহা আদায় করিবে এবং এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিবে৷ 

(২) কোন বীমাকারী, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, এই আইন বলবৎ হওয়ার তারিখে কিংবা তৎপরবর্তী কোন সময়ে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংশ্লিষ্ট কোন বকেয়া প্রিমিয়াম অবলোপন করিবে না। 

(৩) কোন বীমাকারী বাংলাদেশে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংক্রান্ত কোন বীমা ঝুঁকি গ্রহণ করিবে না যদি না বীমাকারী প্রদেয় প্রিমিয়াম বা বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে প্রদেয় প্রিমিয়ামের অংশ বিশেষ পাইয়া থাকে কিংবা নির্ধারিত ঐরূপ পদ্ধতি বা সময়ের মধ্যে এরূপ ব্যক্তি দ্বারা প্রদেয় প্রিমিয়াম পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করা হইয়া থাকে। 

(৪) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি বাতিল কিংবা উহার শর্তাবলীতে কোন পরিবর্তন হইলে বীমা গ্রহীতার পাওনা ফেরৎযোগ্য প্রিমিয়ামের অর্থ ক্রসড্ অর্ডার চেকে বা মানি অর্ডারের মাধ্যমে সরাসরি বীমা গ্রহীতাকে পরিশোধ করিতে হইবে ও বীমা গ্রহীতার নিকট হইতে ইহার যথাযথ প্রাপ্তিস্বীকার গ্রহণ করিতে হইবে এবং ঐরূপ ফেরৎযোগ্য অর্থ কোনক্রমেই বীমা এজেন্ট বা ব্রোকারের হিসাবে প্রদান করা যাইবে না।
   
   
 
বিদেশে বীমা সংক্রান্ত বিধানাবলী
১৯৷ কোন ব্যক্তি বাংলাদেশস্থ কোন সম্পত্তি বা স্বার্থের কোন ঝুঁকির বীমা, বাংলাদেশে অনুরূপ ঝুঁকি আবরিত (risk cover) করা যায় না মর্মে কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে সনদপত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে, বাংলাদেশের বাহিরে করিবে না :-

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তিকে যেইরূপ সমীচীন মনে করে সেইরুপ সময়ের জন্য উক্ত সম্পত্তি বা স্বার্থের বীমা সম্পর্কিত এই ধারার বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে 

      আরো শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ যদি এই ধারার অধীন সনদপত্র প্রদান প্রত্যাখ্যান করে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে তাহার সিদ্ধান্ত এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে অবহিত করিবে৷
   
   
 
বিদেশে পুনঃবীমা সংক্রান্ত বিধানাবলী
২০৷ (১) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে কোন বীমাকারী বীমাপলিসি গ্রাহক এবং বীমাকারীর স্বার্থ নিশ্চিত হয় এইরূপ সম্পাদিত ও কার্যকর চুক্তি বা বীমা পলিসি হইতে উদ্ভূত বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে যে কোন দায় অন্য বীমাকারীর সহিত পুনঃবীমা করিতে পারিবে৷ 

(২) কর্তৃপক্ষ, লিখিত নোটিশ দ্বারা, কোন পুনঃবীমাকারীকে, প্রয়োজনে পলিসি সংক্রান্ত দাবী মিটাইতে তাহার পর্যাপ্ত অর্থ ও সম্পদ আছে কি না সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে৷ 

(৩) কর্তৃপক্ষ, সময়ে সময়ে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সকল বীমাকারীকে বাংলাদেশে তাহাদের বীমা ব্যবসা সংশ্লিষ্ট জারীকৃত ও কার্যকর কোন পলিসি বা চুক্তির অধীন ঝুঁকি আবরিত করণের জন্য তৎকর্তৃক নির্দিষ্ট বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে কোন পুনঃবীমাকারীর সহিত পুনঃবীমা চুক্তিকরণ নিষিদ্ধ করিতে পারিবে, যদি পুনঃবীমাকারীর সহিত অনুরূপ চুক্তি জাতীয় স্বার্থ বিরোধী হয়ঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন প্রজ্ঞাপন জারী করার পূর্বে কর্তৃপক্ষ যে সকল বীমাকারী এবং পুনঃবীমাকারী বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে ঐ সকল নির্দিষ্ট পুনঃবীমাকারীর সহিত পুনঃবীমা ব্যবসারত তাহাদেরকে প্রজ্ঞাপন জারীর ইচ্ছা অবহিত করিবে এবং জারীতব্য প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে বীমাকারী বা বীমাকারীদের কোন আবেদন থাকিলে তাহা বিবেচনা করিবে৷
   
   
 
মূলধন ও শেয়ারধারণ সম্পর্কিত পূরণীয় শর্ত
২১। (১) এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে বাংলাদেশে যে কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসায়ে নিয়োজিত ছিল এইরূপ বীমাকারী ব্যতীত, অন্য কোন বীমাকারী এই আইন বলবৎ হইবার পর কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবন্ধীকৃত হইবে না, যদি তাহার তফসিল ১ এ বিধৃত পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন না থাকে এবং তাহার শেয়ারসমূহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী পরিশোধিত না হইয়া থাকে : 

      তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করিতে পারিবে : 

      আরো শর্ত থাকে যে, উদ্যোক্তাগণ নিবন্ধনের আবেদন করার পূর্বে পরিশোধিত মূলধনে তাহাদের নিজ নিজ অংশ দায় মুক্তভাবে বাংলাদেশে কোন তফসিলী ব্যাংকে কোম্পানীর নামে জমা করিবেন এবং উক্ত অর্থ দায়মুক্তভাবে জমা হিসাবে থাকিবে। 

(২) বীমাকারী কর্তৃক নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের পর বা ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পরিশোধিত মূলধন জমার হিসাব হইতে জমার উপর অর্জিত সুদ ব্যতীত কোন অর্থ উত্তোলন করা যাইবে না এবং কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষের অনুকূলে ছাড়া পরিশোধিত মূলধনের উপর কোনরূপ লিয়েন লিপিবদ্ধ করা যাইবে না। 

(৩) এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন বীমাকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমার মধ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীনে উহার মূলধন থাকার শর্ত পূরণ করিতে হইবে। 
   
   
 
বিদেশী উদ্যোক্তার শেয়ার
২২৷ বিদেশী উদ্যোক্তা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, বীমা কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় বা ধারণ করিতে পারিবে এবং তৎকর্তৃক শেয়ার ধারণ সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত হইবে না৷
   
   
 
জামানত (Deposit)
২৩৷ (১) কোন বীমাকারী এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে বা, এই আইনের অধীন নিবন্ধনের আবেদন করার সময়ে তফসিল-১ এ বিধৃত অংকের অর্থ নগদে বা জমার তারিখে বাজার দর অনুযায়ী প্রাক্কলিতমূল্যে, অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ প্রাক্কলিত অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানত হিসাবে জমা করিবে এবং রাখিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জামানতের অর্থ বীমাকারীর অনুকূলে জমা রাখা হইবে এবং বীমাকারী বরাবরে উক্ত অর্থ ফেরত্‍ প্রদানযোগ্য হইলে নগদ অর্থের যে পরিমাণ অংশ বীমাকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হইয়াছে উক্ত অংশ ব্যতীত বাকী অংশ বীমাকারী প্রাপ্য হইবে এবং জমাকৃত সিকিউরিটিজের উপর অর্জিত সুদও বীমাকারী প্রাপ্য হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, সিকিউরিটিজের উপর সুদ সংগ্রহ করিবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, ধার্যকৃত কমিশন কর্তনযোগ্য হইবে৷

(৩) বীমাকারী যে কোন সময় এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত সিকিউরিটিজ নগদে বা অন্য অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে ও আংশিক অন্য অনুমোদিত সিকিউরিটিজে প্রতিস্থাপন করিতে পারিবে এই শর্তে যে, অনুরূপ নগদ অর্থ বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের মূল্য বিদ্যমান বাজার দরে, বা অনুরূপ নগদ অর্থ এবং সিকিউরিটিজের পত্রের মূল্য, যাহা প্রযোজ্য, জমা প্রদান করিবার তারিখে প্রাক্কলিত সিকিউরিটিজ পত্রের মূল্য অপেক্ষা কম না হয়৷

(৪) বীমাকারী আবেদন করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক-

(ক) এই ধারার অধীন বীমাকারী কর্তৃক জমাকৃত সিকিউরিটিজ বিক্রয় করিতে এবং উক্তরূপ বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিজের কাছে জামানত হিসাবে রাখিতে পারিবে, বা


(খ) বীমাকারী কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত জমাকৃত অর্থ বা সিকিউরিটিজের বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ, বা জমাকৃত সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য সরকারী সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে এবং ঐরূপ বিক্রয় ও বিনিয়োগের জন্য তদকর্তৃক ধার্যকৃত কমিশন আদায় করিতে পারিবে৷

(৫) যেই ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৪) এর বিধান প্রযোজ্য হয়, সেই ক্ষেত্রে - 

(ক) যদি সিকিউরিটিজ এর বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা অর্জিত সুদ ব্যতীত, সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য জমাকৃত সিকিউরিটিজের জমা দেওয়ার তারিখে বিদ্যমান বাজারমূল্যের কম হয়, তাহা হইলে বীমাকারী উক্ত ঘাটতি সিকিউরিটিজের পরিপক্ক হওয়া বা বিক্রীত হওয়ার ২ (দুই) মাসের মধ্যে নগদে বা জমা প্রদান করিবার তারিখে বাজার দরে প্রাক্কলিত মূল্যে সরকারী সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বা আংশিক নগদ ও আংশিক সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পূরণ করিবে, অন্যথায় বীমাকারী এই ধারার অধীন জামানত সম্পর্কিত বিধান লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(খ) যদি সিকিউরিটিজের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা অর্জিত সুদ ব্যতীত সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানতকৃত সিকিউরিটিজের জমা দেওয়ার তারিখে বিদ্যমান বাজার মূল্য অতিক্রম করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অতিরিক্ত অর্থ বীমাকারীকে ফেরত্‍দানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে; এবং

(গ) যদি এই ধারার অধীনে জামানতকৃত অর্থ হইতে কোন অংশ বীমাকারীর কোন দায় নিষ্পন্নে ব্যবহৃত হইয়া থাকে, তাহা হইলে বীমাকারী উক্ত ব্যবহূত অর্থ পূরণে নগদে বা জমা দেওয়ার তারিখে বাজার মূল্যে প্রাক্কলিত সরকারী সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে এবং আংশিক অনুরূপ মূল্যায়িত সরকারী সিকিউরিটিজে অতিরিক্ত অর্থ জমাদান করিবে এবং দায় নিষ্পন্নে ব্যবহূত জামানত বা উহার কোন অংশ বিশেষ ব্যবহারের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে ঘাটতি পূরণ না হইলে বীমাকারী উপ-ধারা (১) এর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হইয়াছে এবং জামানত সম্পর্কিত বিধান লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
জামানত সংরক্ষণ
২৪৷ নিম্নবর্ণিত উপায়ে বীমাকারীর জামানত সংরক্ষণ করা হইবে, যথাঃ- 

(ক) ধারা ২৩ অথবা ১১৯ এর অধীনে জমাকৃত কোন জামানত বীমাকারীর সম্পত্তির অংশ বলিয়া বিবেচিত হইবে; 

(খ) জামানতে কোন স্বত্ব নিয়োগ কিংবা জামানত দায়বদ্ধ করা যাইবে না; 

(গ) বীমাকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত বীমা পলিসি হইতে উদ্ভূত দায়সমূহের অনিষ্পন্ন দায় মোচন ব্যতীত বীমাকারীর অন্য কোন দায় মোচনে জামানত ব্যবহার করা যাইবে না; বা 

(ঘ) বীমা পলিসি গ্রাহক পলিসি সম্পর্কিত এইরূপ কোন দায় যাহা বীমা পলিসি গ্রাহক অন্য কোন প্রকারে আদায় করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন সেইরূপ দায় সম্পর্কে তাহার অনুকূলে প্রাপ্ত আদেশ ব্যতীত জামানত ক্রোক করা যাইবে না৷
   
   
 
জামানত ফেরৎ প্রদান
২৫৷ কোন বীমাকারী বাংলাদেশে কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসা বন্ধ করিলে এবং উক্ত শ্রেণীর ব্যবসায়ে বাংলাদেশে তাহার দায় নিষ্পন্ন সন্তোষজনক হইয়া থাকিলে বা অন্য কোন প্রকারে উহা নিষ্পন্নের ব্যবস্থা করা হইলে বীমাকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ উক্ত শ্রেণীর বীমা ব্যবসার জন্য ধারা ২৩ বা ধারা ১১৯ এর অধীন জমাকৃত জামানত ফেরত্‍ প্রদান করিতে পারিবে৷
   
   
 
পৃথক হিসাব এবং তহবিল
২৬৷ (১) বীমাকারী এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির অধীন প্রত্যেক শ্রেণীর এবং, ক্ষেত্রমত, উপ-শ্রেণীর বীমা ব্যবসার জন্য, একক বা যৌথভাবে, যে প্রকারের ব্যবসাই হউক না কেন, সমুদয় আয়-ব্যয়ের পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করিবে৷ 

(২) যেই ক্ষেত্রে বীমাকারী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করে সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যবসার যাবতীয় অর্থ লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিল নামে একটি পৃথক তহবিলে জমা করিতে হইবে৷ 

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন তহবিলে জমাকৃত অর্থ ও সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ প্রত্যেক বীমাকারী প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসর শেষ হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে প্রবিধান অনুযায়ী যথাযথভাবে নিরীক্ষকের নিকট হইতে প্রত্যায়ন করিয়া কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে৷ 

(৪) লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিল হইবে শুধুমাত্র লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রাহকগণের নিরাপত্তার জন্য, যাহা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যতীত অন্য কোন চুক্তির অধীন দায়যুক্ত হইবে না এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে না৷
   
   
 
হিসাব স্থিতিপত্র, ইত্যাদি
২৭৷ (১) এই আইনের অধীন প্রত্যেক বীমাকারী বাংলাদেশে উহার লেনদেনকৃত সকল শ্রেণীর বীমা ব্যবসার বিষয়ে প্রতি পঞ্জিকা বৎসর সমাপ্ত হইবার পর উক্ত বৎসরের জন্য নিম্নবর্ণিত বিবরণাদি প্রস্তুত করিবে, যথাঃ- 

(ক) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ছকে স্থিতিপত্র (balance sheet);

(খ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ছক অনুযায়ী লাভ-ক্ষতির হিসাব; 

(গ) যে বীমাকারীকে এই আইন অনুযায়ী বীমা ব্যবসার ধরন অনুযায়ী আয় ও ব্যয়ের পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করিতে হয়, সেই বীমাকারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর বা উপ-শ্রেণীর বীমা ব্যবসার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রাজস্ব হিসাব; এবং 

(ঘ) উক্ত সময়ে বীমা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের নাম ও পরিচিতি সম্বলিত বিবরণ এবং উক্ত ব্যক্তিবর্গের ব্যবসায়িক কার্যাবলী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি উল্লেখক্রমে একটি প্রতিবেদন৷ 

(২) বীমাকারী কোম্পানী আইন এর অধীন কোন কোম্পানী হইলে কোম্পানীর চেয়ারম্যান, দুইজন পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক, বা বীমাকারী সমবায় সমিতি আইন এর অধীন সমবায় সমিতি হইলে উহার দুইজন সদস্য কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থিতিপত্র, লাভ-ক্ষতির হিসাব, রাজস্ব হিসাব ও প্রতিবেদন স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷ 

(৩) প্রত্যেক বীমাকারী তাহার শেয়ার গ্রহীতা ও বীমা পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংক্রান্ত পৃথক হিসাব প্রবিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করিবে।
   
   
 
নিরীক্ষা
২৮৷ (১) এই আইনের অধীন বাংলাদেশে পরিচালিত এবং লেনদেনকৃত কোন বীমা ব্যবসার স্থিতিপত্র, লাভ ও ক্ষতির হিসাব, রাজস্ব হিসাব, কোম্পানী আইন এর অধীন নিরীক্ষা সাপেক্ষে না হইলে, এক বা একাধিক নিরীক্ষক কর্তৃক প্রতি বৎসরে নিরীক্ষিত হইতে হইবে৷ 

(২) এই ধারার অধীন নিযুক্ত একজন নিরীক্ষক কোম্পানী আইন এর ধারা ২১৩ এর অধীন নিরীক্ষকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী প্রয়োগের অধিকারী হইবেন৷
   
   
 
বিশেষ নিরীক্ষা
২৯৷ (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনাকারী যে কোন বা সকল বীমা কোম্পানীর বীমা সংক্রান্ত সকল লেনদেন, রেকর্ডপত্র, দলিল দস্তাবেজ, সময় সময়, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এক বা একাধিক নিরীক্ষক দ্বারা নিরীক্ষা করাইতে পারিবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে এই ধারার অধীন কোন বৎসরের হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিযুক্ত নিরীক্ষক এবং ধারা ২৮ এর অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষক একই ব্যক্তি হইতে পারিবে না৷ 

(২) এই ধারার অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষক বীমাকারীর বীমা ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ডপত্র, হিসাব বই, রেজিস্টার, ভাউচার, পত্রাদি এবং অন্যান্য সকল দলিলাদি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে বীমা কারীর যে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বক্তব্য শ্রবণ করিতে এবং বীমাকারীর নিকট হইতে যে কোন প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র ও তথ্যাদি তলব করিতে পারিবেন৷ 

(৩) এই ধারার অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষক নিয়োগ প্রাপ্তির অনধিক ৪ (চার) মাসের মধ্যে একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করিয়া উক্ত প্রতিবেদনের ৪ (চার) টি কপি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিবেন। 

(৪) এই ধারার অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষক বীমাকারীর নিকট হইতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ ফি প্রাপ্ত হইবেন৷
   
   
 
একচ্যুয়ারি প্রতিবেদন ও সংক্ষিপ্তসার
৩০৷ (১) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রত্যেক বীমাকারী বৎসরে অন্ততঃ একবার প্রবিধানে নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার দায়সমূহের মূল্যায়নসহ তদকর্তৃক পরিচালিত লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা একজন একচ্যুয়ারি দ্বারা অনুসন্ধান করাইবে এবং অনুসন্ধান কার্য সম্পর্কে প্রবিধানে নির্ধারিত ছক ও পদ্ধতিতে একচ্যুয়ারি কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদনের একটি সংক্ষিপ্তসার প্রণয়ন করাইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন বীমাকারীর বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ উহাকে পূর্ববর্তী অনুসন্ধান সম্পাদনের ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে যে কোন তারিখে এই ধারার অধীন অনুসন্ধান করাইবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে৷ 

(২) বীমাকারী কর্তৃক কোন মুনাফা বিতরণের লক্ষ্যে আর্থিক অবস্থা নিরূপণের জন্য পরিচালিত যে কোন সময়ের অনুসন্ধান বা অনুসন্ধানের ফলাফল সর্বসাধারণের নিকট প্রদর্শিত হইবার ক্ষেত্রেও উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষিপ্তসার প্রণয়নের বিধান প্রযোজ্য হইবে৷ 

(৩) বীমাকারীর প্রকৃত ও সম্ভাব্য দায় সম্বলিত প্রতিটি পলিসির পূর্ণ ও নির্ভুল বিবরণী অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে একচ্যুয়ারিকে সরবরাহ করা হইয়াছে মর্মে বীমাকারীর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়ন পত্র এই ধারার অধীন প্রণীত প্রত্যেক সংক্ষিপ্তসারের সহিত পরিশিষ্ট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে৷ 

(৪) প্রতিটি সংক্ষিপ্তসারের সহিত প্রবিধান অনুযায়ী যে তারিখের হিসাবভিত্তিক সংক্ষিপ্তসার প্রস্তুত করা হইবে সেই তারিখে বীমাকারীর লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের একটি বিবরণীও পরিশিষ্ট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এবং উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অনুসন্ধান যদি বীমাকারী কর্তৃক বাৎসরিক ভিত্তিতে করানো হয় তবে উক্ত বিবরণী প্রতি বৎসর সংলগ্ন না করিয়া প্রতি ৩ (তিন) বৎসর অন্তর একবার পরিশিষ্ট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে৷ 

(৫) কোন বীমাকারীর আর্থিক অবস্থার অনুসন্ধান যদি হিসাব বর্ষ সমাপ্ত হওয়ার তারিখে না হয়, সেই ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী হিসাব বর্ষ সমাপ্তির পরবর্তী সময়ের হিসাব এবং অনুসন্ধানের তারিখের স্থিতিপত্র প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উহা এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিরীক্ষা করাইতে হইবে৷ 

(৬) লাইফ ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কিত এই ধারার বিধানাবলী দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য বীমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে যে, কোন বীমাকারী কর্তৃক লেনদেনকৃত স্বাস্থ্য বীমা ব্যবসার সংখ্যা ও পরিমাণ অত্যন্ত কম, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বীমাকারীকে এই উপ-ধারার অধীন স্বাস্থ্যবীমা সম্পর্কিত বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷ 

(৭) উপ-ধারা (১) এর অধীন দায় মূল্যায়ন এইরূপ পদ্ধতি ও ভিত্তিতে করিতে হইবে যাহাতে ইহা দ্বারা হিসাবকৃত একচ্যুয়ারিয়াল রিজার্ভ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ভিত্তিতে হিসাবকৃত একচ্যুয়ারিয়াল রিজার্ভ হইতে কম না হয়৷
   
   
 
পলিসি ও দাবীর রেজিস্টার
৩১৷ প্রত্যেক বীমাকারী তৎকর্তৃক বাংলাদেশে লেনদেনকৃত বীমা ব্যবসা সংক্রান্ত সকল পলিসি এবং দাবীর বিষয়ে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবে৷
   
   
 
বিবরণী দাখিলকরণ
৩২৷ (১) ধারা ২৭ এর অধীন হিসাব, স্থিতিপত্র, ইত্যাদি এবং ধারা ৩০ এর অধীন দায়-মূল্যায়ন প্রতিবেদনের নিরীক্ষিত হিসাব, সার-সংক্ষেপ ও বিবরণী মুদ্রিত হইতে হইবে এবং চার প্রস্থ রিটার্নরূপে কর্তৃপক্ষের নিকট, ধারা ২৭ এবং ধারা ৩০ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীন হিসাব এবং স্থিতিপত্রের ক্ষেত্রে হিসাব বর্ষ শেষ হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এবং ধারা ৩০ এর অধীন দায়-মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সার-সংক্ষেপ ও বিবরণীর ক্ষেত্রে ৯ (নয়) মাসের মধ্যে প্রেরণ করিতে হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল বীমাকারীর ব্যবসায়ের প্রধান কার্যালয় বা স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশের বাহিরে এবং যে সকল বীমাকারী বাংলাদেশে গঠিত, নিগমিত এবং বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাসী কিন্তু বাংলাদেশের বাহিরেও বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিয়া থাকে, সেই সকল বীমাকারীর ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত ৬ (ছয়) মাসের মেয়াদ আরও ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইতে পারেঃ 

      আরো শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে, এই উপ-ধারায় প্রদত্ত রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা অনধিক ১ (এক) মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷ 

(২) এই ধারার অধীন দাখিলকৃত ৪ (চার) প্রস্থ রিটার্ন এর মধ্যে ১ (এক) প্রস্থ কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার চেয়ারম্যান এবং ২ (দুই) জন পরিচালক এবং কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ও যদি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকেন, তাহা হইলে ঐ পরিচালক কর্তৃক, কোন সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে, উহার ২ (দুই) জন সদস্য কর্তৃক, স্বাক্ষরিত হইতে হইবে; এবং ১ (এক) প্রস্থ নিরীক্ষা সম্পাদনকারী নিরীক্ষক কর্তৃক, কিংবা, ক্ষেত্রমত, মূল্যায়ন সম্পাদনকারী একচ্যুয়ারি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷ 

(৩) বীমাকারীর ব্যবসার প্রধান স্থান বা স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশের বাহিরে হইলে উক্ত বীমাকারী ধারা ২৭ এ উল্লিখিত দলিল পত্রাদির সহিত স্থিতিপত্র, লাভ ও ক্ষতির হিসাব এবং রাজস্ব হিসাব এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও বিবরণী, যদি থাকে, কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে যাহা বীমাকারীকে উহার গঠন, নিগমন বা স্থায়ীভাবে নিবাসিত হওয়ায় সরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হয়, অথবা, যেই ক্ষেত্রে ঐরূপ দলিলপত্রাদি পেশ করিবার আবশ্যকতা থাকে না সেই ক্ষেত্রে মেয়াদকাল সমাপ্তিতে ঐ মেয়াদকালীন সময়কার উক্ত দলিল পত্রাদিতে অন্তর্ভুক্ত বীমাকারীর মোট সম্পদ ও দায় এবং মোট আয় এবং ব্যয়ের প্রতিফলন সম্পন্ন একটি প্রত্যায়িত বিবরণী দাখিল করিতে হইবে৷ 

১[ (৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বীমাকারীর দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্ত্ততকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা।

(৫) উক্ত কর্তৃপক্ষ কোন বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।]
   
   
 
কোম্পানী আইন এর কতিপয় বিধান হইতে অব্যাহতি
৩৩। কোম্পানী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হইলে যে ক্ষেত্রে কোম্পানী আইন অথবা তদ্দ্বারা রহিতকৃত কোন আইনের অধীন কোম্পানীরূপে নিগমিত কোন বীমাকারী ধারা ৩২ এর বিধান অনুযায়ী কোন বৎসরে তাহার স্থিতিপত্র ও হিসাবাদি দাখিল করে, সেই ক্ষেত্রে বীমাকারী একই সময়ে উক্ত স্থিতিপত্র ও হিসাবাদির অনুলিপি কোম্পানীসমূহের রেজিস্ট্রার-এর নিকট প্রেরণ করিবে এবং অনুরূপ অনুলিপি পাঠানো হইয়া থাকিলে কোম্পানী আইনের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে তাহার স্থিতিপত্র ও হিসাবাদির অনুলিপি রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করা আবশ্যক হইবে না এবং ইতিপূর্বে প্রেরিত অনুরূপ অনুলিপিসমূহের জন্য একই হারে ফি ধার্যযোগ্য হইবে এবং সকল বিষয়ে এইরূপ কার্যক্রম গৃহীত হইবে যেন উক্ত স্থিতিপত্র ও হিসাবাদি উপরি-উক্ত ধারা অনুযায়ী দাখিল করা হইয়াছে।
   
   
 
প্রতিবেদন দাখিল
৩৪৷ বীমা ব্যবসা কার্যক্রম সম্পর্কে প্রত্যেক বীমাকারী প্রতিবেদনের প্রত্যায়িত অনুলিপি উহার শেয়ার গ্রহীতা কিংবা পলিসি গ্রহীতাদের নিকট পেশ করার অব্যবহিত পরেই কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে৷
   
   
 
বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যধারার সংক্ষিপ্তসার
৩৫৷ প্রত্যেক বীমাকারী তাহার কার্যবিবরণী বহিতে লিপিবদ্ধ বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণীর প্রত্যায়িত অনুলিপি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে৷
   
   
 
দলিলাদির সংরক্ষণ ও পরিদর্শন এবং অনুলিপি সরবরাহ
৩৬৷ (১) কর্তৃপক্ষ তাহার নিকট দাখিলকৃত প্রত্যেক রিটার্ন এবং উহার বিবরণীর প্রত্যায়িত অনুলিপি সংরক্ষণে রাখিবে, যাহা পরিদর্শনের জন্য উম্মুক্ত থাকিবে এবং যে কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক অনুরূপ রিটার্নের বা উহার অংশ বিশেষের অনুলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবে৷ 

(২) ধারা ৩২ এর বিধান অনুযায়ী দাখিল হিসাবাদি, বিবরণীসমূহও সংক্ষিপ্ত সারের মুদ্রিত বা প্রত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করিবার ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে আবেদন করিলে, বাংলাদেশে নিগমিত, নিবন্ধিত ও নিবাসী বীমাকারী উক্ত আবেদনের ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে এবং অন্যান্য বীমাকারীর ক্ষেত্রে ১ (এক) মাসের মধ্যে, যে কোন শেয়ার গ্রহীতা বা বীমা পলিসি গ্রাহককে বীমাকারী সরবরাহ করিবে। 

(৩) বীমাকারী, যদি কোম্পানী হয়, তদকর্তৃক কোন বীমা পলিসি গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে উহার সংঘস্মারক এবং সংঘবিধির অনুলিপি আবেদনের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তাহাকে সরবরাহ করিবে।
   
   
 
রিটার্ন প্রসংগে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা
৩৭৷ (১) যদি কর্তৃপক্ষের নিকট এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, এই আইনের বিধানাবলীর অধীন তাহার নিকট প্রেরিত কোন রিটার্ন কোন ক্ষেত্রে যথার্থ নয় বা ত্রুটিপূর্ণ, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ- 

(ক) উক্তরুপ রিটার্ন সংশোধন কিংবা সম্পূরক করার জন্য নিরীক্ষক বা একচ্যুয়ারি কর্তৃক যাহা প্রয়োজনীয় বিবেচিত হয়, প্রত্যায়িত অতিরিক্ত তথ্য প্রেরণ করার জন্য বীমাকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; 

(খ) বাংলাদেশে বীমাকারীর ব্যবসার প্রধান স্থানে তাহার হিসাবের কোন বহি, রেজিস্টার বা অন্যান্য দলিল নিরীক্ষার জন্য দাখিল করিতে অথবা এই উদ্দেশ্যে বীমাকারীকে প্রদত্ত নোটিশে বর্ণিত বিবরণী সরবরাহ করিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে ; 

(গ) রিটার্ন সম্পর্কে বীমাকারীর কোন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে ; 

(ঘ) ত্রুটিপূর্ণ তথ্য সংশোধন কিংবা রিটার্নে অসম্পূর্ণতা দূরীকরণের জন্য বীমাকারীকে চাহিদাপত্র প্রদানের তারিখের পর ১ (এক) মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তথ্যের ত্রুটি সংশোধন বা অসম্পূর্ণতা পূরণ করা না হইলে ঐরূপ রিটার্ন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাইতে পারে৷ 

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন কর্তৃপক্ষ কোন রিটার্ন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাইলে বীমাকারী ধারা ৩২ এর বিধান অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করিতে ব্যর্থ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
পুনঃমূল্যায়নের নির্দেশ প্রদানে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা
৩৮৷ (১) যদি কর্তৃপক্ষের নিকট এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, ধারা ৩০ এর অধীন কোন অনুসন্ধান কিংবা মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণের কারণে বীমাকারীর বিষয়াবলীর অবস্থা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় নাই, সেইক্ষেত্রে বীমাকারীকে নোটিশ প্রদান এবং তাহার বক্তব্য প্রদানের সুযোগ প্রদানের পর পুনঃঅনুসন্ধানের এবং পুনঃমূল্যায়নের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে; উক্ত মূল্যায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে এবং বীমাকারীর নিজস্ব ব্যয়ে বীমাকারী কর্তৃক নিযুক্ত এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত একচ্যুয়ারি দ্বারা সম্পন্ন হইবে এবং বীমাকারী একচ্যুয়ারি কর্তৃক অনুসন্ধানে ও মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত অনধিক ৩ (তিন) মাস সময়সীমার মধ্যে উক্ত একচ্যুয়ারির নিকট প্রদান করিবে৷

(২) এই ধারার অধীন অনুসন্ধানে ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ধারা ৩০ এর উপ-ধারা (১) ও (৩) এবং ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে :

      তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ অনুসন্ধানে ও মূল্যায়নের প্রণীত প্রতিবেদন ও সার-সংক্ষেপ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উহার বরাবরে দাখিল করিতে হইবে৷
   
   
 
দলিলাদির প্রমাণ
৩৯৷ (১) কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত প্রতিটি রিটার্ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিটার্ন মর্মে প্রত্যায়িত হইলে উহা রিটার্ন বলিয়া গণ্য হইবে৷ 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত রিটার্ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিটার্ন বলিয়া প্রত্যায়িত হইলে উহাতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দলিল দাখিলকৃত রিটার্নের অনুলিপি বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহা ও মূল রিটার্নের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম প্রমাণিত না হইলে অনুলিপি মূল রিটার্নের মতই প্রমাণ হিসাবে গৃহীত হইবে৷
   
   
 
রিটার্নসমূহ সংবিধিবদ্ধ ছকে প্রকাশ
৪০৷ কোন বীমাকারী - 

(ক) কোন ইস্যু করা পলিসি বা ইস্যু করিতে হইবে এমন কোন পলিসি বা তাহাতে প্রতিশ্রুত কোন সুবিধা বা বোনাস, শেয়ার গ্রহীতাদের লভ্যাংশ কিংবা উহার উপর উদ্বৃত্তের প্রাপ্তি সম্পর্কে পলিসির শর্ত অপব্যাখ্যা সম্বলিত কোন প্রাক্কলন, উদাহরণ, পরিপত্র বা বিবৃতি প্রদান করিবে না বা করাইবে না অথবা পূর্বে অনুরূপ পলিসিতে প্রদত্ত বোনাস, শেয়ার গ্রহীতাদের লভ্যাংশ বা উদ্বৃত্তের অংশ সম্পর্কে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করিবে না, অথবা বীমাকারীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কোনরূপ বিভ্রান্তিকর বা ত্রুটিপূর্ণ বিবরণী প্রকাশ করিবে না অথবা কোন পলিসি বা কোন শ্রেণীর পলিসির প্রকৃত প্রকৃতি বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে কোন বীমাকারীর নাম বা পদ নাম বা কোন বীমা পলিসির বা কোন শ্রেণীর বীমা পলিসির নাম বা পদ নাম ব্যবহার করিবে না অথবা কোন কোম্পানীর বীমা গ্রহীতাকে এইরূপ পলিসি বাতিল, বাজেয়াপ্ত কিংবা সমর্পণে প্ররোচিত বা প্ররোচনার উপক্রম হইতে পারে এইরূপ বিভ্রান্তিকর বিবরণ প্রদান করিবে না ; এবং 

(খ) বীমা ব্যবসায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যা,অসত্য, প্রতারণামূলক, বিভ্রান্তিকর অথবা বীমা ব্যবসায় নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তির ব্যবসা পরিচালনায় ক্ষতিকর কোন বিজ্ঞাপন, ঘোষণা বা বিবরণ তৈরী, প্রকাশ, বিতরণ,প্রচার, জনসমক্ষে উত্থাপন অথবা সরাসরি সংবাদপত্র. ম্যাগাজিন বা অন্য প্রকাশনায় বা বিজ্ঞপ্তি, পরিপত্র, প্রচারপত্র, পোস্টার বা অন্য কোন প্রকারে প্রচার বা প্রচারের ব্যবস্থা করিবে নাঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই বীমাকারীকে প্রচারের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত রিটার্নের ফরম প্রকাশ অথবা দাখিলকৃত উক্ত রিটার্নসমূহের সত্য এবং নির্ভুল সার-সংক্ষেপ অথবা অন্য কোন তথ্যভিত্তিক বিবরণ প্রকাশ করা হইতে নিবৃত্ত করিবে না৷
   
   
 
সম্পদ বিনিয়োগ
৪১। (১) প্রত্যেক বীমাকারী উহার সম্পদ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও স্থানে বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ করিবে এবং অনুরূপ বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করিবার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের থাকিবে : 

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন বীমাকারীর কোন পরিচালক বা অনুরূপ পরিচালকের পরিবারের সদস্যের স্বত্বাধিকারী, অংশীদার, পরিচালক, ব্যবস্থাপক বা ব্যবস্থাপনা এজেন্ট হিসাবে কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানী, ফার্ম বা অন্য কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রথম মূলধন ইস্যুতে বিনিয়োগ অনুমোদিত হইবে না। 

(২) প্রত্যেক বীমাকারী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিনিয়োগের রিটার্ন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে।
   
   
 
সাবসিডিয়ারী কোম্পানী
৪২। (১) কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশে বীমা ব্যবসার উন্নয়ন ও উন্নতির স্বার্থে বা, জনস্বার্থে বা উপযোগী মনে করিলে যে কোন বীমাকারীকে বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানী গঠন করিবার অনুমোদন প্রদান করিবে। 

(২) উপ-ধারার (১) এর বিধান সত্ত্বেও, কোন বীমাকারী যে কোন কোম্পানীর শেয়ার, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণে ধারণ করিতে পারিবে।
   
   
 
সলভেন্সি মার্জিন বিষয়ে পূরণীয় শর্তাবলী
৪৩। (১) প্রত্যেক বীমাকারী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ ও পদ্ধতিতে উহার বীমা ব্যবসার জন্য সলভেন্সি মার্জিন সংরক্ষণ করিবে।

(২) কোন বীমাকারী যদি কোন সময়ে উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সলভেন্সি মার্জিন রক্ষণ না করে তাহা হইলে উক্ত বীমাকারী এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশ অনুযায়ী অনুরূপ নির্দেশনা জারী হওয়ার অনাধিক ৩ (তিন) মাসের মধ্যে উক্ত ঘাটতি পূরণের জন্য একটি কর্মপরিকল্প কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে। 

(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী দাখিলকৃত কর্মপরিকল্প কর্তৃপক্ষের নিকট অপর্যাপ্ত বিবেচিত হইলে বীমাকারী উক্ত পরিকল্প সংশোধন করিবে এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত পরিকল্প বাস্তবায়ন করিবে। 

(৪) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সলভেন্সি মার্জিন পূরণ করা হইয়াছে কি-না তাহা পরীক্ষা করণার্থ যে কোন বীমাকারী দায় ও সম্পদ পরিদর্শন বা যাচাই এবং অন্যান্য আবশ্যকীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করিতে পারিবে এবং বীমাকারী এতদবিষয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত কোন নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবে এবং বীমাকারী, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রাপ্তির ২ (দুই) মাসের মধ্যে, উক্ত নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট বীমাকারী নির্ধারিত সলভেন্সি মার্জিন সংরক্ষণে অসমর্থ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে এই আইনের ধারা ৯৫ এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

(৫) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রত্যেক বীমাকারী একজন একচ্যুয়ারি কর্তৃক প্রত্যায়িত লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারী কর্তৃক রক্ষিত নির্ধারিত সলভেন্সি মার্জিন সম্পর্কিত একটি বিবরণী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে। 

(৬) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রত্যেক বীমাকারী একজন অনুমোদিত নিরীক্ষক কর্তৃক প্রত্যায়িত নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারী কর্তৃক রক্ষিত নির্ধারিত সলভেন্সি মার্জিন সম্পর্কিত একটি বিবরণী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে।
   
   
 
ঋণ, অগ্রিম ও আর্থিক সুবিধা প্রদানে বিধিনিষেধ
৪৪৷ (১) কোন বীমাকারী উহার নিজের শেয়ারের জামানতে কোন প্রকার অগ্রিম, ঋণ বা আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না৷ 

(২) কোন বীমাকারী উহার কোন পরিচালক,ব্যবস্থাপক,একচ্যুয়ারি, নিরীক্ষক বা কর্মকর্তাকে বা তাহাদের পরিবারের কোন সদস্যকে বীমাকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির সমর্পণ মূল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ ঋণ ব্যতীত সম্পত্তি বন্ধক বা ব্যক্তিগত জামানত বা অন্যভাবে কোন ঋণ বা সাময়িক অগ্রিম প্রদান করিবে না৷ 

(৩) কোন বীমাকারী তাহার পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে তাহার কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপক একচ্যুয়ারি, নিরীক্ষক বা কর্মকর্তা অথবা অনুরূপ পরিচালক, ব্যবস্থাপক, একচ্যুয়ারি, নিরীক্ষক বা কর্মকর্তার পরিবারের কোন সদস্যের মালিক, অংশীদার, পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা এজেন্ট হিসাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন ফার্ম বা কোম্পানীকে কোন ঋণ বা সাময়িক অগ্রিম প্রদান করিবে না। 

(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান বিবেচনার জন্য অনুষ্ঠিত সভায় সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহণকারী পরিচালক ভোটদান বা সভার অন্য কোন কার্যপ্রণালীতে অংশগ্রহণ করিবেন না। 

(৫) যদি এইরূপ কোন ঘটনা সংঘটিত হয় যে, প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম অনুমোদনের সময় যাহার অস্তিত্ব উক্ত ঋণ বা অগ্রিম অনুমোদন উপ-ধারা (১) বা (২) এর লংঘন হইত, তাহা হইলে, ভিন্নরূপ কোন চুক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রদত্ত ঐ ঋণ বা অগ্রিম উল্লিখিত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে এবং অন্যথায়, অন্য কোন প্রাপ্য শাস্তি বিধানের অধিকার ক্ষুন্ন না করিয়া সংশ্লিষ্ট পরিচালক, ব্যবস্থাপক, একচ্যুয়ারি, নিরীক্ষক বা কর্মকর্তা উক্ত ৩ (তিন) মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঋণ বা অগ্রিম প্রদানকারী বীমাকারীর চাকুরীতে থাকিবেন না৷ 

(৬) উপ-ধারা (১) বা (২) এর কোন কিছুই কোন ব্যাংক কোম্পানী বা বীমাকারীস্বরূপ কোন সাবসিডিয়ারি কোম্পানী বা ঋণ ও অগ্রিম প্রদানকারী কোন বীমাকারীর সাবসিডিয়ারি বীমাকারী কর্তৃক প্রদানকৃত ঋণ বা অগ্রিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷ 

(৭) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত কোন প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষণরত বীমা এজেন্ট, ব্রোকার বা এজেন্ট নিয়োগকারীকে প্রদত্ত বৃত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷ 

(৮) কোন বীমাকারী কোম্পানীর পরিচালককে প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রে কোম্পানী আইন এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না, যদি উক্ত ঋণ পরিচালকের নিজের জীবনের উপর ইস্যুকৃত বীমা পলিসির ঝুঁকি বহন সম্পন্ন বীমাকারীর পলিসি জামানতের উপর প্রদান করা হইয়া থাকে এবং প্রদত্ত ঋণ পলিসির সমর্পণ মূল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে৷ 

(৯) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন বীমাকারী তাহার কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীমা এজেন্ট, ব্রোকার বা এজেন্ট নিয়োগকারীকে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ঋণ বা সাময়িক অগ্রিম প্রদান করিবে নাঃ- 

(ক) বীমাকারী কর্তৃক কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীমা এজেন্ট বা ব্রোকার বা এজেন্ট নিয়োগকারীর নামে ইস্যুকৃত লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির উপর সমর্পণমূল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ ঋণ ; 

(খ) স্থাবর সম্পত্তি বন্ধকের উপর ঋণ, এই শর্তে যে- 

(অ) বীমাকারী যদি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করে সেই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এই মর্মে প্রত্যায়ন করে যে, উহা এই আইনের সকল বিধান পরিপালন করিয়াছে; 

(আ) সম্পত্তির মূল্য ন্যূনতম ঋণের পরিমাণের দ্বিগুণ হয়; 

(ই) সম্পত্তি এই উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপিত অনুরূপ শহরে অবস্থিত হয়; 

(ঈ) ঋণ যদি গৃহনির্মাণের উদ্দেশ্যে হয় তাহা হইলে বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তক্রমে কিস্তিতে ঋণ প্রদান করা হয়; 

(উ) ঋণ সর্বোচ্চ ১৫ (পনের) বৎসর সময়কালের মধ্যে পরিশোধের শর্ত রাখা হয়; বা 

(ঊ) ঋণের পরিমাণ এমন হয় যাহাতে উহার সুদ ও আসলের কিস্তি কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বৎসরে তাহার মূল বেতনের এক-চতুর্থাংশ অথবা, ক্ষেত্রমত, এজেন্ট, ব্রোকার বা এজেন্ট নিয়োগকারীর নবায়ন কমিশন বা অতিরিক্ত কমিশনের এক চতুর্থাংশ অতিক্রম না করে; 

(গ) কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীমা এজেন্ট বা এজেন্ট নিয়োগকারীকে যানবাহন ক্রয়ের নিমিত্ত ঋণ, এই শর্তে যে - 

(অ) কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীমা এজেন্ট বা এজেন্ট নিয়োগকারী বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত অনুরূপ সময়কাল ধারাবাহিকভাবে বীমাকারীর অধীন কাজ সম্পন্ন করিয়াছেন; 

(আ) ক্রয়কৃত যানবাহন বীমাকারীর নিকট বন্ধক করা হইয়া থাকে; 

(ই) ঋণ বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত অনুরূপ পরিমাণ অতিরিক্ত বা পরিশোধের সময়সূচীসহ অন্যান্য শর্তাবলী অনুযায়ী হয়ঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ- ধারার দফা (খ) এর উপ-দফা (ঈ) এবং দফা (গ) এর অধীন সর্বমোট ঋণের পরিমাণ নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর ক্ষেত্রে উহার আয়কর পরিশোধের পর পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার ১০ (দশ) শতাংশের অধিক হইবে না; 

      আরো শর্ত থাকে যে, প্রথম শর্তাংশে উল্লিখিত ১০ শতাংশ ঋণের পরিমাণ কোনক্রমেই বীমাকারীর পরিশোধিত মূলধনের ২০ শতাংশের অধিক হইবে না; 

(ঘ) কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীমা এজেন্ট বা বীমা এজেন্ট নিয়োগকারীকে সাময়িক অগ্রিম প্রদানের ক্ষেত্রে - 

(অ) কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে, অনধিক ৪ (চার) মাসের বেতনের সমপরিমাণ; 

(আ) বীমা এজেন্টের ক্ষেত্রে অগ্রিমের জন্য আবেদন করার তারিখে অবস্থিত পূর্ববর্তী ২ (দুই) বৎসরে তাহার অর্জিত নবায়ন কমিশন এবং কমিশন অর্জন না থাকিলে নির্ধারিত পরিমাণ অতিক্রম না হয় এমন অংক; 

(ই) এজেন্ট নিয়োগকারীর ক্ষেত্রে, অগ্রিমের জন্য আবেদন করার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী বৎসর তাহার অর্জিত নবায়ন কমিশন ও ওভার-রাইডিং নবায়ন কমিশন অথবা উক্ত নবায়ন কমিশন ও ওভার রাইডিং নবায়ন কমিশন অর্জন না করিয়া থাকিলে নির্ধারিত পরিমাণ থেকে কম নয় এমন অর্থঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, এই দফায় উল্লিখিত সাময়িক অগ্রিম কোন সময়ে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত বীমাকারীর লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিলের নির্ধারিত শতকরা হার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত সর্বোচ্চ অংক অতিক্রম করিবে না৷
   
   
 
ক্ষতির জন্য পরিচালক ও অন্যান্যদের দায়
৪৫৷ ধারা ৪৪ এর কোন বিধান লংঘনের কারণে বীমাকারী কিংবা পলিসি গ্রহীতাদের কোন ক্ষতি সাধিত হইলে ঐরূপ লংঘনের সংগে জ্ঞাতসারে জড়িত কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপক বা কর্মকর্তা, এই আইনের অধীন প্রযোজ্য অন্য কোন জরিমানা আরোপের বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া, পৃথক বা যৌথভাবে উক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য দায়ী হইবেন৷
   
   
 
বীমাকারীর সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতি
৪৬৷ ধারা ২৩ অথবা ধারা ১১৯ এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত জামানত এবং তফসিলী ব্যাংকের কোন জিম্মায় রক্ষিত জমা ব্যতীত বীমাকারীর কোন সম্পদ কোন সংস্থার নামে এবং বীমাকারীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে রাখা যাইবে না৷
   
   
 
ম্যানেজিং এজেন্ট নিয়োগে বিধিনিষেধ
৪৭৷ কোন বীমাকারী এই আইন প্রবর্তনের পর তাহার ব্যবসা পরিচালনার্থে ম্যানেজিং এজেন্ট নিয়োগ করিবে না৷
   
   
 
বীমাকারীর কার্যক্রম তদন্ত
৪৮৷ (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীনে নিবন্ধীকৃত কোন বীমাকারীর পরিচালিত ব্যবসার সম্পূর্ণ বা আংশিক তদন্ত শুরু করিতে পারিবে, যদি এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে -


(ক) বীমাকারী উহার দায় পরিশোধে অক্ষম বা তাহার অক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে ;


(খ) বীমাকারী বীমা তহবিল সংক্রান্ত এই আইনের কোন বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হইয়াছে;


(গ) বীমাকারী ধারা ৪৯ এর অধীন প্রদত্ত নোটিশ প্রাপ্তির ১ (এক) মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সম্পূর্ণরূপে ও সন্তোষজনকভাবে দাখিল না করে ; 


(ঘ) বীমাকারী ধারা ২৭, ৩০, ৪১, ৪৩, এবং ৪৪ এর কোন বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হয়;


(ঙ) বীমাকারীর বীমা ব্যবসার ব্যয় বা উহার কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসা আহরণ, রক্ষণ বা পরিচালনার ব্যয় তাহার বীমা প্রিমিয়াম আয়ের তুলনায় অযৌক্তিকভাবে অধিক হয় ;


(চ) বীমাকারী কর্তৃক বীমা তহবিল ও অন্যান্য তহবিলের মধ্যে ব্যয় বা বিশেষ কোন শ্রেণীর ব্যয় বন্টনে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় নাই ; বা


(ছ) কর্তৃপক্ষের নিকট থাকা এমন কোন তথ্যের প্রেক্ষিতে অনুরূপ তদন্ত আবশ্যক হয়৷


(২) এই ধারার অধীন কোন তদন্ত আরম্ভ করিবার পূর্বে কর্তৃপক্ষ বীমাকারীকে এই মর্মে নোটিশ জারী করিবে যে, এই ধারার অধীন তদন্তকার্য শেষ হওয়ার পূর্বে কর্তৃপক্ষের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে বীমাকারী কোন অবস্থাতেই তাহার উপর ন্যস্ত বা উহার প্রাপ্য কোন সম্পদ হস্তান্তর করিবে না৷


ব্যাখ্যা৷- এই ধারার উদ্দেশ্যে সম্পদ বলিতে নিম্নবর্ণিত সম্পদসমূহ অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু ইহাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় -


(ক) স্থাবর সম্পত্তি, যথাঃ যে কোন জমি, দালান ও উহাতে দৃঢ় সংলগ্ন বস্তু ; 

(খ) অস্থাবর সম্পত্তি, যথাঃ যে কোন আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, বই, সাময়িকী এবং অন্য যে কোন স্থানান্তরযোগ্য বস্তু, যে কোন মোটর যান, নৌ-যান, জাহাজ, উড়োজাহাজ এবং অন্য যে কোন আকৃতির যান;


(গ) বিনিয়োগ, যথাঃ রাষ্ট্রীয় বা স্থানীয় সরকারের যে কোন সিকিউরিটিজ অথবা সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত অন্য যে কোন সিকিউরিটিজ৷


(ঘ) অন্যান্য বিনিয়োগ, যথাঃ স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য উদ্ধৃত হয় এইরূপ স্টক, শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অথবা মূল্য উদ্ধৃত হয় না এইরূপ বিনিয়োগ;


(ঙ) নগদ, যথাঃ নির্ণয়যোগ্য অংকের নগদ অর্থসহ ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানে বা অন্য কোন সংস্থায় বা এজেন্সিতে জমাকৃত অর্থ; 

(চ) অন্যান্য সম্পদ, যথা: যে কোন বকেয়া প্রিমিয়াম, কমিশন ও পাওনাকৃত বা পরিশোধযোগ্য ঋণ, অগ্রিম, সিকিউরিটিজ, ডিপোজিট ও জামানত এবং বীমাকারীর অনুকূলে বা তাহার উপর অর্পিত চুক্তিজনিত বা প্রাপ্য স্বত্ত্বসমূহ।


(৩) কর্তৃপক্ষ নিজে অনুরূপ তদন্ত পরিচালনা করিতে পারিবে অথবা তদন্ত করিয়া উহার ফলাফল সাত (৭) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে তাহার নিকট প্রদান করিবার জন্য উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী নিয়োগকৃত তদন্তকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।


(৪) কর্তৃপক্ষ ধারা ২৭ এর অধীন বীমাকারীর হিসাব ও স্থিতিপত্র এবং অন্যান্য বিবরণী প্রস্তুতকারী নিরীক্ষক ব্যতীত একজন নিরীক্ষক, একজন একচ্যুয়ারি বা অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে, তদন্ত করিবার জন্য তদন্তকারী হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারিবে এবং অনুরূপ তদন্তের সকল ব্যয় বীমাকারী কর্তৃক পরিশোধ করিতে হইবে৷


(৫) কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী এই ধারার অধীন তদন্তকার্য পরিচালনার জন্য -


(ক) বীমাকারী বা বীমাকারীর পক্ষে উহার দায়িত্বে নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তিকে;


(খ) বীমাকারীর বিদ্যমান কোন পরিচালক বা কোন সময়ে পরিচালক ছিলেন বা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তি, একচ্যুয়ারি, নিরীক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্টকে; বা


(গ) বীমাকারীর অতীত বা বর্তমান কোন অংশগ্রহণকারীকে,


      বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে রক্ষিত কোন বই, হিসাব, নথি বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলিলাদি, কোন সম্পদে বীমাকারীর স্বত্ব প্রমাণ সম্বলিত দলিলাদিসহ, উপস্থাপন বা উহা ব্যবহার বা পূর্ণ বা আংশিক অনুলিপি প্রস্তুতকরণ নিশ্চিত করিতে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেঃ


      তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার বিধানাবলী কেবলমাত্র বীমাকারী কর্তৃক বাংলাদেশে পরিচালিত ব্যবসা সংক্রান্ত বা অনুরূপ ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর স্বত্ব প্রমাণক দলিলাদির জন্য প্রযোজ্য হইবে৷


(৬) কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী এই ধারার অধীন তদন্ত কার্য সম্পাদনের জন্য উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইবার নির্দেশ প্রদান করিতে এবং বীমাকারীর ব্যবসা সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন ও জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে। 


(৭) এই ধারার অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর এবং বীমাকারীকে প্রতিবেদন সম্পর্কে আবেদন করার যথেষ্ট সুযোগ প্রদানের পর কর্তৃপক্ষ যথার্থ মনে করিলে -


(ক) প্রতিবেদনে উল্লিখিত কোন বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বীমাকারীকে নির্দেশনা প্রদান করিবে ; বা


(খ) বীমাকারীর নিবন্ধন বাতিল করিবে; বা


(গ) দফা (খ) অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল করা হইয়া থাকুক বা না করা হইয়া থাকুক, কোন ব্যক্তিকে বীমাকারীর অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করিতে নির্দেশ প্রদান করিবে৷ 

(৮) কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করিলে বীমাকারীকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্তের প্রতিবেদন বা প্রতিবেদনের কোন অংশ প্রকাশ করিতে পারিবে৷ 

(৯) উপ-ধারা (৭) এর দফা (খ) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ ব্যতীত এই ধারার অধীন প্রদত্ত অন্যান্য আদেশের বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন মামলা বা প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷ 

(১০) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৫) অথবা উপ-ধারা (৬) এর অধীন নির্দেশপ্রাপ্ত হইয়া তাহার জিম্মায় বা ক্ষমতাধীন রক্ষিত কোন দলিল উপস্থাপনে বা কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারীর নিকট উপস্থিত হইতে বা তাহাদের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হইতে অস্বীকার করিলে বা ব্যর্থ হইলে কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী ঐ অস্বীকৃতি লিপিবদ্ধ করিয়া আদালতে প্রত্যায়িত করিতে পারিবে; এবং আদালত অতঃপর বিষয়টি অনুসন্ধান করিতে পারিবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে ও বিপক্ষে হাজির করা সাক্ষীর বক্তব্য শোনার পর এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির সমর্থনে কোন বক্তব্য উপস্থাপন করিলে উহা শোনার পর দোষী ব্যক্তিকে আদালত অবমাননার অনুরূপ শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে৷
   
   
 
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিদর্শন ও তথ্য চাহিবার ক্ষমতা, ইত্যাদি
৪৯৷ (১) কর্তৃপক্ষ, সময় সময়, যে কোন বীমাকারী বা উহার শাখা কার্যালয়ের বই, হিসাব এবং লেনদেনসমূহ পরিদর্শন করিতে পারিবে৷ 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শন কার্য সম্পাদনের জন্য বীমাকারী উহার বই, হিসাব এবং দলিলাদি পরিদর্শনকারীকে প্রদর্শন করিবে এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিবে৷ 

(৩) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজন মনে করিলে, লিখিত নোটিশ দ্বারা বীমাকারীর কোন পরিচালক বা কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিকে ঐ বীমাকারীর বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এবং প্রয়োজনে, লিখিত নোটিশ দ্বারা নোটিশে উল্লিখিত নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে- 

(ক) যে কোন তথ্য প্রদান করিতে , বা 

(খ) তাহার সম্মূখে উপস্থিত হইতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ 

(৪) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শন পরিচালনায় অসম্মতি জ্ঞাপন করিলে বা উপ-ধারা (২) এর কোন বিধান লংঘন করিলে বা উপ-ধারা (৩) এর অধীন কর্তৃপক্ষের কোন আবশ্যকতা পূরণে ব্যর্থ হইলে উহার জন্য অভিযুক্ত হইবে এবং অপরাধী সাব্যস্ত হইলে ৫ (পাঁচ ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে এবং উক্ত অপরাধ সংঘটন চলমান থাকিলে উহার প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত ৫ (পাঁচ ) হাজার টাকা করিয়া অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
   
   
 
বীমাকারীকে নির্দেশ প্রদানে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা
৫০। (১) কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন বীমাকারীর কার্যকলাপ, জনস্বার্থে, বীমা পলিসি গ্রাহকের স্বার্থে বা বীমাকারীর স্বার্থে ক্ষতিকর তবে কর্তৃপক্ষ বীমাকারীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ, বিশেষ করিয়া, নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ- 

(ক) বীমাকারীর বীমা ব্যবসা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ বা ব্যবস্থাপনায় ঐরূপ যোগ্য লোকবল নিয়োগ করা;


(খ) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, চেয়ারম্যান, কোন পরিচালক, উপদেষ্টা, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকায় কোন আইনের বিধান লংঘিত হইয়াছে এবং অনুরূপ লংঘন এমন প্রকৃতির যে, বীমাকারীর সহিত তাহাদের জড়িত থাকা বীমাকারীর বা বীমা পলিসি গ্রাহকের স্বার্থে ক্ষতিকর বা স্বার্থের পরিপন্থী বা ক্ষতিকর হইতে পারে অথবা অন্য কোনভাবে অবাঞ্ছিত হয়, তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিয়া তাহাদিগকে নিজ নিজ পদ হইতে অপসারণ করাঃ


      তবে শর্ত থাকে যে, যদি কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় কোন বিলম্ব বীমাকারী বা উহার বীমা পলিসি গ্রাহকের জন্য ক্ষতিকারক হইবে তবে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদানকালে অথবা পরবর্তী যে কোন সময় উল্লিখিত আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন, যদি তাহা করা হইয়া থাকে, বিবেচনাধীন থাকাকালে কর্তৃপক্ষ এইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, সংশ্লিষ্ট পরিচালক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, যাহা প্রযোজ্য, অনুরূপ আদেশের তারিখ হইতে -


(অ) বীমাকারী অনুরূপ পরিচালক বা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করিতে পারিবেন না ;


(আ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বীমাকারী ব্যবস্থাপনার সহিত সম্পৃক্ত থাকিবেন না বা উহাতে অংশ গ্রহণ করিবেন না৷


(গ) বীমাকারী সম্পদ নিষ্পত্তিতে বা পুনরুদ্ধারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন না ;


(ঘ) বেআইনী বা অন্যায়ভাবে পরিশোধ করা হইয়াছে মর্মে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান ঐরূপ কোন অর্থ বীমাকারী কর্তৃক পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন না;


(ঙ) আদেশে উল্লিখিত বীমা শ্রেণীর ব্যবসা সংক্রান্ত নতুন পলিসি জারী বা পলিসি নবায়ন করা হইতে বিরত থাকিবেন৷ 

(২) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত কোন নির্দেশ বাতিল বা সংশোধন করিতে এবং এইরূপ বাতিল বা সংশোধনে যেইরূপ প্রয়োজনীয় মনে করে সেইরূপ শর্ত আরোপ করিতে পারিবে৷ 

(৩) প্রত্যেক বীমাকারী, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ বা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অনুরূপ সংশোধিত সকল নির্দেশ, আরোপিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে, পালন করিবে৷
   
   
 
বীমাকারীর পরিচালকদের সভা আহ্বান করার নির্দেশ প্রদানে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা, ইত্যাদি
৫১৷ কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন পরিচালিত বিশেষ নিরীক্ষা তদন্ত চলাকালীন সময়ে বা সম্পন্ন হইবার পর লিখিত আদেশ এবং উহাতে নির্দিষ্টকৃত অনুরূপ শর্তাবলী দ্বারা নিম্নবর্ণিত কার্যাদি সম্পন্নের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ- 

(ক) বীমাকারীর কার্যাবলী সংক্রান্ত বা কার্যাবলী হইতে উদ্ভূত কোন বিষয় আলোচনার উদ্দেশ্যে পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান ; 

(খ) বীমাকারীর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে বা তাহার কোন কর্মকর্তাকে যে কোন বিষয়ে তাহার সহিত আলোচনা ; 

(গ) বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদের বা কোন কমিটির বা বীমাকারী কর্তৃক গঠিত কোন কমিটির বা যে কোন সংঘের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করিতে এবং বক্তব্য উপস্থাপনার উদ্দেশ্যে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে অনুমতি দান এবং অনুরূপ কর্মকর্তাকে ঐরূপ সভার কার্যবিবরণীর একটি অনুলিপি প্রদান করার নির্দেশ প্রদান ;

(ঘ) বীমাকারীর বা উহার কোন কার্যালয়ে বা শাখার কার্যক্রম কিভাবে সম্পাদিত হইতেছে তাহা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রেষণে নিয়োজিত বা নিযুক্ত কোন কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বা সময়ে সময়ে বর্ধনযোগ্য এমন মেয়াদের জন্য অনুমতি দান ; 

(ঙ) বীমাকারীর কার্যক্রমকে যথাযথ অবস্থায় আনয়নের উদ্দেশ্যে নির্দেশে উল্লিখিত এবং নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে উহার ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অনুরূপ পরিবর্তন আনয়ন৷
   
   
 
লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা একত্রীকরণ ও হস্তান্তর
৫২৷ (১) কোম্পানী আইন বা বীমাকারীর সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার একত্রীকরণ ও হস্তান্তরের জন্য নিম্নবর্ণিত বিধান প্রযোজ্য হইবে, যথাঃ- 

(ক) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত কোন বীমাকারীর লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা এই ধারার অধীন প্রণীত পরিকল্প এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি বা অন্য কোন বীমাকারীর সঙ্গে একত্রীকরণ করা যাইবে না; 

(খ) যে সকল শর্তাবলীতে হস্তান্তর বা একত্রীকরণ করার প্রস্তাব করা হইবে উহার বিস্তারিত বিবরণ এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত পরিকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে। পরিকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধানও অন্তর্ভুক্ত থাকিবে; 

(গ) কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর অথবা একত্রীকরণ অনুমোদন করার জন্য আবেদন করার অন্ততঃ ২ (দুই) মাস পূর্বে হস্তান্তর বা একত্রীকরণের প্রকৃতি এবং কারণ সম্বলিত একটি অভিপ্রায় পত্র দাখিল করিতে হইবে এবং উহার সহিত নিম্নবর্ণিত প্রতিটি দলিলের ৪ (চার) টি করিয়া সত্যায়িত অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং অনুরূপ অন্য ২ (দুই) টি অনুলিপি জনসাধারণ ও বীমা গ্রহীতাদের অবগতির জন্য সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর প্রধান কার্যালয়, শাখা কার্যালয় ও এজেন্সিসমূহে রাখা হইবে, যথাঃ- 

(অ) প্রস্তাবিত একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের খসড়া দলিল; 

(আ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ছকে এবং প্রবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের সংশ্লিষ্ট বীমাকারীদের বীমা ব্যবসায়ের স্থিতিপত্র; 

(ই) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত চাহিদা এবং তৎকর্তৃক প্রণীত প্রবিধান অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর প্রত্যেকের একচ্যুয়ারি প্রতিবেদন এবং সার-সংক্ষেপ; 

(ঈ) একচ্যুয়ারি প্রতিবেদন স্বাক্ষর করার পূর্ববতী ৫ (পাঁচ) বৎসরে কোন সময়ে একত্রীকরণ বা হস্তান্তরে সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর সঙ্গে পেশাগতভাবে জড়িত ছিলেন না এইরূপ একজন নিরপেক্ষ একচ্যুয়ারি কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবিত একত্রীকরণ বা হস্তান্তর সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন; এবং 

(উ) একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের ভিত্তি সম্পর্কিত অন্য যে কোন প্রতিবেদন৷ 

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত স্থিতিপত্র, প্রতিবেদন এবং সার-সংক্ষেপ, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হইলে, যেই তারিখ হইতে একত্রীকরণ বা হস্তান্তর কার্যকর হইবে সেই তারিখেই হইবে; এবং স্থিতিপত্র প্রস্তুতের তারিখ এই ধারার অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনের তারিখের পূর্বে ১২ (বার) মাসের অধিক হইবে নাঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ নির্দেশ প্রদান করিলে কোন বিশেষ বীমাকারীর ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর উপ-দফা (আ) ও (ই) তে উল্লিখিত স্থিতিপত্র, প্রতিবেদন এবং সার-সংক্ষেপে এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত যথাক্রমে স্থিতিপত্র, প্রতিবেদন এবং সার-সংক্ষেপের সত্যায়িত অনুলিপি দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হইবে, যদি উক্ত স্থিতিপত্র এই ধারার অধীন আবেদন করার তারিখের পূর্ববর্তী ১ (এক) বৎসরের মধ্যে এবং প্রতিবেদন ও সার-সংক্ষেপ অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে প্রস্তুত হইয়া থাকে৷
   
   
 
একত্রীকরণ এবং হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন
৫৩৷ (১) ধারা ৫২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট কোন আবেদন করিলে কর্তৃপক্ষ বিশেষ কোন কারণে নির্দেশ দ্বারা আবেদনের নোটিশ সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রত্যেক লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রাহককে প্রেরণ করিতে এবং একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের প্রকৃতি ও শর্তাবলী, তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ের জন্য প্রকাশ করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং বক্তব্য প্রদানে ইচ্ছা প্রকাশকারী পরিচালকদের ও বীমা পলিসি গ্রাহককে এবং বক্তব্য প্রদানের যোগ্য অন্যান্য ব্যক্তিদের বক্তব্য শোনার পর যদি মনে করে যে, একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের বিষয়ে আপত্তি গ্রহণযোগ্য নহে, তাহা হইলে ধারা ২৩ বা ধারা ১১৯ এর অধীন প্রদত্ত কোন জামানতসহ প্রস্তাবিত ব্যবস্থার বাস্তবায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিবেঃ 

তবে শর্ত থাকে যে,- 

(ক) একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের সহিত কোন পক্ষেরই প্রদত্ত জমার কোন অংশ, প্রস্তাবিত ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পর একত্রীকৃত বীমা ব্যবসায় পরিচালনাকারী বা যাহার নিকট উক্ত ব্যবসা হস্তান্তরিত হইয়াছে তৎকর্তৃক সম্পূর্ণ জমা প্রদানের পূর্বে ফেরত্‍ প্রদান করা হইবে না; 

(খ) দফা (ক) এর বর্ণিত জমা সম্পূর্ণ হওয়ার পর অবশিষ্ট অপ্রয়োজনীয় জমাই শুধুমাত্র ফেরত প্রদান করা হইবে; এবং 

(গ) দফা (ক) এ উল্লিখিত জমা সম্পূর্ণ না হইলে, এই ব্যবস্থার অধীনে একত্রীকৃত বীমা ব্যবসা পরিচালনাকারী বা যাহার নিকট বীমা ব্যবসা হস্তান্তরিত হইয়াছে তৎকর্তৃক প্রদত্ত জমা ধারা ২৩ বা ধারা ১১৯ এর অধীনে পরবর্তীতে প্রদেয় জমা বা উহার কোন কিস্তি হিসাবে জমা বা সমন্বয় করা যাইবে না৷ 

(২) হস্তান্তর বা একত্রীকরণ ব্যবস্থায় যদি হস্তান্তরকারী, অথবা বীমাকারীর একত্রীকরণে সংশ্লিষ্ট যে কোন বা সকল বীমাকারীর বীমার পরিমাণ এবং অন্য কোন চুক্তির হ্রাসকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকে তবে কর্তৃপক্ষ তৎকর্তৃক যথাযোগ্য বিবেচিত শর্তসাপেক্ষে এইরূপ হ্রাসকরণ চুক্তি সম্বলিত ব্যবস্থা অনুমোদন করিতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এইরূপ অনুমোদিত চুক্তি হ্রাসকরণ বৈধ বিবেচিত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ কর্তৃক অবশ্য পালনীয় হইবে৷
   
   
 
একত্রীকরণ ও হস্তান্তরোত্তর আবশ্যকীয় বিবরণী
৫৪৷ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত পরিকল্পনাধীন বা অন্য কোন প্রকারে দুই বা ততোধিক বীমাকারীকে একত্রীকরণ করা হইয়াছে বা বীমাকারীর বীমা ব্যবসা হস্তান্তরিত হইয়াছে এইরূপ ক্ষেত্রে একত্রীকৃত বীমা ব্যবসা পরিচালনাকারী বা যাহার নিকট বীমা ব্যবসা হস্তান্তরিত হইয়াছে, যাহা প্রযোজ্য, উক্ত বীমাকারী একত্রীকরণ বা হস্তান্তর সম্পন্ন হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট নিম্নবর্ণিত দলিলাদি ২ (দুই) প্রস্থ দাখিল করিবে, যথাঃ- 

(ক) যেই পরিকল্প বা চুক্তি বা দলিলের অধীনে একত্রীকরণ বা হস্তান্তর কার্যকর হইয়াছে তাহার সত্যায়িত অনুলিপি ; 

(খ) সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ বা কোম্পানীর ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি ঘোষণাপত্র যে, তাহাদের বিশ্বাসমতে একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের কারণে কোন ব্যক্তিকে প্রদান করা হইয়াছে বা হইবে এমন সকল অর্থ, পলিসি, বন্ড, মূল্যবান সিকিউরিটি এবং অন্যান্য সম্পত্তি ইহাতে অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে এবং অন্তর্ভুক্তির অতিরিক্ত অন্য কোন অর্থ প্রদান করা হয় নাই বা হইবে না; এবং 

(গ) যেক্ষেত্রে ধারা ৫৩ এর অধীন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পাদন হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে,- 

(অ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ছকে প্রস্তুতকৃত একত্রীকরণ বা হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক বীমাকারীর বীমা ব্যবসায়ের স্থিতিপত্র; এবং 

(আ) একত্রীকরণ বা হস্তান্তরের পরিকল্প ভিত্তিক অন্য কোন প্রতিবেদনের সত্যায়িত অনুলিপি৷
   
   
 
নন-লাইফ একত্রীকরণ পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা
৫৫৷ (১) নন-লাইফ বীমা ব্যবসার ক্ষেত্রে যদি কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয় যে,-


(ক) জনস্বার্থে; বা


(খ) বীমা গ্রহীতাদের স্বার্থে; বা


(গ) বীমাকারীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে; বা


(ঘ) সমগ্র দেশে বীমা ব্যবসার স্বার্থে,


      কোন বীমাকারীর সহিত অন্য কোন বীমাকারীর একত্রীকরণ প্রয়োজন, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ একত্রীকরণের জন্য পরিকল্প প্রস্তুত করিতে পারিবেঃ


      তবে শর্ত থাকে যে, অন্য বীমাকারী লিখিতভাবে সম্মতি প্রদান না করিলে এইরূপ কোন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা যাইবে না৷


(২) উপরোউল্লিখিত পরিকল্পে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের সকল বা যেকোনটি অন্তর্ভুক্ত থাকিতে পারে, যথাঃ-


(ক) হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর গঠন, নাম ও নিবন্ধীকৃত কার্যালয়ের ঠিকানা, মূলধন, সম্পদ, নগদ, ক্ষমতা, অধিকার, স্বার্থ, কর্তৃত্ব ও সুবিধা এবং দায়, দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা; 

(খ) হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর অনুকূলে ব্যবসায়, সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় এর হস্তান্তরের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিকল্পনায় নির্দিষ্টকৃত শর্তাবলী;


(গ) পরিচালক পর্ষদে কোন পরিবর্তন বা হস্তান্তর গ্রাহক বীমাকারীর নূতন পরিচালক পর্ষদ নিয়োগ, পরিচালনা পর্ষদ বা কোন পরিচালকের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্টকরণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নিয়োগের মেয়াদকাল;


(ঘ) একত্রীকরণ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মূলধন পরিবর্তন বা অন্য প্রয়োজনীয় কারণে হস্তান্তর গ্রাহক বীমাকারীর সংঘস্মারক ও সংঘবিধির পরিবর্তন;


(ঙ) প্রকল্পের বিধানাবলী সাপেক্ষে হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারী কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে পরিচালিত অনিষ্পন্ন কোন কার্যক্রম বা কার্যধারা চলমান রাখা ;


(চ) জনস্বার্থে বা শেয়ার হোল্ডার, পলিসি গ্রাহক এবং অন্যান্য পাওনাদারদের স্বার্থে বা বীমাকারীর ব্যবসায় সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একত্রীকরণের পূর্বের শেয়ার হোল্ডার, পলিসি গ্রাহক বা অন্য পাওনাদারের বীমাকারীতে স্বার্থ ও অধিকার এবং তাহাদের নিকট বীমাকারীর স্বার্থ ও অধিকার হ্রাস করণ বা পরিবর্তন;


(ছ) বীমা পলিসি গ্রাহকের বা অন্যান্য পাওনাদারের নিম্নরূপ সম্পূর্ণ দাবী পূরণ, নিম্নরূপ নগদ বা অন্যরূপ প্রদান-


(অ) একত্রীকরণের পূর্বে বীমাকারীর পক্ষে ও বিপক্ষে তাহাদের স্বার্থ বা অধিকার;


(আ) দফা (চ) অনুযায়ী তাহাদের পক্ষে ও বিপক্ষে স্বার্থ বা অধিকার হ্রাস করা হইয়া থাকিলে অনুরূপ হ্রাসকৃত স্বার্থ বা অধিকার;


(জ) দফা (চ) এর অধীন বীমাকারীর স্বার্থ বা অধিকার হ্রাস করা হউক বা না হউক একত্রীকরণের পূর্বে শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক ধারণকৃত তাহাদের শেয়ারের পরিবর্তে হস্তান্তর গ্রাহক বীমাকারীর শেয়ার বরাদ্দ কোন শেয়ার হোল্ডার শেয়ার বরাদ্দের পরিবর্তে তাহাদের দাবী নগদে পুরণ চাহিলে বা শেয়ার বরাদ্দ সম্ভব না হইলে তাহাদের নিম্নরূপ দাবী নগদে পরিশোধকরণ, যথা :-


(অ) একত্রীকরণের পূর্বে বীমাকারীর নিকট তাহাদের শেয়ার সংক্রান্ত পাওনা;


(আ) দফা (চ) অনুযায়ী তাহাদের স্বার্থ বা অধিকার হ্রাস করা হইয়া থাকিলে অনুরূপ হ্রাসকৃত স্বার্থ বা অধিকার;


(ঝ) একত্রীকরণের অব্যবহিত পূর্বে প্রাপ্ত বেতন ভাতা অক্ষুন্ন রাখিয়া এবং চাকুরীর শর্ত অপরিবর্তিত রাখিয়া বীমাকারীর সকল কর্মকর্তার ও কর্মচারীকে হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর চাকুরীতে বহাল রাখাঃ


      তবে শর্ত থাকে যে, পরিকল্প এইরূপ বিধান থাকিবে যে, হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারী একত্রীকরণ সম্পন্ন হওয়ার ৩ (তিন) বৎসর মধ্যে হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর চাকুরীতে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর একই বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে, উল্লিখিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর চাকুরীতে সমমানের পদে নিয়োজিতদের সমান বেতন ভাতা ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রদান করিবেঃ


      আরো শর্ত থাকে যে, যদি কোন ক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর অনুরূপ পদ বা মর্যাদার কর্মকর্তা বা কর্মচারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সমমান সম্পন্ন কি না এই বিষয়ে সন্দেহ বা মতানৈক্য দেখা দেয় তবে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই এই বিষয়ে চূড়ান্ত বিবেচিত হইবে; 

(ঞ) বীমাকারীর একত্রীকরণের অন্য যে কোন শর্তাবলী; 



(ট) একত্রীকরণ সম্পূর্ণ ও কার্যকরভাবে নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক অনুসারিক, অনুবন্ধী এবং পরিপূরক সকল বিষয়৷


(৩) এই ধারা অনুযায়ী-


(ক) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিকল্পে একটি খসড়া অনুলিপি পরামর্শ বা আপত্তি, যদি থাকে, জানানোর জন্য বীমাকারী এবং হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারী এবং একত্রীকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোন বীমাকারীর নিকট প্রেরণ করা হইবে;


(খ) বীমাকারী, হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারী এবং একত্রীকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোন বীমাকারী, এবং উপরোক্ত প্রত্যেক বীমাকারীর শেয়ার হোল্ডার, পলিসি গ্রাহক বা পাওনাদারদের নিকট হইতে প্রাপ্ত পরামর্শ বা আপত্তির আলোকে কর্তৃপক্ষ, যেইরূপ প্রয়োজন মনে করে, খসড়া পরিবর্তন করিতে পারিবে৷


(৪) এই ধারা অনুযায়ী পরিকল্পটি অনুমোদনের নিমিত্ত সরকারের নিকট উপস্থাপিত হইবে; সরকার কোন পরিবর্তন ব্যতীত বা, প্রয়োজনীয় মনে করিলে, পরিবর্তনসহ উহা অনুমোদন করিতে পারিবে; সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পরিকল্প তদকর্তৃক নির্ধারিত তারিখে বলবত্‍ হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, পরিকল্পে বিভিন্ন বিধান বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন তারিখ নির্ধারিত হইতে পারে৷


(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুমোদন এই মর্মে চূড়ান্ত প্রমাণ বলিয়া বিবেচিত হইবে যে, একত্রীকরণের জন্য এই ধারার অধীন সমস্ত বিধান পরিপালিত হইয়াছে; এবং একজন সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিতভাবে প্রত্যয়নকৃত পরিকল্পে একটি অনুলিপি সকল আইনী প্রক্রিয়ায় (আপীল বা অন্যরূপ) মূল পরিকল্প মতই প্রমাণ হিসাবে গৃহীত হইবে৷


(৬) সরকার এই ধারার অধীন প্রণীত পরিকল্পে অনুরূপভাবে সংযোজন, সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবে৷


(৭) এই পরিকল্পটি বা ইহার কোন ধারা বলবৎ হইবার তারিখে এবং উক্ত তারিখ হইতে এই পরিকল্পনা ইহার ধারার বিধান বীমাকারী, বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারী এবং একত্রীকরণ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট অন্য কোন বীমাকারী এবং উক্ত বীমাকারী ও হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর প্রত্যেকের শেয়ার হোল্ডার ও অন্যান্য পাওনাদার এবং কর্মচারী এবং উক্ত বীমাকারী বা হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর উপর কোন অধিকার বা দায় আছে এমন সকল ব্যক্তির জন্য অবশ্য পালনীয় হইবে৷ 

(৮) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে এবং উক্ত তারিখ হইতে বীমাকারীর সম্পত্তি ও সম্পদ পরিকল্প অনুসারে এবং উহার বিধান অনুসারে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর অনুকূলে হস্তান্তরিত ও অর্পিত হইবে এবং বীমাকারীর দায় পরিকল্প অনুযায়ী এবং উহার বিধান অনুযায়ী উহার নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর অনুকূলে হস্তান্তরিত হইবে এবং হস্তান্তর গ্রহীতা বীমাকারীর দায়ে পরিণত হইবে৷


(৯) পরিকল্পে বিধানসমূহ কার্যকর করায় যদি কোন অসুবিধার উদ্ভব হয় তবে সরকার উল্লিখিত অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ঐ বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এইরূপ প্রয়োজনীয় এবং সমীচীন যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা আদেশ জারী করিতে পারিবে৷


(১০) এই ধারার কোন কিছুই কতিপয় বীমাকারীর একটি মাত্র পরিকল্প দ্বারা একটি বীমাকারীর সহিত একত্রীকরণের বাধা হইবে না৷ 

(১১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে বা বিদ্যমান অন্য কোন আইনে বা চুক্তিতে বা রোয়েদাদে বা অন্যান্য দলিলাদিতে অন্য কিছু থাকা সত্ত্বেও এই ধারার বিধান এবং ইহার অধীন প্রণীত কোন পরিকল্প বলবত্‍ থাকিবে৷


(১২) এই ধারার বিধান অনুযায়ী একত্রীকরণ কার্যকরণের ক্ষেত্রে ধারা ৫৪ এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
   
   
 
লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির স্বত্ব প্রদান ও হস্তান্তর
৫৬৷ (১) লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির স্বত্ব নিয়োগ এবং হস্তান্তর শুধুমাত্র পলিসির উপর পৃষ্ঠাঙ্কন অথবা হস্তান্তরকারী কিংবা স্বত্বনিয়োগী অথবা যথোপযুক্তরূপে অনুমোদিত বা স্বীকৃত এজেন্টের দস্তখতকৃত এবং অন্ততঃপক্ষে একজন সাক্ষীর দ্বারা প্রত্যায়িত বিশেষরূপে স্বত্ব প্রদান ও হস্তান্তরের উল্লেখসহ পৃথক দলিল দ্বারা করা যাইবে৷

(২) অনুরূপ হস্তান্তর বা স্বত্বনিয়োগ উল্লিখিত দলিলে পৃষ্ঠাঙ্কন এবং যথাযথ সত্যায়নের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও কার্যকর হইবে; কিন্তু এই হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগ বীমাকারীর অনুকূলে হইলে ইহা কোন বীমাকারীর বিরুদ্ধে কার্যকর হইবে না; লিখিত নোটিশ দ্বারা অনুরূপ হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের বিষয়ে এবং ঐ পৃষ্ঠাঙ্কন বা দলিল বা উহার অনুলিপি হস্তান্তরকারী এবং হস্তান্তর গ্রহীতা উভয় কর্তৃক সত্য বলিয়া প্রত্যায়ন করিয়া বীমাকারীর নিকট প্রদান না করিলে হস্তান্তরকারী এবং হস্তান্তর গ্রহীতা বা তাহার আইনসম্মত এজেন্ট অনুরূপ পলিসির অধীন প্রাপ্য অর্থ বা উহার অধীনে নিষ্পত্তিকৃত অর্থের জন্য মোকাদ্দমা করিতে পারিবে নাঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, বীমাকারীর বাংলাদেশে একাধিক কার্যালয় থাকিলে উপরি-উল্লিখিত নোটিশ পলিসিতে উল্লিখিত কার্যালয়ে বা প্রধান কার্যালয়ে বিলি করিতে হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত নোটিশের তারিখ হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগ এর অধীন পলিসিতে বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দাবীর অগ্রগণ্যতা নির্ধারণ করিতে এবং একাধিক হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগ এর ক্ষেত্রে এইরূপ দলিলের দাবীর অগ্রগণ্যতা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নোটিশ বিলির তারিখের ক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে৷

(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রাপ্তির পর বীমাকারী হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের বিষয়ে উহার তারিখ, হস্তান্তরকারী ও হস্তান্তর গ্রহীতার নামসহ লিপিবদ্ধ করিবে এবং নোটিশ প্রদানকারীর বা হস্তান্তর গ্রহীতা বা স্বত্বনিয়োগ গ্রহীতার আবেদনের প্রেক্ষিতে ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে অনুরূপ নোটিশের একটি লিখিত প্রাপ্তিস্বীকার পত্র প্রদান করিবে এবং এইরূপ প্রাপ্তিস্বীকার বীমাকারী কর্তৃক নোটিশ প্রাপ্তির চূড়ান্ত প্রমাণ বিবেচিত হইবে৷

(৫) হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের শর্তাবলী সাপেক্ষে এই ধারার উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে হস্তান্তর গ্রহীতা বা স্বত্ব নিয়োগ গ্রহীতা হিসাবে নোটিশে নাম উল্লিখিত ব্যক্তি পলিসির অধীন সকল সুবিধা পাওয়ার যোগ্য একমাত্র ব্যক্তি এবং হস্তান্তর বা স্বত্বনিয়োগের তারিখে হস্তান্তরকারী বা স্বত্ব প্রদানকারীর উপর ন্যস্ত সকল দায় ও মালিকানা ও অধিকার তাহার উপর বর্তাইবে এবং হস্তান্তরকারী বা স্বত্ব প্রদানকারীর অনুমতি ব্যতিরেকে এবং তাহাকে কোন পক্ষ না করিয়া সংশ্লিষ্ট পলিসি সংক্রান্ত যে কোন মোকদ্দমা দায়ের করিতে পারিবেন৷

(৬) এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে কার্যকর কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান অনুযায়ী হস্তান্তর গ্রহীতা কিংবা স্বত্ব নিয়োগ গ্রহীতার অধিকার ও প্রতিকারের কোন পরিবর্তন হইবে না৷

(৭) অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তির অনুকূলে স্বত্ব নিয়োগ যদি এইরূপ শর্তে হইয়া থাকে যে, যে ব্যক্তির লাইফ ইন্স্যুরেন্স করা হইয়াছে তাহার জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট কোন ঘটনা সংঘটন সাপেক্ষে উহা অকার্যকর হইবে বা বীমা পলিসির স্বার্থ অন্য কোন ব্যক্তির উপর বর্তাইবে তবে তাহা এবং একাধিক ব্যক্তির জীবিত উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণের অনুকূলে স্বত্ব নিয়োগ আইনসিদ্ধ হইবে৷

(৮) মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির হস্তান্তর গ্রহীতা বা স্বত্ব নিয়োগ গ্রহীতা শুধুমাত্র অনুরূপ হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের কারণে উক্ত কোম্পানীর সদস্য হইতে পারিবেন না৷
   
   
 
বীমা পলিসি গ্রাহক কর্তৃক মনোনয়ন
৫৭৷ (১) বীমা পলিসি গ্রাহক নিজ জীবনের উপর পলিসি গ্রহণ কালে বা পলিসি মেয়াদ পূর্তি পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়, তাহার মৃত্যুতে পলিসি দ্বারা নিশ্চিত অর্থ গ্রহণের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেনঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন মনোনীত ব্যক্তি যদি নাবালক হয় তবে বীমা পলিসি গ্রাহক কর্তৃক নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় পলিসি দ্বারা নিশ্চিত অর্থ, উক্ত নাবালকত্বকালীন সময়ে বীমা পলিসি গ্রাহকের মৃত্যু হইলে, গ্রহণের জন্য কোন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করিলে তাহা আইনসিদ্ধ হইবে৷

(২) অনুরূপ কোন মনোনয়ন কার্যকর হওয়ার জন্য, যদি উহা পলিসিতে লিপিবদ্ধ না হইয়া থাকে, তবে উহা পলিসিতে পৃষ্ঠাঙ্কন দ্বারা করিতে হইবে এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীকে অবহিত ও বীমাকারীর নথিতে নিবন্ধন করিতে হইবে এবং অনুরূপ মনোনয়ন পলিসির দায় পরিশোধের জন্য পরিপক্ক হইবার পূর্বে পৃষ্ঠাঙ্কন দ্বারা বা অতিরিক্ত আরো একটি পৃষ্ঠাঙ্কন দ্বারা বা উইল দ্বারা, যাহা প্রযোজ্য, বাতিল বা পরিবর্তন করা যাইবে; কিন্তু এইরূপ বাতিলকরণ বা পরিবর্তনের নোটিশ বীমাকারীকে প্রদান না করিলে, বীমাকারী সরল বিশ্বাসে মনোনীত ব্যক্তিকে বা বীমাকারীর নথিতে নিবন্ধিত মনোনীত ব্যক্তিকে পলিসির অধীনে কোন অর্থ প্রদান করিলে ইহার জন্য বীমাকারী দায়ী থাকিবে না৷

(৩) বীমাকারী বীমা পলিসি গ্রাহককে মনোনয়ন বা মনোনয়ন বাতিলের বা পরিবর্তনের নিবন্ধীকরণ সম্পর্কে একটি লিখিত প্রাপ্তিস্বীকার প্রদান করিবে এবং এই জন্য নির্ধারিত ফি ধার্য করিতে পারিবে৷

(৪) এই ধারার বিধান অনুযায়ী পলিসির স্বত্বনিয়োগ বা হস্তান্তর দ্বারা উহার মনোনয়ন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হইবেঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, স্বত্ব নিয়োগকালীন ঝুঁকি গ্রহণকারী বীমাকারী পলিসির জামানতে উহার প্রত্যর্পণ মূল্যের মধ্যে ঋণ প্রদান করিলে বা উক্ত ঋণ পরিশোধের পর উহার পুনঃস্বত্ব নিয়োগের কারণে কোন মনোনয়ন বাতিল হইবে না; কেবল ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বীমাকারীর স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা পর্যন্ত উহাতে মনোনীত ব্যক্তির অধিকার ক্ষুন্ন হইবেঃ

      আরো শর্ত থাকে যে, স্বত্ব নিয়োগ ঝুঁকি গ্রহণকারী বীমাকারী ব্যতীত অন্য কাহারো অনুকূলে পলিসির জামানতে উহার প্রত্যর্পণ মূল্যের মধ্যে ঋণ প্রদান করা হইলে উক্ত মনোনয়ন বাতিল হইবে না; বরং পলিসিতে ঋণদাতার স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের পর পুনঃস্বত্ব নিয়োগ পলিসির মনোনয়ন স্থগিত থাকিবে৷

(৫) বীমা পলিসি গ্রাহকের জীবদ্দশায় পলিসির মূল্য পরিশোধের জন্য পরিপক্ক হইলে বা মনোনীত ব্যক্তি বা একাধিক মনোনীত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, সকল মনোনীত ব্যক্তি পলিসি পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে মারা গেলে, পলিসি দ্বারা নিশ্চিত অর্থ বীমা গ্রহীতা বা তাহার উত্তরাধিকারী বা আইনসম্মত প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকার সনদ ধারক ব্যক্তিকে প্রদান যোগ্য হইবে৷

(৬) মনোনীত ব্যক্তি বা একাধিক মনোনীত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, মনোনীত ব্যক্তিগণ যদি বীমা পলিসি গ্রাহকের মৃত্যুকালে জীবিত থাকেন তবে পলিসি দ্বারা নিশ্চিত অর্থ উক্তরূপ জীবিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে প্রদেয় হইবে৷ 

(৭) কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে Married Women's Property Act, 1874 এর বিধান প্রযোজ্য হইলে বা কোন সময় প্রযোজ্য হইয়া থাকিলে, সেই ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে নাঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে কোন ব্যক্তি তাহার নিজের বা তাহার স্ত্রীর বা সন্তানদের বা তাহাদের যে কোন এক জনের লাইফ ইন্স্যুরেন্স করিলে এবং উক্ত পলিসিতে তাহার স্ত্রীর অনুকূলে মনোনয়ন প্রদান করিলে সেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (৬) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না বা প্রযোজ্য হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
ব্যবসা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কমিশন কিংবা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক পরিশোধে বিধিনিষেধ
৫৮৷ (১) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা অর্জন বা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বীমা এজেন্ট বা এজেন্ট নিয়োগকারী বা ব্রোকার ব্যতীত অন্য কাহাকে কমিশন বা অন্য কোন নামে কোন পারিশ্রমিক বা পারিতোষিক পরিশোধ করিবে না বা প্রদান করার জন্য কোন চুক্তি করিবে না৷

(২) কোন ব্যক্তি কোন বীমা এজেন্টকে, তাহার যে লাইসেন্সের মেয়াদের মধ্যে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংগ্রহ করিয়াছিল উহার মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার জন্য কোন নবায়ন কমিশন প্রদান করিবে না, বা উক্ত বীমা এজেন্টকে তৎকর্তৃক সংগৃহীত ব্যবসায়ের জন্য কমিশন গ্রহণ করিবে না যদি তিনি ধারা ১২৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত না হন৷

(৩) কোন বীমা এজেন্টকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ক্ষেত্রে, তাহার সংগৃহীত কোন পলিসির বা পলিসিসমূহের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত সীমার অধিক কমিশন বা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক পরিশোধ করা বা পরিশোধ করিবার উদ্দেশ্যে কোন চুক্তি করা যাইবে না, যথাঃ-

(ক) প্রথম বৎসরের প্রিমিয়ামের শতকরা ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) ভাগ; 

(খ) দ্বিতীয় বৎসরের নবায়ন প্রিমিয়ামের শতকরা ১০ (দশ) ভাগ; এবং

(গ) পরবর্তী বৎসর সমূহে নবায়ন প্রিমিয়ামের শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীগণ তাহাদের ব্যবসায়ের প্রথম ১০ (দশ) বত্‍সর তাহাদের বীমা এজেন্টকে তাহাদের মাধ্যমে সংগৃহীত পলিসির বা পলিসি সমূহের প্রথম বত্‍সরের প্রিমিয়ামের শতকরা ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) ভাগ, দ্বিতীয় বত্‍সরের নবায়ন প্রিমিয়ামের শতকরা ১২ (বার) ভাগ এবং পরবতর্ী বৎসরসমূহে নবায়ন প্রিমিয়ামের শতকরা ৬ (ছয়) ভাগ কমিশন প্রদান করিতে পারিবে৷

(৪) উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্যে বীমা এজেন্ট কর্তৃক তাহার বৈধ লাইসেন্সের মেয়াদকালে সংগৃহীত সকল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা, উক্ত এজেন্ট কর্তৃক সংগৃহীত ব্যবসায় বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) কোন বীমা এজেন্টকে তাহার মাধ্যমে ব্যবসায় সংগৃহীত হয় নাই এমন কোন পলিসির জন্য কমিশন বা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক প্রদান করা যাইবে না, কিংবা প্রদান করার চুক্তি করা যাইবে নাঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি তামাদি হয় এবং পলিসির শর্তাবলীর আওতায় বীমাকৃত ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়া তাহা পুনরুজ্জীবিত করা যায় না সেইক্ষেত্রে বীমাকারী যে বীমা এজেন্ট কর্তৃক পলিসি কার্যকর হইয়াছিল, সেই এজেন্ট কার্যরত থাকিলে, তাহাকে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে অন্যূন ১ (এক) মাস হইবে, পলিসি পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ প্রদানের পর অন্য বীমা এজেন্ট যিনি পলিসিটি পুনরুজ্জীবিত করিবেন তাহাকে, পলিসি যেই বীমা এজেন্ট কর্তৃক কার্যকর হইয়াছিল এবং উহা যদি তামাদি না হইত তাহা হইলে যে হারে কমিশন প্রদান করা হইত অনধিক সেই হারে পুনরুজ্জীবিত পলিসির বকেয়া প্রিমিয়ামের (অনুরূপ প্রিমিয়ামের সুদ বাদে) এবং পরবর্তী নবায়ন প্রিমিয়ামের উপর কমিশন প্রদান করা যাইবে৷
   
   
 
কমিশন ব্যয়ের সীমা
৫৯৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন বীমা এজেন্টকে বাংলাদেশে ইন্স্যুকৃত তাহার মাধ্যমে কার্যকর কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রে নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক কমিশন বা অন্য কোন পারিশ্রমিক বাবদ অর্থ প্রদান বা অর্থ পরিশোধের চুক্তি করিবে না এবং কোন বীমা এজেন্ট অনুরূপ অর্থ গ্রহণ বা অর্থ গ্রহণের চুক্তি করিবে নাঃ 

তবে শর্ত থাকে যে, এই শতকরা হার ধারা ৫৮ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (ক) তে উল্লিখিত হারের অধিক হইবে না৷ 

(২) কোন ব্যক্তি কোন বীমা এজেন্টকে বাংলাদেশে এবং ইস্যুকৃত এজেন্ট নিয়োগকারীর মাধ্যমে কার্যকর কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রে নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক কমিশন বা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক বাবদ অর্থ পরিশোধ বা অর্থ পরিশোধের চুক্তি করিবে না এবং কোন বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী ও অনুরূপ অর্থ গ্রহণ বা অর্থ গ্রহণের চুক্তি করিবে না৷ 

(৩) কোন ব্যক্তি কোন বীমা এজেন্টকে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত তাহার মাধ্যমে কার্যকর কোন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রে নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক কমিশন বা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক বাবদ অর্থ পরিশোধ বা পরিশোধের চুক্তি করিবে না ৷ 

(৪) কোন ব্যক্তি কোন ব্রোকারকে বীমাকারী কর্তৃক বাংলাদেশে ইস্যুকৃত এবং তাহার মাধ্যমে কার্যকর কোন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রে নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক কমিশন, ওভার রাইডিং কমিশন, বা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক বাবদ অর্থ পরিশোধ বা পরিশোধ করার চুক্তি করিবে না ৷ 

(৫) কোন বীমাকারী বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোন ব্যক্তিকে কোন প্রকারের কমিশন বাবদ বাংলাদেশের বাহিরে অর্থ প্রদান বা প্রদান করার চুক্তি করিবে না ৷ 

(৬) কোন বীমাকারী, বীমা এজেন্ট, এজেন্ট নিয়োগকারী ও ব্রোকার উপ-ধারা (১), (২), (৩), (৪) এবং (৫) এর কোন বিধান লংঘন করিলে উক্তরূপ লংঘনের জন্য লংঘনকারীকে অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা করা যাইবে৷ 

(৭) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধীকৃত কোন বীমাকারী উহার বাংলাদেশে পরিচালিত এবং বাংলাদেশের বাহিরে পুনঃবীমা ব্যবসার জন্য কোন কমিশন গ্রহণ বা গ্রহণ করার চুক্তি করিলে তাহা উপ-ধারা (৫) এর লংঘন বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি বাংলাদেশের বাহিরে গৃহীত সমুদয় অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে জমা করা হয়।
   
   
 
রেয়াত প্রদানে বিধিনিষেধ
৬০৷ (১) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে জীবন অথবা সম্পত্তি সংক্রান্ত কোন প্রকারের ঝুঁকির ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কোন ব্যক্তিকে কোন বীমা গ্রহণ, নবায়ন অথবা অব্যাহত রাখিবার জন্য উৎসাহিত করিতে কমিশন অথবা তাহার অংশ বিশেষের অথবা পলিসিতে প্রদর্শিত প্রিমিয়ামের কোন রেয়াত প্রদান করিবে না বা প্রদানের প্রস্তাব করিবে না অথবা গ্রাহক বা যে ব্যক্তি পলিসি গ্রহণ, নবায়ন বা সচল রাখিবেন তিনি বীমাকারী কর্তৃক প্রকাশিত নির্দেশিকা কিংবা তালিকা অনুসারে স্বীকৃত রেয়াত ভিন্ন অন্য কোন রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিবে নাঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন বীমা এজেন্ট যদি তাহার নিজ জীবনের উপর নিজে লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করেন তবে এই সংক্রান্ত কমিশন গৃহীত হইলে তাহা এই উপ-ধারার অর্থানুযায়ী প্রিমিয়ামের রেয়াত গ্রহণ হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি উক্ত কমিশন গ্রহণকালে বীমা এজেন্ট নির্ধারিত সকল শর্তাবলী পূরণ করিয়া নিজেকে বীমাকারী কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রকৃত বীমা এজেন্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারেন৷ 

(২) কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধানসমূহ লংঘন করিলে তাহাকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা যাইবে৷
   
   
 
কমিশন পরিশোধ অবসানে বিধিনিষেধ
৬১৷ (১) কোন ব্যক্তি এবং কোন বীমা এজেন্টের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে যাহাতে বীমা এজেন্টের নবায়ন কমিশন বাজেয়াপ্তকরণ কিংবা কমিশন প্রদান বন্ধ করার বিধান সংযোজিত আছে তাহাতে ভিন্নতর কিছু থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে পরিচালিত লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স নবায়ন কমিশন এইরূপ কোন ব্যক্তি জালিয়াতির কারণ ব্যতিরেকে কেবলমাত্র বীমা এজেন্টের চুক্তি অবসান হওয়ার কারণে তাহাকে নবায়ন কমিশন প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইতে পারিবে নাঃ 

তবে শর্ত থাকে যে, -

(ক) যদি কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় এবং বীমাকারী ও বীমা-এজেন্টকে এই বিষয়ে অবহিত করে যে, উক্ত বীমাকারীর অবস্থার প্রেক্ষিতে বীমা-এজেন্টের বীমাকারীর জন্য কর্মসম্পাদনের অবসানের বিষয়টি যথাযথ হইয়াছে, তাহা হলে উক্ত বীমা-এজেন্টর সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর কাজে নিযুক্তির অবসান হইবে; অথবা

(খ) এইরূপ বীমা এজেন্ট বীমাকারীর অনুকূলে এজেন্ট হিসাবে ক্রমাগত এবং এককভাবে অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর কাজ করিলে এবং নির্ধারিত সর্বনিম্ন নবায়ন কমিশন লাভ করিয়া বীমাকারীর বীমা এজেন্টের কাজ শেষ করিলে তিনি নবায়ন কমিশন প্রাপ্ত হইবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে কিংবা অন্য কোন প্রকারের কোন বীমা-এজেন্টের প্রাপ্য কমিশন, উক্ত এজেন্টের মৃত্যু হইলেও এবং এই আইনে এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত থাকার বিধান থাকা সত্ত্বেও, বীমা-এজেন্ট জীবিত তাকিলে যত দিন কমিশন পাইতেন ততদিন তাহার উত্তরাধিকারী কমিশন পাইতে থাকিবে বা উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী এক বা একাধিক কিস্তিতে উহা প্রদেয় হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারা অনুযায়ী নবায়ন প্রিমিয়ামের জন্য কোনরূপ কমিশন প্রদান করা হইবে না যদি মৃত্যুর পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসে বীমা এজেন্ট কর্তৃক নবায়ন প্রিমিয়ামের জন্য অর্জিত কমিশন নির্ধারিত টাকার কম হইয়া থাকে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বীমা এজেন্ট তাহার মৃত্যুর পর তাহাকে প্রদেয় কমিশন কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদিগকে প্রদান করার জন্য মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোন মনোনয়ন সম্পর্কে বীমাকারীকে অবহিত করিতে হইবে এবং তত্‍কতর্ৃক লিখিতরূপে নিবন্ধিত হইতে হইবে এবং এইরূপ মনোনয়ন বীমা এজেন্ট তাহার মৃতু্যর পূর্বে যে কোন সময় বাতিল বা সংশোধন করিতে পারিবেন, তবে উক্ত বাতিলকরণ বা সংশোধনের ব্যাপারে বীমাকারীকে লিখিতভাবে কোন নোটিশ প্রদান না করিলে বীমাকারী কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত মনোনীত ব্যক্তিকে প্রাপ্য কমিশন পরিশোধ করিলে অনুরূপ পরিশোধের জন্য তিনি দায়ী হইবেন নাঃ

      আরো শর্ত থাকে যে, বীমাকারী নিবন্ধনকৃত মনোনয়ন কিংবা উহার বাতিলকরণ বা সংশোধনের ব্যাপারে বীমা এজেন্টকে লিখিতভাবে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র পাঠাইবে :

      আরো শর্ত থাকে যে, মনোনীত ব্যক্তি নাবালক হইলে এবং নাবালক অবস্থায় তাহার মৃত্যু হইলে কমিশন গ্রহণ করার জন্য বীমা এজেন্ট কর্তৃক অপর কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান আইনানুগ হইবে৷ 

(৪) উপ-ধারা (২) এর আওতাধীনে মৃত বীমা এজেন্টের উত্তরাধিকারী কিংবা তাহার মনোনীত ব্যক্তিকে পরিশোধযোগ্য কমিশন বীমাকারী পারস্পরিক সম্মতিতে নির্ধারিত এককালীন বা একাধিক কিস্তিতে প্রদান করিবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অনুরূপভাবে পরিশোধ করিতে পারিবে৷

(৫) বীমাকারী বীমা এজেন্টের মৃত্যুকালে তাহার নিকট পাওনা অর্থ উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী তাহার পরিশোধযোগ্য কমিশন হইতে আদায় করিতে পারিবে৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় "বীমা এজেন্ট" বলিতে এজেন্ট, এজেন্ট নিয়োগকারী ও ব্রোকারকে বুঝাইবে এবং "কমিশন" বলিতে পরিশোধযোগ্য কমিশন বুঝাইবে৷
   
   
 
লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সীমা
৬২৷ (১) কোন বীমাকারী তৎকর্তৃক বাংলাদেশে লেনদেনকৃত লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় কোন পঞ্জিকা বৎসরে ব্যবসা সংগ্রহের কমিশন খরচ বা পারিশ্রমিকসহ ব্যবস্থাপনা ব্যয় হিসাবে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করিবে না এবং অনুরূপ ব্যয়সীমা নির্ধারণে বীমাকারীর আকার ও বয়স এবং বীমাকারীর প্রিমিয়াম হারে ব্যবস্থাপনা খরচের জন্য সাধারণভাবে প্রণীত বিধানাবলী বিবেচনা করিতে হইবেঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তাহার নিকট দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে বীমাকারী যুক্তিসংগত কারণে, উক্ত নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করিলে তজ্জন্য এই উপ-ধারার লংঘন প্রমার্জন করিতে পারিবে৷

(২) বাংলাদেশে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রত্যেক বীমাকারী রাজস্ব হিসাবে চেয়ারম্যান ও দুইজন পরিচালক এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র এবং নিরীক্ষকের প্রত্যায়নপত্র সংযুক্ত করিবে যাহাতে বীমাকারী কর্তৃক বাংলাদেশে তাহার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সম্পর্কিত সমুদয় ব্যবস্থাপনা ব্যয় উক্ত রাজস্ব হিসাবে ব্যয় বাবদ বিকলন করা হইয়াছে মর্মে প্রত্যয়ন থাকিবে৷

ব্যাখ্যা৷-এই ধারায় "ব্যবস্থাপনা ব্যয়" অর্থ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ব্যয়িত সমুদয় ব্যয় এবং ইহাতে নিম্নলিখিত ব্যয় সমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে-

(ক) সকল প্রকার কমিশন পরিশোধ ; 

(খ) মূলধনায়িত ব্যয়ের যথার্থ অংশ ; 

(গ) বীমাকারীর মূল ব্যবসাস্থল বাংলাদেশের বাহিরে থাকিলে সেইক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের ব্যয়ের যথাযথ অংশ যাহা মোট নীট প্রিমিয়াম আয়ের অনুরূপ নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক হইবে না, অর্থাৎ বাংলাদেশে ঐ বৎসরে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় লেনদেনকৃত সরাসরি অবলিখিত মোট প্রিমিয়াম বিয়োজনে সমর্পিত পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের অধিক হইবে না কিন্তু তদকর্তৃক বাংলাদেশের বাহিরে লেনদেনকৃত লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংক্রান্ত প্রধান কার্যালয়ের ব্যয়ের কোন অংশ অন্তর্ভুক্ত হইবে না৷
   
   
 
নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সীমা
৬৩৷(১) কোন বীমাকারী তৎকর্তৃক বাংলাদেশে লেনদেনকৃত কোন শ্রেণীর নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় কোন পঞ্জিকা বৎসরে ব্যবসা সংগ্রহের কমিশন খরচ কিংবা পারিশ্রমিকসহ ব্যবস্থাপনা ব্যয় হিসাবে নির্দেশিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করিবে না এবং অনুরূপ ব্যয়সীমা নির্দেশনায় বীমাকারীর আকার ও বয়স বিবেচনা করিতে হইবেঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তাহার নিকট করা আবেদনের ভিত্তিতে বীমাকারী যুক্তিসঙ্গত কারণে উক্ত নির্দেশিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করিলে তজ্জন্য এই উপ-ধারার লংঘন প্রমার্জন করিতে পারিবে৷ 

(২) উপ-ধারা(১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক বীমাকারী রাজস্ব হিসাবে উহার চেয়ারম্যান ও দুইজন পরিচালক এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র এবং নিরীক্ষকের প্রত্যায়নপত্র সংযুক্ত করিবে যাহাতে এই ধারায় বর্ণিত ব্যবসা সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমূদয় ব্যবস্থাপনা ব্যয় উক্ত রাজস্ব হিসাবে ব্যয় বাবদ বিকলন করা হইয়াছে মর্মে প্রত্যায়ন থাকিবে৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-

(ক) "ব্যবস্থাপনা ব্যয়'' অর্থ সর্ব প্রকার কমিশন পরিশোধসহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যয়িত সমুদয় ব্যয় এবং বাংলাদেশের বাহিরে মূল ব্যবসাস্থল থাকিলে সেই বীমাকারীর ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের ব্যয়ের যথার্থ অংশ যাহা মোট নীট প্রিমিয়াম আয়ের অনুরূপ নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক হইবে না, অর্থাৎ বাংলাদেশে ঐ বৎসরে সরাসরি অবলিখিত মোট প্রিমিয়াম যোগে গৃহীত পুনঃবীমা বিয়োজনে সমর্পিত প্রিমিয়াম অর্থের অধিক হইবে না;

(খ) "বাংলাদেশে পরিচালিত বীমা ব্যবসা" অর্থ বাংলাদেশে অবস্থিত যে কোন সম্পত্তি কিংবা বাংলাদেশ নিবন্ধিত কোন নৌযান অথবা উড়োজাহাজ সম্পর্কিত যে কোন স্থানে কার্যকর হওয়া বীমা ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত ৷
   
   
 
পারিশ্রমিক
৬৪৷ ধারা ৫৮, ৫৯, ৬২ ও ৬৩ এর উদ্দেশ্যে "পারিশ্রমিক" এ ভ্রমণ ভাতা ও বিনোদন ভাতা এবং অন্যান্য সকল ধরনের অর্থ পরিশোধ ও ব্যয় অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
   
   
 
অতিরিক্ত পারিশ্রমিক পরিশোধ সীমিত করণের ক্ষমতা
৬৫৷ (১) কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তষ্ট হয় যে, কোন বীমাকারী বাংলাদেশে পরিচালিত উহার সকল বীমা ব্যবসায়ে তাহার সম্পদের তুলনায় বীমা ব্যবসায়ের প্রচলিত সাধারণ মানের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় এইরূপ কমিশন বা অন্যকোন প্রকারে কোন ব্যক্তিকে পারিশ্রমিক প্রদান করে তবে কর্তৃপক্ষ ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এই বিষয়ে পরিপালনের জন্য যেইরূপ প্রয়োজন মনে করে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং এই নির্দেশ পালনের জন্য যদি বীমাকারী কর্তৃক ঐ ব্যক্তির সংগে সম্পাদিত চুক্তির শর্তাবলী সংশোধন করিতে হয়, বীমাকারী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অথবা সংশোধিত শর্তাবলী গ্রহণযোগ্য না হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি পদত্যাগ করে, তবে শুধুমাত্র শর্তাবলী সংশোধনের কারণে বীমাকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে না; এবং পদত্যাগের তারিখের পরে প্রদত্ত কোন অর্থের জন্য বীমাকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই বিষয়ে অনুমোদিত হারে ব্যতীত, নবায়ন কমিশন বা অন্য কোন প্রকারে অনুরূপ ব্যক্তিকে অর্থ প্রদান করিবে না৷

(২) প্রত্যেক বীমাকারী প্রতি বৎসর ১ মার্চের পূর্বে পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বর্ষে কোন ব্যক্তিকে ন্যূনতম আয়করযোগ্য আয় সীমার অতিরিক্ত কমিশন বা অন্য কোন প্রকারে তাহার প্রদত্ত পারিশ্রমিক সম্পর্কিত একটি বিবরণী নির্ধারিত ছকে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে৷

(৩) বীমাকারী কোন ব্যক্তির সঙ্গে তাহার সম্পাদিত চুক্তির অধীনে আয়কর আইনে নির্ধারিত আয়করযোগ্য বার্ষিক আয় সীমার অতিরিক্ত পারিশ্রমিক প্রদান করিলে, কর্তৃপক্ষ লিখিত নোটিশ দ্বারা, অনুরূপ চুক্তির একটি সত্যায়িত অনুলিপি দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং বীমাকারী উক্ত নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবে৷
   
   
 
ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য বিধানাবলী
৬৬৷ (১) কোম্পানী আইন অথবা কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার সংঘবিধি অথবা কোন চুক্তি বা সম্মতিপত্রে যাহাই থাকুক না কেন, এই অাইন কার্যকর হওয়ার ১ (এক) বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোন বীমাকারী এইরূপ কোন ব্যবস্থাপক বা কর্মকর্তা বা অন্য কোন পদবীধারী দ্বারা পরিচালিত হইবে না বা উক্ত পদ সমূহে কাউকে নিযুক্ত করিবে না যাহাদের পারিশ্রমিক বা উহার অংশ বিশেষ লেনদেনকৃত মোট বীমা ব্যবসায়ের উপর কমিশন বা নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের কোন শ্রেণী বা উপ-শ্রেণী বা উহাদের আংশিক ব্যবসায়ের উপর কমিশন বা অন্য কোনরূপে পরিগণিত হয়ঃ 

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন বিধান নিম্নলিখিত বিষয়সমূহে বাধা হইবে না, যথাঃ- 

(ক) বীমা এজেন্ট বা বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী বা ব্রোকার কর্তৃক বা তাহার মাধ্যমে আহরিত ব্যবসায়ের জন্য প্রদেয় কমিশন; 

(খ) ব্যবসা সংগ্রহের জন্য কমিশন প্রাপ্ত হন এইরূপ বীমা এজেন্টকে করনিক বা অধস্তন পদে নিয়োগ; 

(গ) বীমাপ্রতিনিধি বা বীমাপ্রতিনিধি নিয়োগকারী হিসাবে ব্যবসা সংগ্রহের জন্য কমিশন প্রাপ্ত হয় এইরূপ ব্যক্তি বিশেষকে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ; 

(ঘ) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের মুনাফার অংশ বন্টন; 

(ঙ) অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে সকল শ্রেণীর কর্মচারীকে কোন সময়ের জন্য অভিন্ন ভিত্তিতে বোনাস প্রদান ; এইরূপ বোনাস কোন কর্মচারীর ক্ষেত্রে ঐ সময়ে প্রাপ্ত তাহার বেতনের অধিক হইবে না এবং যাহা কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় যুক্তিসঙ্গত হইবে৷ 

(২) এই ধারার কোন বিধান প্রয়োগের কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, চুক্তি বা অন্য কোন কারণে, তজ্জন্য কোন ক্ষতিপূরণ লাভের অধিকারী হইবেন না৷
   
   
 
একচ্যুয়ারির নিযুক্তি
৬৭৷ (১) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার জন্য নিবন্ধিত প্রত্যেক বীমাকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে একজন একচ্যুয়ারী নিয়োগ করিবে৷ 

(২) একচ্যুয়ারির যোগ্যতা, দায়িত্ব এবং অন্যান্য সুবিধা ও শর্তসমূহ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷

(৩) কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত কারণে অনুরূপ নিয়োগ অনুমোদন নাও করিতে বা পূর্বে প্রদত্ত অনুমোদন বাতিল করিতে পারিবে৷

(৪) বীমাকারীর নিযুক্ত একচ্যুয়ারি উপ-ধারা (৩) এর কারণ ব্যতীত অন্য কোন কারণে চাকুরীতে না থাকিলে বীমাকারী চাকুরীতে না থাকার তারিখ হইতে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে একচ্যুয়ারির চাকুরীতে না থাকার বিষয় এবং উহার কারণ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে এবং তাহার পদ শূন্য হওয়ার অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে বা কর্তৃপক্ষ আরও সময় প্রদান করিলে সেই সময়ের মধ্যে অপর একজনকে ইহার একচ্যুয়ারি হিসাবে নিয়োগের অনুমোদন গ্রহণ করিবে৷ 

(৫) বীমাকারীর নিযুক্ত একচ্যুয়ারির তাহার বিবেচনায় কোন বিষয় পরিচালনা পর্ষদের গোচরীভূত করার প্রয়োজন মনে করিলে তিনি নির্বিঘ্নে তাঁহার প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদের নিকট প্রদান করিতে পারিবেন৷

(৬) একচ্যুয়ারিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত চাকুরীচ্যুত করা যাইবে না এবং কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের শুনানী গ্রহণ না করিয়া অনুরূপ চাকুরীচ্যুতির অনুমতি প্রদান করিবে না৷

(৭) একচ্যুয়ারি চাকুরী হইতে পদত্যাগ করিলে তিনি কর্তৃপক্ষকে তাহার পদত্যাগের কারণ অবহিত করিবেন এবং ঐ পদত্যাগের সহিত জড়িত কোন বিষয় কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা উচিত বলিয়া বিশ্বাস করিলে তিনি উহা করিবেন৷ 

(৮) বীমাকারীর কোন পরিচালক, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্মকর্তা বা কর্মচারী একচ্যুয়ারি কর্তৃক চাহিদাকৃত সকল তথ্য নিজ নিজ জ্ঞাতসারে প্রদান করিবেন এবং এইরূপ নিশ্চিত করিবেন যে, নিযুক্ত একচ্যুয়ারিকে প্রদত্ত কোন বস্তুগত বিবরণ মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর এবং অসম্পূর্ণ নহে৷
   
   
 
দুই বৎসর উত্তর পলিসি অসত্য তথ্য প্রদানের কারণে প্রশ্নসাপেক্ষ না করা
৬৮৷ এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বলবৎ কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি এই আইন প্রবর্তিত হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর এবং এই আইন বলবৎ হইবার পর কার্যকর কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি উহা বলবৎ হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর কোন বীমাকারী বীমার প্রস্তাবকৃত কিংবা ডাক্তারী প্রতিবেদন কিংবা বীমাকৃত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট রেফারী বা বন্ধু কিংবা অপর কোন দলিলের বিবরণী সঠিক ছিল না বা ভ্রান্ত ছিল এই মর্মে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না, যদি না বীমাকারী প্রমান করিতে পারে যে, উক্ত বিবরণী অতীব প্রয়োজনীয় বিষয় সংক্রান্ত ছিল এবং প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এইরূপ তথ্য গোপন করা হইয়াছিল কিংবা পলিসি গ্রাহক জালিয়াতির আশ্রয়ে তাহা সম্পাদন করিয়াছিলেন এবং বিবরণ প্রদানকালে পলিসিগ্রাহক জ্ঞাত ছিলেন যে, তাহা অসত্য অথবা প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এইরূপ তথ্য গোপন করা হইয়াছেঃ



তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই বীমাকারীকে যে কোন সময় বয়স প্রমাণ করিতে বলা হইতে নিবৃত্ত করিবে না যদি তিনি তাহা করার অধিকারী হন এবং প্রস্তাবে প্রদত্ত বয়সের বিবরণী দেওয়ায় পরবর্তীতে প্রমাণ সাপেক্ষে পলিসির শর্তসমূহ সমন্বিত করা হইয়াছে শুধুমাত্র এই কারণে কোন পলিসি প্রশ্নসাপেক্ষ হইবে না৷
   
   
 
বাংলাদেশে ইস্যুকৃত পলিসির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনের প্রযোজ্যতা
৬৯৷ এই আইন প্রবর্তিত হইবার পর বাংলাদেশে লেনদেন হওয়া বীমা ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বীমাকারী দ্বারা ইস্যুকৃত বীমা পলিসি সংক্রান্ত চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বীমাকারী কর্তৃক নিশ্চিতকৃত পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে গ্রহণ করিবার এবং বাংলাদেশে যথাযথ অধিক্ষেত্রভুক্ত কোন আদালতে পলিসি সম্পর্কিত কোন প্রতিকারের নিমিত্ত মোকদ্দমা দায়ের করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্তরূপ কোন মোকদ্দমা বাংলাদেশে দায়ের করা হইলে অনুরূপ কোন পলিসি সংক্রান্ত সৃষ্ট আইনের প্রশ্ন বাংলাদেশে কার্যকরী কোন আইন অনুযায়ী উহা নিষ্পন্ন করিতে হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই নৌ বীমা পলিসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
   
   
 
আদালতে অর্থ পরিশোধ
৭০৷ (১) যেইক্ষেত্রে বীমাকারী পরিশোধের নিমিত্ত পরিপক্ক লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি সম্পর্কে এইমর্মে মতামত পোষণ করেন যে, বিরোধমূলক দাবী কিংবা অপর্যাপ্ত প্রমাণ বা অন্য উপযুক্ত কারণে বীমাকারীর অনুকূলে নিশ্চিত অর্থ প্রদানের যথাযথ দায়মুক্তি পাওয়া অসম্ভব, সেইক্ষেত্রে পলিসি পরিপক্ক হইবার তারিখ হইতে বীমাকারী কিংবা যেইক্ষেত্রে বীমাকারী পরিস্থিতির কারণে আংশিক ঐরূপ পরিপক্কতার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক অবগত হইতে পারে নাই সেইক্ষেত্রে যে তারিখে বীমাকারীকে পরিপক্কতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয় সেই তারিখ হইতে ৯ (নয়) মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে অধিক্ষেত্রভুক্ত আদালতে উক্ত পরিমাণ অর্থ যাহা পলিসির জন্য প্রদেয় তাহা পরিশোধ করিবার জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবে৷

(২) অনুরূপ পরিশোধের জন্য আদালত কর্তৃক প্রদানকৃত রসিদ বীমাকারী কর্তৃক সেই অর্থ পরিশোধ করার সন্তোষজনক দায়মুক্তি হিসাবে গণ্য হইবে ৷

(৩) এই ধারার অধীন আবেদনকারী বীমাকারীর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতে অর্থ প্রদান করিবার অনুমতির জন্য আবেদন করিতে হইবে এবং আবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-

(ক) বীমাকৃত ব্যক্তির নাম এবং তাহার ঠিকানা;

(খ) বীমাকৃত ব্যক্তি মৃত হইলে, সেইক্ষেত্রে তাহার মৃত্যুর তারিখ এবং স্থান;

(গ) পলিসির প্রকৃতি এবং নিশ্চয়তা প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ;

(ঘ) বীমাকারীর জানামতে প্রত্যেক দাবীদারের নাম, ঠিকানা এবং গৃহীত সমস্ত দাবীর নোটিশের বিস্তারিত বর্ণনা;

(ঙ) বীমাকারীর অভিমত অনুযায়ী অর্থ পরিশোধের দায়মুক্তি পাওয়া যাইবে না কেন উহার কারণ; এবং

(চ) যে ঠিকানায় বীমাকারীকে আদালতের প্রদত্ত অর্থ সংক্রান্ত কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে৷

(৪) আদালতে পলিসি গ্রাহকের জীবদ্দশায় পলিসি পরিপক্ক হইবার তারিখ হইতে অথবা বীমা করা হইয়াছে এমন ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে বীমাকারী কর্তৃক নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে আবেদন করা হইলে উহা এই ধারার অধীনে গৃহীত হইবে না৷

(৫) যদি আদালতের নিকট এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, বীমাকারী কর্তৃক অর্থ পরিশোধের দায়মুক্তি অন্য কোনরূপে পাওয়া অসম্ভব তাহা হইলে আদালত সেই অর্থ আদালত পরিশোধ করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিবে এবং উক্ত অর্থ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকারী সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করিবেন৷

(৬) উপ-ধারা (৩) মোতাবেক দরখাস্ত দাখিল করিবার পর বীমাকারী দাবী সম্পর্কিত প্রতিটি বিজ্ঞপ্তি আদালতে প্রেরণ করিবে এবং উক্তরূপ দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক কার্যপদ্ধতি সম্পন্ন করার ব্যয় এবং জমা অর্থের নিষ্পন্ন করিতে ব্যয় বীমাকারী বহন করিবে এবং আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অন্য সকল ব্যয় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হইবে৷ 

(৭) আদালত জমা হওয়া অর্থের বিষয়ে নিশ্চিতকৃত দাবীদারগণকে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করিবার ব্যবস্থা করিবে এবং কোন দাবীদার অর্থ উত্তোলনের দরখাস্ত করিলে সকল দাবীদারকে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের খরচও তাহার নিকট হইতে আদায়কৃত অর্থে নির্বাহ করিবে৷ 

(৮) আদালতে জমা হওয়া অর্থের দাবী নিষ্পন্ন করা সংক্রান্ত সকল প্রকার জিজ্ঞাসার বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে৷
   
   
 
স্বল্প অংকের লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স দাবী সংশ্লিষ্ট বিরোধ
৭১৷ (১) বিধি দ্বারা নির্ধারিত স্বল্প অংকের দায় সম্বলিত (নিশ্চিতকৃত লাভ বা বোনাস নয় এইরূপ লাভ ও বোনাস ব্যতিরেকে) লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি বা বাংলাদেশে লেনদেন হওয়া কোন বীমা ব্যবসায় সম্পর্কিত কোন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির দাবীর পরিমাণ সম্পর্কে কোন বিরোধ দেখা দিলে দাবীদার ইচ্ছা করিলে উহা নিষ্পত্তি করিবার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শোনার পর এবং নিজের একক সূক্ষ বিচারে, প্রয়োজনীয় বিবেচিত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের পর বিরোধ নিষ্পত্তি করিতে পারিবে৷ 

(২) এই ধারার অধীন গৃহীত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বিবেচিত হইবে এবং উহাকে কোন আদালতে প্রশ্নের সম্মুখীন করা যাইবে না এবং এইরূপ সিদ্ধান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করিবার উপযুক্ত কোন আদালতের রায় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং তদনুযায়ী কার্যকর করা হইবে৷ 



(৩) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীন কর্তব্য পালনের জন্য নির্ধারিত শতকরা হারে বা অন্য কোন প্রকারে ফি ধার্য ও আদায় করিবে৷
   
   
 
বিলম্বে দাবী পরিশোধের সুদ
৭২৷ (১) বীমাকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত পলিসির অধীন অর্থ প্রদেয় হয় এবং দাবী প্রদানের জন্য সমস্ত কাগজপত্র দাবীদার কর্তৃক দাখিল করা হইয়াছে এইরূপ ক্ষেত্রে বীমাকারী যদি দাবী পরিশোধের প্রাপ্য হওয়া বা দাবীদার কর্তৃক সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণের, যাহা পরে সংঘটিত হয়, ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে দাবী পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে উপ-ধারা (২) এ নির্ধারিত সুদ পরিশোধ করিবে, যদি না বীমাকারী এইরূপ ব্যর্থতা তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল বলিয়া প্রমাণ করিতে পারে৷ 



(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুদ ব্যর্থতাজনিত চলমান সময়ের জন্য পরিশোধযোগ্য হইবে এবং প্রচলিত ব্যাংক রেটের অতিরিক্ত শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগ হারে মাসিক ভিত্তিতে হিসাব করিতে হইবে৷
   
   
 
বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি
৭৩৷ (১) কর্তৃপক্ষ ধারা ৭১ এর অধীন দাবী সম্পর্কিত বিরোধ ব্যতীত বীমাকারী ও বীমা পলিসি গ্রাহকদের মধ্যকার দাবী সম্পর্কিত অন্যান্য উদ্ভূত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন করিবে৷ 



(২) এই ধারা অনুযায়ী কমিটির গঠন এবং কার্যপদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং এইরূপ কমিটির ক্ষেত্রে সালিস আইন, ২০০১ বা উহার অধীনে প্রণীত কোন বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷ 



(৩) বিরোধ সম্পর্কিত বিষয়বস্তুতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি এই কমিটির সদস্য নিযুক্ত হইতে পারিবে না৷ 

(৪) গোষ্ঠি বীমা পলিসি ব্যতীত লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি বা নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির দাবী সংশ্লিষ্ট বিরোধ এই কমিটির কার্যপরিধির অন্তর্ভুক্ত হইবে৷ 



(৫) কোন ব্যক্তি কমিটির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদালতের শরণাপন্ন হইতে পারিবেন৷
   
   
 
বীমা এজেন্ট, এজেন্ট নিয়োগকারী, জরিপকারী এবং বীমা ব্রোকারদের বীমা কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ
৭৪৷ (১) লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর কোন বীমা এজেন্ট এবং এজেন্ট নিয়োগকারী কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর পরিচালক হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না৷ 



(২) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর কোন বীমা এজেন্ট, জরিপকারী এবং বীমা ব্রোকার কোন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বীমাকারীর পরিচালক হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না৷ 



(৩) কোন বীমা এজেন্ট বা এজেন্ট নিয়োগকারী বা জরিপকারী অথবা বীমা ব্রোকার উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি পরিচালক থাকিবেন না এবং ইহার অতিরিক্ত এজেন্ট বা বীমা ব্রোকার হিসাবে তাহার লাইসেন্স অথবা এজেন্ট নিয়োগকারী বা জরিপকারী হিসাবে তাহার সনদপত্র, যাহা প্রযোজ্য, বাতিল যোগ্য হইবে৷
   
   
 
যুগপত্‍ভাবে একই শ্রেণীর একাধিক বীমাকারীর বা বীমাকারী ও ব্যাংক-কোম্পানীর বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ
৭৫৷ আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন বীমাকারীর পরিচালক একই শ্রেণীর বীমা ব্যবসার জন্য নিবন্ধীকৃত অন্য কোন বীমাকারীর বা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইতে পারিবে না৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে "ব্যাংক-কোম্পানী" বলিতে ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী এবং "আর্থিক প্রতিষ্ঠান" বলিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে৷
   
   
 
বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদ
৭৬৷ (১) বীমাকারী কোম্পানী আইন এর অধীনে নিবন্ধিত হইলে, উহার সংঘস্মারক বা সংঘবিধিতে যাহাই থাকুক না কেন উহার পরিচালকের সংখ্যা ২০ (বিশ) জনের অধিক হইবে না এবং সেইক্ষেত্রে ১২ (বার) জন উদ্যোক্তা পরিচালক ও ৬ (ছয়) জন জনগণের অংশের শেয়ার গ্রহীতা পরিচালক এবং ২ (দুই) জন নিরপেক্ষ (independent) পরিচালক থাকিবেন৷

(২) শেয়ারগ্রহীতাগণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচন করিবে৷
   
   
 
মনোনীত পরিচালক মনোনয়নে বিধি-নিষেধ
৭৭৷ (১) আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোন আইনে বা বীমাকারীর সংঘবিধিতে যাহা কিছই থাকুক না কেন, বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যতীত অন্য কেহ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন নাঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন পরিচালক ৩ (তিন) মাসের অধিক সময়ের জন্য বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করিলে কর্তৃপক্ষকে পূর্ব অবহিতকরণক্রমে পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন কোন ব্যক্তিকে তাহার স্থলে পরিচালক হিসাবে কাজ করার জন্য মনোনীত করিতে পারিবেনঃ

      আরো শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোন মনোনীত পরিচালক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে ৬ (ছয়) মাসের অধিক পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন না৷
   
   
 
পরিচালক কর্তৃক চাকুরী করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ
৭৮৷ আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা বীমাকারীর সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি বীমাকারীর চাকুরীতে উপদেষ্টা, নিরীক্ষক, পরামর্শক বা অন্য কোন লাভজনক পদে নিয়োজিত থাকিলে তিনি উক্ত বীমাকারীর পরিচালক হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না৷
   
   
 
পরিচালক পর্ষদের সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন
৭৯৷ বীমাকারীর সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সহ-সভাপতি পরিচালকদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, পরিচালনা পর্ষদে একজনের অধিক সহ-সভাপতি থাকিবে না৷
   
   
 
মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ
৮০৷ (১)কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে বীমা কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারূপে নিয়োগ করা যাইবে না এবং নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অনুরূপ যোগ্যতা ও বীমাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হইলে ঐরূপ নিয়োগ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করিবে না৷

(২) বীমাকারী কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীনে অনুমোদিত কোন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত অপসারণ, চাকুরীচ্যুত বা বরখাস্ত করা যাইবে না এবং কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বীমাকারী বা এই বিষয়ে তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির শুনানী গ্রহণ ব্যতীত কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে না৷

(৩) বীমাকারী কোন ব্যক্তিকে উহার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবার বা ঐ পদে না থাকিবার ঘটনা অবগত হওয়ার ১৫ (পনের) দিন হইতে শেষ হইবার পূর্বে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে৷ 

(৪) বীমা কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ একাধারে ৩ (তিন) মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাইবে নাঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত সময় সীমা আরো ৩ (তিন) মাস বর্ধিত করিতে পারিবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন বীমা কোম্পানীর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পূরণ করা না হইলে কর্তৃপক্ষ কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ যেইরূপ নির্ধারণ করিবে কোম্পানী তদানুযায়ী উক্ত প্রশাসকের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদির যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করিবে৷
   
   
 
উপদেষ্টা নিয়োগ
৮১৷ আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোন আইনে অথবা বীমাকারীর সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন বীমাকারী ২ (দুই) জনের অধিক উপদেষ্টা নিয়োগ করিবে না এবং উক্তরূপ নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে হইবে নাঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ নিযুক্ত উপদেষ্টার নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকিবে এবং তাহাকে প্রবিধানদ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হইতে হইবে৷
   
   
 
লভ্যাংশ, বোনাস প্রদানে বিধিনিষেধ
৮২৷ (১) কোন বীমাকারী উহার পর্যাপ্ত সম্পদ দ্বারা মিটানো সম্ভব নয় এইরূপ ব্যবস্থাপনা ব্যয়, শেয়ার বিক্রয় কমিশন, ব্রোকারেজ সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যয়, সাধিত ক্ষতি এবং অন্য কোন ব্যয় সম্পূর্ণ অবলোপন না করিয়া উহার শেয়ারের জন্য কোন লভ্যাংশ প্রদান করিবে না৷



(২) কোন লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী বীমাকারী শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ঘোষণা বা প্রদান, পলিসি-গ্রাহকদের বোনাস বা কোন প্রকার ডিবেঞ্চার, ঋণ বা অগ্রীম সংশ্লিষ্ট অর্থ প্রদানে সম্পদ ও দায়ের একচ্যুয়ারিয়াল মুল্যায়ন সম্পর্কিত এই অধ্যাদেশে উল্লিখিত সার-সংক্ষেপের অংশ হিসাবে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত মূল্যায়ন স্থিতিপত্রে প্রদর্শিত উদ্বৃত্ত ব্যতীত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিলের বা অন্য কোন বীমা শ্রেণীর কোন তহবিলের অংশ ব্যবহার করিবে না; এবং অনুরূপ উদ্বৃত্ত এই অাইনের অধীনে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত বিবরণীতে প্রদর্শিত অনুরূপ উদ্বৃত্ত দ্বারা গঠিত সংরক্ষিত তহবিল ব্যতীত, অন্য কোন প্রকারে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা যাইবে না, যদি না উক্ত অর্থ উপরোক্ত মূল্যায়নের তারিখে বা তাহার পূর্বে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট রাজস্ব হিসাবের মাধ্যমে রাজস্ব হিসাবে স্থানান্তরিত হইয়া থাকেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যখন প্রদত্ত ডিবেঞ্চারের সুদ পূর্বোক্ত প্রদর্শিত উদ্বৃত্ত মূল্যায়নে গৃহীত সুদের ভিত্তি হিসাবে সংশ্লিষ্ট তহবিল বা তহবিলসমূহে সমন্বিত বা আকলিত হইয়াছে এইরূপ ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যত্র কোন ডিবেঞ্চার সম্পর্কিত সুদসহ অর্থ প্রদান অনুরূপ উদ্বৃত্তের শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগের অধিক এবং পরিশোধিত ডিবেঞ্চার সুদের পরিমাণ শতকরা ১০ (দশ) ভাগের অধিক হইবে নাঃ

      আরো শর্ত থাকে যে, শেয়ার গ্রহীতাদের জন্য অনুরূপ বরাদ্দকৃত বা তাহাদের জন্য সংরক্ষিত উদ্বৃত্তের অংশ, প্রথম দায়বদ্ধতা বা অন্যরূপ নিশ্চিতকৃত লভ্যাংশ প্রদানের জন্য রক্ষিত পরিমাণসহ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণের অধিক হইবে না, এবং যাহা কোন ক্ষেত্রেই নিম্নোক্ত পরিমাণের অধিক হইবে না, যথা ঃ- 

(ক) অংশীদারিত্ব পলিসির ক্ষেত্রে, উদ্বৃত্তের শতকরা ১০ (দশ) ভাগ; এবং

(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সমগ্র উদ্বৃত্তের শতকরা হার৷
   
   
 
লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় বীমা গ্রহীতাদের মধ্যে মুনাফা বন্টন
৮৩৷ বীমাকারীর সংঘস্মারক বা সংঘবিধি বা অন্যকোন দলিলে ব্যত্যয়ী যাহা কিছুই থাকুক না কেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার কোন বীমাকারী বীমা পলিসি গ্রাহকদের সুবিধার্থে উদ্বৃত্ত অর্থ হইতে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অনুরূপ উদ্বৃত্তের শতকরা হারের কম অর্থ বন্টন করিবে না৷
   
   
 
অন্তর্বর্তীকালীন বোনাস ঘোষণা
৮৪৷ এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন বীমাকারী অন্তর্বর্তী ভেলুয়েশনকালে যে সকল বীমা গ্রাহকের পলিসিসমূহ মৃত্যু বা অন্য কোন কারণে পরিশোধের জন্য পরিপক্ক হইয়াছে অনুরূপ বীমা পলিসি গ্রাহকদেরকে অনুসন্ধানকারী একচ্যুয়ারি কর্তৃক সর্বশেষ ভেলুয়েশনে সুপারিশের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন বোনাস বা বোনাসসমূহ দেওয়ার ঘোষণা প্রদান করিতে পারিবে৷
   
   
 
পলিসি তামাদির ক্ষেত্রে বীমাকৃতের প্রাপ্তব্য সুবিধাদি সম্পর্কে নোটিশ প্রদান
৮৫৷ কোন বীমাকারী যে তারিখে লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির প্রিমিয়াম প্রদেয় ছিল, কিন্তু পরিশোধ করা হয়নি ঐ তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে বীমা পলিসি গ্রাহকদেরকে তাহাদের জন্য প্রযোজ্য গৃহীতব্য ইচ্ছাসমূহ জানাইয়া নোটিশ প্রদান করিবে, যদি না ঐ ইচ্ছাসমূহ পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে৷
   
   
 
গোষ্ঠি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির অধীন মনোনয়ন
৮৬৷ (১) গোষ্ঠি লাইফ ইন্স্যুরেন্স চুক্তির অধীনে বীমাকৃত ব্যক্তি যে কোন সময় তাহার মৃত্যুতে পলিসিতে নিশ্চিতকৃত অর্থ যাহার নিকট পরিশোধিত হইবে উহার জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেনঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, মনোনীত ব্যক্তি নাবালক হইলে লাইফ ইন্সু্যরেন্সকৃত ব্যক্তি কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তির নাবালকত্বকালীন সময়ে তাঁহার মৃত্যু হইলে পলিসিতে নিশ্চিতকৃত অর্থ গ্রহণের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কাউকে নিযুক্ত করা যাইবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন মনোনয়ন প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে করিতে হইবে৷
   
   
 
প্রাসংগিক পলিসির বিশেষ সংজ্ঞায়ন ও ব্যাখ্যা
৮৭৷ (১) এই অংশের জন্য "প্রাসঙ্গিক পলিসি'' অর্থ অবশ্য সংঘটিতব্য কোন ঘটনা সংঘটিত হইলে বা সংঘটনের পর নির্দিষ্ট বিরতিতে বা বিরতিসমূহে নিশ্চিতকৃত সম্পূর্ণ সুবিধা প্রদেয় হইবে এইরূপ শর্তবিশিষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি।

(২) এই প্রাসঙ্গিক পলিসির অধীন পাওনায় পলিসির অধীন প্রদেয় বকেয়া অপরিশোধিত প্রিমিয়াম বুঝাইবে।
   
   
 
প্রত্যর্পণ মূল্য অর্জন
৮৮৷ (১) কোন পলিসি অন্যুন ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকিলে উহার প্রত্যর্পণ মূল্য প্রাপ্য হইবে এবং বীমাকারী কর্তৃক নিযুক্ত একচ্যুয়ারি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যর্পণ মূল্য নিরূপণ করিবে৷

(২) এই আইন বলবত্‍ হইবার পূর্বে ইস্যুকৃত কোন পলিসি এই আইন বলবৎ হইবার পরও কার্যকর থাকিলে উহার প্রত্যর্পণ মূল্য আইন বলবৎ হইবার অব্যবহিত পূর্বের ইহার প্রত্যর্পণ মূল্যের কম হইবে না৷ 

(৩) কোন পলিসির শর্ত অনুযায়ী উহার প্রত্যর্পণ মূল্য নিরূপনের ভিত্তি বীমাকারী কর্তৃক পরিবর্তন সাপেক্ষে হইলে অনুরূপ হিসাবের ভিত্তি কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং বীমাকারী যদি অনুরূপ পরিবর্তনের ৬০ (ষাট) দিনের কম সময়ের পূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট একচ্যুয়ারী কর্তৃক প্রস্তাবিত পরিবর্তন সম্বন্ধে তাহার মতামত সম্বলিত প্রতিবেদনসহ প্রস্তাবিত পরিবর্তন এবং উহার কারণ সস্পর্কে একটি বিবরণ দাখিল না করে তবে কোন পরিবর্তন করা যাইবে না৷ 

(৪) বীমাকারী উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত প্রস্তাবিত পরিবর্তন সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপন করিলে, কর্তৃপক্ষ ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে পলিসি গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার্থে বীমাকারীকে প্রস্তাবিত পরিবর্তনে যুক্তিসংগত বিবেচিত পরিবর্তন করিতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং বীমাকারী উক্ত নির্দেশ পালন করিবে৷
   
   
 
বীমা পলিসি গ্রাহকের ইচ্ছানুসারে পলিসি প্রত্যর্পণ
৮৯৷ (১) সংশ্লিষ্ট পলিসি কমপক্ষে ২ (দুই) বৎসর বলবত্‍ থাকার পর উহার ধারক বীমাকারীকে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে উক্ত পলিসি প্রত্যর্পণ করিবার অনুরোধ করিতে পারে৷

(২) উপ-ধারা (৩) ও উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আবেদন গ্রহণ করিবার ১ (এক) মাসের মধ্যে, যদি ইতিমধ্যে আবেদনটি আবেদনকারী কর্তৃক প্রত্যাহার না হইয়া থাকে, পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য বীমাকারীর প্রাপ্য ও পলিসির জামানতে গৃহীত অর্থ বাদ দিয়া পলিসি গ্রাহককে প্রদান করিবে৷

(৩) যদি কোন বীমাকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন পাইবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে পলিসি গ্রাহককে পলিসিটি চালু রাখিবার সুবিধা সম্বন্ধে লিখিতভাবে অবগত করে এবং, প্রয়োজনে, পেশাগত পরামর্শ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে তবে উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ১ (এক) মাস সময়সীমা শুধু এই পলিসির জন্য ১৫ (পনের) দিন বর্ধিত হইবে৷

(৪) কর্তৃপক্ষ বীমাকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উপ-ধারা (২) এর অধীন বীমাকারী কর্তৃক অর্থ প্রদানের বাধ্যবাধকতা স্থগিত বা পরিবর্তন করিয়া লিখিত আদেশ জারী করিতে পারে যদি উক্ত স্থগিতকরণ বা পরিবর্তন নিম্নরূপ স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হয়,--

(ক) বীমাকারীর আর্থিক স্থিতিশীলতা ; বা,

(খ) বীমাকারীর পলিসি গ্রাহকের স্বার্থ৷

(৫) উপ-ধারা (৩) এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ- 

(ক) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের জন্য বলবৎ থাকিবে; এবং

(খ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে হইবে৷
   
   
 
বীমাকারীর ইচ্ছানুসারে পলিসি প্রত্যর্পণ
৯০৷ (১) কোন পলিসি প্রত্যর্পণ মূল্য অর্জন করিলে এই ধারায় যেইরূপ বিবৃত হইয়াছে সেইরূপ ব্যতীত পলিসি গ্রাহকের আবেদন ব্যতিত পলিসি প্রত্যর্পণ করা যাইবে না৷ 

(২) সংশ্লিষ্ট পলিসির অধীন বা পলিসির জামানতে বীমাকারীর নিকট বীমা পলিসি গ্রাহকের দায়ের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্যের অধিক হইলে বীমাকারী নিম্নলিখিত বিষয় উল্লেখ করিয়া পলিসি গ্রাহককে লিখিত নোটিশ ইস্যু করিতে পারিবে, যথাঃ-

(ক) নোটিশ প্রদানের তারিখে পলিসির অধীন বা উহার জামানতে বীমাকারীর নিকট দায়;

(খ) নোটিশ প্রদানের তারিখে পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য;

(গ) পলিসি গ্রাহককে এই মর্মে অবহিত করা যে, যদি প্রত্যর্পণ মূল্যের অতিরিক্ত দায় নির্ধারিত তারিখের পূর্বে পরিশোধ না করা হয় তবে নোটিশ ইসু্যর ৩০ (ত্রিশ) দিন শেষ হইলে পলিসিটি প্রত্যর্পণ করা হইবে এবং উহার প্রত্যর্পণ মূল্য দায় পরিশোধে ব্যবহার করা হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর নোটিশ ইস্যুর তারিখ হইতে কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন অতিবাহিত হইলে এবং এই সময়ের মধ্যে প্রত্যর্পণ মূল্যের অতিরিক্ত দায় পরিশোধ না করা হইলে, বীমাকারী পলিসি গ্রাহককে লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া পলিসির প্রত্যর্পণ কার্যকর করিতে এবং প্রত্যর্পণ মূল্য দায় পরিশোধে ব্যবহার করিতে পারেন, ইহাতে প্রত্যর্পণ মূল্যের সমপরিমাণ দায় পরিশোধ হইবে৷
   
   
 
পলিসি গ্রাহকের ইচ্ছানুসারে পলিসি পরিশোধ
৯১৷ (১) কোন পলিসি ধারাবাহিক ন্যূনতম ২ (দুই) বৎসর বলবৎ থাকিলে সংশ্লিষ্ট পলিসি গ্রাহকের নিকট হইতে লিখিত আবেদন পাওয়ার অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বীমাকারী পলিসি পরিশোধ করিবে৷

(২) যদি কোন বীমাকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন পাইবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে পলিসি গ্রাহককে পলিসি চালু রাখার সুবিধা সম্পর্কে লিখিতভাবে অবহিত করে এবং প্রয়োজনে পেশাগত পরামর্শ গ্রহণ করিবার পরামর্শ দেয় তবে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ৩০ (ত্রিশ) দিনের সময়সীমা শুধু এই পলিসির জন্য ১৫ (পনের) দিন বর্ধিত হইবে৷

(৩) কোন পলিসি পরিশোধিত হইলে উহার একটি পরিশোধমূল্য থাকিবে, যাহা উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে-

(ক) পলিসিতে ইতিমধ্যে অর্জিত সকল বোনাস সম্বলিত হইবে; এবং

(খ) সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রদেয় প্রিমিয়াম পূর্ব নির্ধারিত এবং প্রিমিয়াম একই অংকের এবং একই বিরতিতে প্রদেয় এইরূপ পলিসির ক্ষেত্রে এইরূপ বোনাস অন্তর্ভুক্তির পূর্বে নির্ধারিত অংকের কম হইবে না৷

(৪) এই ধারার অধীনে পরিশোধকৃত কোন পলিসি শুধুমাত্র এইধারার বিধানের কারণে পরিশোধিতরূপে রূপান্তরের পর বন্টনযোগ্য ঘোষিত কোন উদ্বৃত্তের অংশীদার হইবে না৷

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পলিসি পরিশোধিত মূল্য নিষ্পত্তির জন্য বীমাকারীর নিকট আবেদন করিলে, যদি উক্ত পলিসির অধীনে বা উহার জামানতে বীমাকারীর নিকট পলিসি গ্রাহকের কোন ঋণ থাকে, তবে বীমাকারী-

(ক) ঋণটিকে পরিশোধিত পলিসি দ্বারা নিরাপদ বিবেচনা করিতে পারিবে; বা

(খ) পরিশোধিত পলিসির মূল্য নির্ধারণে ঋণের পরিমাণকে এইরূপে বিবেচনা করিতে পারিবে যাহা নিয়োজিত একচ্যুয়ারি ন্যায্য মনে করিবেন৷

(৬) বীমাকৃত পরিশোধিত অংক হিসাব করার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৫) এর দফা (খ) অনুযায়ী কোন ঋণের অংকে হিসাবে নেওয়া হইলে উক্ত ঋণ পরিশোধিত গণ্য হইবে৷
   
   
 
বাজেয়াপ্তকরণ
৯২৷ (১) কোন পলিসি শুধুমাত্র বকেয়া প্রিমিয়াম (ওভারডিউ প্রিমিয়াম) প্রদান না করিবার কারণে বাজেয়াপ্ত হইবে না, যদি- 

(ক) পলিসি কমপক্ষে ২ (দুই) বৎসর যাবৎ বলবৎ থাকে; এবং

(খ) পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য ওভারডিউ প্রিমিয়াম এবং পলিসির অধীন বা পলিসির জামানতে গৃহীত সকল ঋণের যোগফলের অধিক হয়৷ 

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্যে পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য ওভারডিউ প্রিমিয়াম যে তারিখে প্রদেয় হয় সেই তারিখে এইরূপ হিসাব করিতে হইবে যেন প্রিমিয়াম প্রদান করা হইয়াছে৷ 

(৩) এই ধারার অধীন কোন পলিসির গ্রাহক বকেয়া কোন প্রিমিয়াম পরিশোধে ব্যর্থ হইলে, বীমাকারী, যে তারিখে প্রিমিয়াম প্রদেয় ছিল, অথচ প্রদান করা হয় নাই, সেই তারিখের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পলিসি গ্রাহককে তাহার করণীয় সম্পর্কে নোটিশ দ্বারা অবহিত করিবে৷ 

(৪) পলিসিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও এই ধারার অধীন বীমা পলিসি গ্রাহক ঐচ্ছিকভাবে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি পরিপালন করিতে পারিবে, যথাঃ- 

(ক) পলিসিটি এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিশোধ করা; 

(খ) পলিসির সমুদয় প্রত্যর্পণ মূল্য আদায়যোগ্য প্রিমিয়ামের সহিত সমন্বয় করা; 

(গ) পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে বৎসরের আগাম প্রিমিয়াম প্রদান করিয়া পলিসিটি পরিশোধিত করা;

(ঘ) এই অধ্যাদেশ এর বিধান অনুযায়ী পলিসি প্রত্যর্পণ করা;

(ঙ) পলিসি প্রত্যর্পণ অন্তে বীমাকারী কর্তৃক পলিসি গ্রাহককে তাহার ইচ্ছানুযায়ী মেয়াদের জন্য একটি মেয়াদী লাইফ ইন্স্যুরেন্স চুক্তি ইস্যু করা, এবং বীমাকৃত অর্থের পরিমাণ পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য হইতে ইহার অধীন বা জামানতে কোম্পানীর পাওনা সমন্বয় করিয়া নির্ধারণ করা৷

(৫) পলিসিতে ভিন্নরূপ কিছু উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও, এই ধারার অধীন পলিসি সম্পর্কে বীমাকারী নিম্নরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করিবে- 

(ক) পলিসি গ্রাহক নোটিশ প্রাপ্তির পর উপ-ধারা (৩) এর অধীন ইস্যুকৃত নোটিশে অন্তর্ভুক্ত নয় এইরূপ কোন ইচ্ছা বীমাকারী ও পলিসি গ্রাহক লিখিতভাবে সম্মত হইলে তদনুযায়ী কার্যক্রম; 

(খ) যদি পলিসি গ্রাহক উপ-ধারা (৩) এর অধীন ইস্যুকৃত নোটিশে অন্তর্ভুক্ত কোন ইচ্ছা গ্রহণে সম্মত হয় তবে তদনুযায়ী কার্যক্রম; 

(গ) পলিসি গ্রাহক উপ-ধারা (৩) এর অধীন ইস্যুকৃত নোটিশে সাড়া না দিলে এবং তাহাকে যোগাযোগের যুক্তি সংঙ্গত চেষ্টার পরও তাহার সহিত যোগাযোগ না হইলে-

(অ) পলিসি গ্রাহক যদি পলিসি গ্রহণ এর পর, কিন্তু প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ করার পূর্বে, লিখিতভাবে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয় সম্মত হইয়া থাকেন, তবে তদনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ, অন্যথায় 

(আ) যদি পলিসিতে উপ-ধারা (৪) এর দফা (খ) এর কার্যক্রম ব্যতীত কোন কার্যক্রম গ্রহণের বিষয় পলিসিতে উল্লেখ থাকে, তদনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ৷

(৬) নিম্নবর্ণিত কাজের জন্য কাহাকেও কোন কমিশন প্রদান করা যাইবে না, যথাঃ-

(ক) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী প্রত্যর্পণমূল্য প্রিমিয়াম প্রদানের সহিত সমন্বয়করণ; এবং

(খ) উপ-ধারা (৪) এর দফা (গ) ও (ঙ) অনুযায়ী মেয়াদী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর চুক্তি ইস্যুকরণ৷
   
   
 
প্রস্তাব পত্র এবং মেডিক্যাল রিপোর্টের অনুলিপি সরবরাহকরণ
৯৩৷ প্রত্যেক বীমাকারী পলিসি গ্রাহকের আবেদন ও নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে তাহাকে বীমা প্রস্তাবে এবং মেডিক্যাল রিপোর্টে তাহাকে জিজ্ঞাসাকৃত প্রশ্ন এবং তাহার উত্তরের প্রত্যায়িত অনুলিপি প্রদান করিবে৷৷
   
   
 
বিভাজন নীতিতে ব্যবসায়ে বিধিনিষেধ
৯৪৷ (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর কিংবা বলবৎ হইবার তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎর অতিক্রান্ত হইবার পরে কোন বীমাকারী বিভাজন নীতির উপর নির্ভর করিয়া ব্যবসায় আরম্ভ করিতে কিংবা অব্যাহত রাখিতে পারিবে না যাহাতে পলিসির সুবিধাসমূহ সুনির্দিষ্টকৃত নহে কিন্তু নির্ধারিত সময়কালে দাবীতে পরিণত হওয়া পলিসির মধ্যে সুবিধা বন্টনের উপর পলিসির সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিক নির্ভর করে অথবা যাহাতে পলিসির প্রিমিয়ামের পরিমাণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নির্দিষ্ট সময়কালে দাবীতে পরিণত হওয়া পলিসির সংখ্যার উপর নির্ভরশীলঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই বীমাকারীকে এই আইনের বিধান অনুযায়ী বীমাকৃত অর্থের সহিত পূর্বাধিকার সম্পন্ন কিংবা নগদ বোনাস অথবা অন্য কোনভাবে অংশ গ্রহণকারী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রাহককে বোনাস বন্টন করিতে নিবৃত্ত করিবে না৷
   
   
 
বীমা ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় প্রশাসক নিয়োগ
৯৫৷ (১) যদি কোন সময়ে কর্তৃপক্ষের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন বীমাকারী তাহার বীমা ব্যবসা এইরূপে পরিচালনা করিতেছে যাহাতে বীমাপলিসি গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হইতে পারে বা প্রয়োজনীয় সলভেন্সি মার্জিন রাখিতে সমর্থ হইতেছে না এইক্ষেত্রে বীমাকারীকে তাহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করিয়া কর্তৃপক্ষ উহার পরিচালনা পর্ষদকে সাসপেন্ড করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণাধীন বীমাকারীর কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য একজন প্রশাসক নিযুক্ত করিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী নিযুক্ত প্রশাসক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি, যদি থাকে, প্রাপ্ত হইবেন এবং কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় তাহার নিযুক্তি বাতিল করিতে এবং তদস্থলে অন্য কাউকে প্রশাসক নিয়োগ করিতে পরিবে৷ 

(৩) প্রশাসক নিয়োগের তারিখে এবং তাহার পরবর্তীতে বীমাকারীর ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রশাসকের উপর ন্যস্ত হইবে, তবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত প্রশাসক কোন নতুন পলিসি ইস্যু করিবেন না৷ 

(৪) প্রশাসক নিয়োগের অব্যবহিত পূর্বে অনুরূপ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কোন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইয়া থাকিলে প্রশাসক নিয়োগের তারিখ ও তৎপরবর্তীতে অনুরূপ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বের অবসান হইবে৷ 

(৫) কর্তৃপক্ষ প্রশাসককে তাহার ক্ষমতা এবং দায়িত্ব সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং প্রশাসক যে কোন সময় বীমা ব্যবসায় পরিচালনার পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কালে উদ্ভূত যে কোন বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷
   
   
 
প্রশাসকের ক্ষমতা ও দায়িত্ববলী
৯৬৷ (১) প্রশাসক বীমাকারীর বীমা ব্যবসায় সর্বাত্মক মিতব্যয়িতা ও কর্মদক্ষতার সহিত পরিচালনা করিবেন এবং নিম্নবর্ণিত কোন্ পদক্ষেপটি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বীমা পলিসি গ্রাহকের সাধারণ স্বার্থের জন্য সব চেয়ে সুবিধাজনক এই বিষয়ে মতামতসহ, যত শীঘ্র সম্ভব, কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবেন, যথাঃ- 

(ক) বীমাকারীর বীমা ব্যবসায় অন্য কোন বীমাকারীর নিকট হস্তান্তর ;বা 

(খ) বীমাকারী কর্তৃক বীমা ব্যবসায় অব্যাহত রাখা, (লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ক্ষেত্রে পলিসির সহিত সংযুক্ত বোনাসসহ পলিসির মূল অংক অপরিবর্তিত রাখিয়া বা হ্রাসকৃত অংকে অব্যাহত রাখা); বা 

(গ) বীমাকারীর বীমা ব্যবসায়ের অবসায়ন করা; বা 

(ঘ) অন্য কোন পন্থা, যাহা তিনি ভাল মনে করেন৷ 



(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ সাধারণতঃ বীমা পলিসি গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷ 



(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বীমাকারী এবং কোম্পানী হইলে উহার সংঘবিধি ও সংঘস্মারকে অন্য কিছু থাকা সত্ত্বেও উক্ত আদেশ অবশ্য পালনীয় এবং কার্যকর ইহবে৷
   
   
 
ক্রোকযোগ্য সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রশাসকের ক্ষমতা
৯৭৷ (১) প্রশাসক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন তাহার বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম গ্রহণের আওতায় আসিয়াছেন তাহা হইলে এই আইনের অধীন প্রক্রিয়া রুজু না করা পর্যন্ত, লিখিত আদেশ দ্বারা, উক্ত ধারার অধীন কার্যক্রম গ্রহণ করিলে ক্রোকযোগ্য হইবে বলিয়া প্রতীয়মান হয় এইরূপ সম্পত্তি উক্ত ব্যক্তি বা অন্য কাহারো দ্বারা হস্তান্তর বা অন্য কোনভাবে বিক্রি নিষিদ্ধ করিতে পারিবে৷

(২) কোন ব্যক্তি প্রশাসক কর্তৃক ইস্যুকৃত উপরোক্ত উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশে ক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত আদেশ প্রাপ্তির ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে সরকারের কাছে ইহার বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন এবং সরকার উক্ত আপীলের বিষয়ে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷ 

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত প্রশাসকের আদেশ, সরকার কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তিকল্পে প্রদত্ত আদেশ সাপেক্ষে, উক্ত আদেশ জারীর তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাস বলবৎ থাকিবে, যদি না এই সময়ের মধ্যে কোন এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে এই আইনের অধীন আবেদন দাখিল করা হয় এবং যেইক্ষেত্রে এইরূপ আবেদন করা হয় সেইক্ষেত্রে উক্ত আদেশ আদালতের কোন আদেশ সাপেক্ষে বলবৎ থাকিবে যেন উহা আদালত কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ধারার অধীন ক্রোকের জন্য প্রদত্ত একটি আদেশ৷

(৪) এই ধারার অধীন প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ-

(ক) যদি কোন কর্পোরেশন বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট হয়, তাহা হইলে ইহা Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর First Schedule এর order XXIX এর rule 2 বা order XXX Gi rule 3 তে উল্লিখিত সমন জারীর পদ্ধতিতে জারী হইবে, এবং

(খ) যদি কোন কর্পোরেশন বা সংস্থা নয় এইরূপ কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট হয়, তাহা হইলে-

(অ) উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানায় এবং তাহার স্থায়ী ঠিকানায় রেজিষ্টার্ড ডাক যোগে বা উক্ত ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে বিলি করিয়া; বা 

(আ) উক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া না গেলে পরিবারের কোন বয়স্ক পুরুষ সদস্যের নিকট একটি অনুলিপি রাখিয়া; বা

(ই) উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ জ্ঞাত বাসস্থান বা ব্যবসাস্থল বা ব্যক্তিগতভাবে উপার্জনের রোজগারের জন্য কাজ করিতেন এমন স্থানের কোন দৃশ্যমান অংশে রাখিয়া দিয়া, 

জারী করা যাইবে এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে৷

(৫) যদি উপ-ধারা (৪) এর অধীন আদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যথাযথভাবে পরিবেশিত হইয়াছে কিনা এইরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে আদেশটি গেজেটে প্রকাশিত হইলে উক্তরূপ প্রকাশনা চূড়ান্তভাবে আদেশ পরিবেশনের প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উপ-ধারা (৪) এর বিধান পালনে ব্যর্থতার জন্য আদেশের বৈধতা ক্ষুন্ন হইবে না৷

(৬) এই ধারার অন্য কিছু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসক কর্তৃক জারীকৃত আদেশ সংশ্লিষ্ট এইরূপ সম্পত্তি প্রশাসকের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিক্রয় করা যাইবে৷

(৭) অন্য কোন বিদ্যমান আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন প্রশাসক কর্তৃক জারীকৃত কোন আদেশ বা আরোপিত শর্ত লংঘন করিয়া কোন সম্পত্তি হস্তান্তর বা অন্যকোন প্রকারে বিক্রয় বেআইনী হইবে৷

(৮) কোন সম্পত্তি এই আইনের অধীন আইনগত প্রক্রিয়ায় ক্রোকযোগ্য কিনা এই সম্পর্কিত মতামত গঠনে সক্ষম হওয়ার জন্য বা আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য প্রশাসক কোন ব্যক্তিকে এতদুদ্দেশ্যে প্রাসঙ্গিক মনে করিলে কোন তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি Penal Code, 1980 (Act No. XLV of 1960) এর section 176 এর অর্থ অনুযায়ী উক্ত তথ্য প্রদান করিতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকিবেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

(৯) নিম্নবর্ণিত বিষয়ে মামলা বিচার করিবার ক্ষেত্রে প্রশাসক Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর অধীন দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতার অধিকারী হইবেন, যথাঃ-

(ক) সাক্ষীদের সমনজারী এবং আদালতে উপস্থিত নিশ্চিতকরণ এবং শপথের অধীন তাহাদের পরীক্ষাকরণ ; 

(খ) দলিলাদি দাখিল করার নির্দেশ প্রদান; এবং 

(গ) সত্যপাঠ যোগে সাক্ষ্যগ্রহণ৷

(১০) এই ধারার অধীন প্রশাসকের কোন কার্যক্রম ও কার্যপদ্ধতি Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1960) এর section 193 এবং 228 এর অর্থ অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রম বিবেচিত হইবে।
   
   
 
চুক্তি বাতিল করণ
৯৮৷ প্রশাসক তাহার মেয়াদ কালীন সময়ে যে কোন সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দানের পর বীমাকারী এবং অপর কোন ব্যক্তির মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তি কিংবা মতৈক্য (পলিসি ব্যতিরেকে) যদি তাহার নিকট পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থের পরিপন্থী বলিয়া প্রতীয়মান হয় তবে তিনি উক্ত চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন (নিঃশর্তভাবে কিংবা তিনি যেরূপ শর্ত আরোপ সঠিক মনে করেন) করিতে পারিবেন৷
   
   
 
প্রশাসক নিয়োগের অবসান
৯৯৷ যদি কোন সময়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রতিবেদনের ফলে কর্তৃপক্ষের নিকট পরিদৃষ্ট হয় যে, প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের আদেশের উদ্দেশ্য পূরণ হইয়াছে কিংবা কোন কারণে নিয়োগ প্রদান করিবার আদেশ আর কার্যকর থাকা বাঞ্চনীয় নহে তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত আদেশ বাতিল করিতে পারিবে এবং প্রশাসকের মেয়াদের অবসান ঘটিবে এবং উহার ব্যবসা, কর্তৃপক্ষ ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ প্রদান না করিলে, ঐ ব্যক্তির নিকট অর্পিত হইবে যে ব্যক্তির নিকট প্রশাসক নিয়োগের অব্যবহিত পূর্বে উহা অর্পিত ছিল৷
   
   
 
প্রশাসক নিয়োগ এবং নিয়োগ আদেশ বাতিল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
১০০৷ ধারা ৯৫ কিংবা ধারা ৯৯ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং তৎসম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
   
   
 
দলিলাদি বা সম্পত্তি প্রশাসকের অগোচরে রাখার শাস্তি
১০১৷ যদি বীমাকারীর কোন পরিচালক কিংবা কর্মকর্তা অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বীমাকারীর ব্যবসা সম্পর্কিত তাহার হেফাজতে থাকা কোন হিসাবের বই, নিবন্ধন বই কিংবা অন্য কোন দলিল প্রশাসকের চাহিদা অনুসারে তাহার কর্তৃত্বে প্রদান করিতে অপারগ বা ব্যর্থ হন কিংবা এইরূপ বীমাকারীর কোন সম্পত্তি দখলে রাখেন তাহা হইলে তিনি সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাবাস কিংবা ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
   
   
 
ধারা ৯৫ হইতে ৯৯ এর অধীনে গৃহীত ব্যবস্থাদির সংরক্ষণ
১০২৷ (১) ধারা ৯৫, ৯৬, ৯৭ এবং ৯৮ এর আওতাধীনে সরল বিশ্বাসে কিংবা সরল বিশ্বাসের অভিপ্রায়ে সম্পন্ন কোন কার্য সম্পাদনের নিমিত্ত প্রশাসকের বিরুদ্ধে কোনরূপ মোকদ্দমা, অভিযোগ বা অন্যান্য আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না৷ 

(২) ধারা ৯৫, ৯৬, ৯৮, ৯৯ বা ১০০ এর আওতাধীনে সরল বিশ্বাসে কিংবা সরল বিশ্বাসের অভিপ্রায়ে সম্পাদিত কোন কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত ক্ষয়-ক্ষতি কিংবা সম্ভাব্য কোন ক্ষতির জন্য সরকার অথবা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না৷
   
   
 
আদালত দ্বারা অবলুপ্তি
১০৩৷ (১) আদালত কোম্পানী আইন এর বিধান অনুযায়ী কোন বীমা কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ অবসায়ন আদেশের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান সাপেক্ষে কোম্পানী আইন এর বিধান প্রযোজ্য হইবে৷

(২) যে কারণের উপর ভিত্তি করিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীন অবসায়ন আদেশ প্রদান করা হইয়াছে তাহার অতিরিক্ত নিম্নলিখিত কারণে আদালত অবসায়ন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ- 

(ক) যদি আদালতের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিয়া কোম্পানীর অন্ততঃ এক দশমাংশ শেয়ার মূলধনের ধারক, ন্যূনতম এক দশমাংশ সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার, অথবা কমপক্ষে ৫০০ (পাঁচশত) জন লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রাহক যাহাদের পলিসি কমপক্ষে ৩ (তিন) বৎসর যাবৎ বলবৎ আছে এবং উহার মূল্য নির্দেশিত মূল্যের কম নয়, এই বিষয়ে একটি আবেদন দাখিল করে;

(খ) যদি কর্তৃপক্ষ, যাহাকে এতদ্বারা এ বিষয়ে ক্ষমতা প্রদান করা হইল, নিম্নবর্ণিত কারণে আদালতে আবেদন করে যে, 

(অ) কোম্পানী এই আইনের ধারা ২৩ এবং ১১৯ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিতব্য জামানত জমা প্রদানে বা জমা রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছে;

(আ) কোম্পানী এই আইনের কোন বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হইয়া উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত রাখিয়াছে, বা এই আইনের বিধান লংঘন করার পর এই লংঘন সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষের নোটিশ প্রাপ্তির পর ৩ (তিন) মাস সময় পর্যন্ত উক্ত লংঘন অব্যাহত রাখিয়াছে বা কর্তৃপক্ষ উক্ত লংঘনের বিষয় কোম্পানীকে অবহিত করিয়াছে ; 

(ই) এই আইনের বিধান অনুযায়ী দাখিলকৃত বিবরণী হইতে বা উহার অধীনে কোন তদন্তের ফলাফলে যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানীটি সলভেন্সি মার্জিন সংরক্ষণে ব্যর্থ হইয়াছে; বা 

(ঈ) কোম্পানীটি চলমান থাকা পলিসি গ্রাহক বা জনস্বার্থের পরিপন্থী; 

(৩) কোন বীমা কোম্পানীর বিরুদ্ধে এই ধারার অধীন অবসায়ন আদেশ জারী হইলে ঐ কোম্পানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স অথবা নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হইতে পারিবে না; 

(৪) অবসায়ন আদেশ প্রদানের তারিখে বলবৎ থাকা বীমাকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স চুক্তিসমূহ আদেশের তারিখ বা আদেশে উল্লিখিত পরবর্তী কোন তারিখে বাতিল মর্মে গণ্য হইবে৷
   
   
 
অপরিশোধিত শেয়ার মূলধন
১০৪৷ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন বীমাকারীর ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা এবং অন্যান্য বিষয় নির্ধারণে তাহার অপরিশোধিত শেয়ার মূলধন সম্বলিত কোন সম্পদ হিসাবে নেওয়া যাইবে না৷
   
   
 
স্বেচ্ছায় অবলুপ্তি
১০৫৷ কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন কোম্পানী একত্রীকরণ কার্যকর করা, কিংবা কোম্পানীর পুনর্গঠন করা অথবা ইহার দায়ভারের জন্য ব্যবসা চলমান রাখার অসমর্থতা অথবা লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণ ব্যতীত কোন বীমা কোম্পানী স্বেচ্ছায় অবসায়ন করা যাইবে না৷
   
   
 
দায়সমূহের মূল্যায়ন
১০৬৷ (১) কোন বীমা কোম্পানী অবসায়নে কিংবা দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ এর অধীন কোন বীমাকারীর দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে বীমাকারীর সম্পদের এবং দায় এর মূল্যায়ন তফসিল-২ এ উল্লিখিত বিধি এবং আদালতের প্রদত্ত কোন নির্দেশনা সাপেক্ষে করিতে হইবে।

(২) কোন বীমা কোম্পানীর চুক্তিসমূহের পরিমাণ আদালতের মাধ্যমে হ্রাসের উদ্দেশ্যে কোম্পানীর সম্পদ ও দায়মূল্য এবং কোম্পানী কর্তৃক ইস্যুকৃত সকল পলিসির দাবী সমূহের পরিমাণ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনায় উল্লিখিত পদ্ধতিতে এবং ভিত্তিতে নির্ধারণ করিতে হইবে৷ 

(৩) বীমা কোম্পানীসমূহ অবসায়ন কার্যকর করার জন্য এই আইনের বিধানাবলী বলবৎ করিতে এই ধারার অধীন বিধি প্রণয়ন করা যাইবে এবং উক্তরূপ বিধি কোম্পানী আইন এর অধীন প্রণীত বিধির অনুরূপ পরিমার্জন কিংবা সংশোধন করা যাইবে৷
   
   
 
অবসায়ন বা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিলের উদ্বৃত্ত সম্পদের প্রয়োগ
১০৭৷ (১) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন বীমা কোম্পানীর অবসায়নে কিংবা অনুরূপ ব্যবসা পরিচালনাকারী অন্য কোন বীমাকারীর দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে বীমাকারীর লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সম্পদ এবং দায় বীমাকারীর অন্যান্য সম্পদ এবং দায় পৃথকভাবে মূল্যায়ন করিতে হইবে এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে দায় ব্যতীত অন্যান্য দায় পরিশোধে অনুরূপ উদ্বৃত্ত পরিসম্পদ ব্যবহার করা যাইবে না৷ 

(২) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন বীমা কোম্পানীর অবসায়ন কিংবা এইরূপ ব্যবসা পরিচালনাকারী অপর কোন বীমাকারীর দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে যদি অবসায়ন কিংবা দেউলিয়াত্বের প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়ার আগে বীমাকারীর লাভের কোন অংশ পলিসি গ্রাহকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়, তাহা হইলে বীমাকারীর সম্পদ এবং দায় মূল্যায়নে যদি দায়ের চাইতে সম্পদ অতিরিক্ত পরিদৃষ্ট হয় (অতঃপর প্রাথমিক হিসাবে বর্ণিত) তবে তাহা বীমাকারীর লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সংশ্লিষ্ট দায়ের সহিত শেয়ার গ্রাহকগণের মধ্যে বরাদ্ধ লভ্যাংশের সমান অনুপাতে এবং অবসায়নের প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ১০ (দশ) বৎসরে পলিসি গ্রাহকদের মধ্যে বরাদ্দকৃত লভ্যাংশ যোগ করা হইবে এবং এইরূপ যোগকরণ সম্পাদনের পর যেই সম্পদ দায় এর যে পরিমাণ অতিরিক্ত হইবে এইরূপ অতিরিক্ত সম্পদ বীমাকারীর উদ্বৃত্ত সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবেঃ 

তবে শর্ত থাকে যে-

(ক) যদি কোন ক্ষেত্রে এইরূপ কোন বরাদ্দ করা না হইয়া থাকে কিংবা সৃষ্ট বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, বিশেষ কারণে লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ক্ষেত্রে বীমাকারীর দায়ের সহিত পূর্বোক্ত পরিমাণ অর্থ যোগ করা যৌক্তিক কিংবা আইনগত বা যথাযথ হইবে না সেইক্ষেত্রে আদালত যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবেন অনুরূপ পরিমাণ অর্থ যোগ করা হইবে; এবং 

(খ) যেইক্ষেত্রে অবসায়ন কিংবা দেউলিয়াজনিত প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়ার পূর্বে বিবেচনাধীন লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের কোন শাখার পলিসি গ্রাহকদের লভ্যাংশ বরাদ্দ করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে এই উপ-ধারা প্রয়োগের লক্ষ্যে বীমাকারীর উক্ত পরিসম্পদ এবং দায় আলাদাভাবে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার সম্পদ এবং দায় নির্ণয়ের অনুরূপ পদ্ধতিতে নির্ণীত হইবে এবং দায় এর অতিরিক্ত সম্পদের কোন উদ্বৃত্ত দর্শিত হইলে উহা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর দায় এর সহিত সংযোজন করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক উদ্বৃত্ত হিসাবে বিবেচিত হইবে৷
   
   
 
সাবসিডিয়ারী কোম্পানীসমূহের অবলুপ্তি
১০৮৷ (১) যেইক্ষেত্রে কোন বীমা ব্যবসায় কিংবা কোন বীমা কোম্পানীর বীমা ব্যবসায়ের কোন অংশ কোন চুক্তির আওতাধীনে অপর কোন বীমা কোম্পানীর নিকট হস্তান্তরিত হয় যাহার কারণে পূর্বোক্ত কোম্পানী কিংবা তাহার পাওনাদারদের যে কোম্পানীতে অনুরূপ হস্তান্তর করা হইয়াছে উক্ত কোম্পানীর, এই ধারায় অতঃপর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী হিসাবে উল্লিখিত, বিপরীতে কোন দাবী থাকিলে সেইক্ষেত্রে যদি মুখ্য কোম্পানী আদালতের নির্দেশ দ্বারা কিংবা নিয়ন্ত্রণাধীনে অবসায়ন করা হয় তাহা হইলে আদালত মুখ্য কোম্পানীর সহিত উক্ত সাবসিডিয়ারী কোম্পানী অবসায়নের নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং একই বা পরবর্তী প্রদানকৃত কোন আদেশ দ্বারা একই ব্যক্তিকে উভয় কোম্পানীর অবসায়ক নিয়োগ করিবেন এবং উভয় কোম্পানী একই কোম্পানী হইলে যেইরূপ হইত সেইরূপে যাহাতে অবসায়িত হইতে পারে তজ্জন্য যেইরূপ প্রয়োজনীয় মনে করেন সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷ 

(২) আদালত অন্য কোনরূপ আদেশ প্রদান না করিলে মুখ্য কোম্পানীর অবসায়নের কার্যক্রম আরম্ভই হইবে সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর অবসায়ন কার্যক্রম আরম্ভ ৷

(৩) নিজেদের মধ্যে অধিকার এবং দায় সমন্বিত করিবার কালে আদালত সংশ্লিষ্ট কোম্পানী সমূহের গঠনতন্ত্র এবং কোম্পানীসমূহের নিজেদের ব্যবস্থার এবং অনুরূপভাবে কোম্পানীতে বিভিন্ন শ্রেণীর প্রদায়কের(Contributories)অধিকার এবং দায় সম্পর্কে একটি মাত্র কোম্পানীর অবসায়নে যেরূপ করা হয় বা তাহার কাছাকাছি বিবেচনা করিবেন৷ 

(৪) যখন কোন কোম্পানী সাবসিডিয়ারী হিসাবে অভিহিত হয় এবং যে মুখ্য কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী হিসাবে অভিহিত উক্ত মুখ্য কোম্পানীর সহিত একই সময়ে অবসায়নের প্রক্রিয়াভূক্ত না হয় সেইক্ষেত্রে আদালত মুখ্য কোম্পানীকে অবসায়ন করার নির্দেশ প্রদান করিবেন না, যদি না আদালতে উক্ত কোম্পানী কিংবা উক্ত কোম্পানীর পক্ষে অবসায়নের বিপক্ষে আনীত সকল প্রকার আপত্তি (যদি থাকে) শুনানীর পর আদালত সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত কোম্পানী মুখ্য কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী এবং মুখ্য কোম্পানীর সহিত এই কোম্পানী অবসায়ন করা যুক্তিযুক্ত হইবে৷

(৫) মূখ্য কিংবা সাবসিডিয়ারী কোম্পানীতে কোন ব্যক্তি বা উহাদের পাওনাদার মুখ্য কোম্পানীর সহিত সাবসিডিয়ারী কোম্পানী অবসায়ন করার বিরুদ্ধে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারিবেন৷ 

(৬) যখন কোন কোম্পানী একটি বীমা কোম্পানীর তুলনায় মুখ্য কোম্পানী এবং অপর কোন বীমা কোম্পানীর তুলনায় সাবসিডিয়ারী কোম্পানী কিংবা যেইক্ষেত্রে কোন মুখ্য কোম্পানীর তুলনায় কয়েকটি সাবসিডিয়ারী বীমা কোম্পানী থাকে, তাহা হইলে আদালত এই ধারায় উল্লিখিত নীতি বিবেচনায় যাহা সর্বাপেক্ষা অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করিবেন তদ্রূপ যে কোন সংখ্যক কোম্পানীকে একসাথে কিংবা আলাদা শ্রেণীতে ভাগ করিতে পারিবে৷
   
   
 
বীমাকারীর আংশিক অবলুপ্তির পরিকল্পনা
১০৯৷ (১) যদি কোন সময়ে এইরূপ প্রয়োজনীয় মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানীর গঠনে অন্তর্ভুক্ত কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসা অবসায়ন করা প্রয়োজন কিন্তু কোম্পানীর অন্য সকল ব্যবসা অব্যাহত রাখা কিংবা অপর কোন বীমাকারীর নিকট হস্তান্তর আবশ্যক, তাহা হইলে এতদুদ্দেশ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নক্রমে এই অাইনের বিধান অনুযায়ী আদালতের নিশ্চিত করণের জন্য দাখিল করা যাইতে পারে৷ 

(২) এই ধারার অধীন কোন পরিকল্পনায় বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ের প্রস্তাবিত অবসায়নের সৃষ্ট কোন উদ্বৃত্ত সম্পদ বন্টন সহ নিজ নিজ পলিসি সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর পলিসি গ্রাহকের যে কোন ভবিষ্যত অধিকারের সংরক্ষণসহ কোম্পানীর দায় ও পরিসম্পদ বরাদ্দ ও বন্টন ব্যবস্থা এবং কোম্পানীর যে সমস্ত কার্যাদি অবসায়ন করার প্রস্তাব করা হইয়াছে এবং যাহার জন্য কোম্পানীর উদ্দেশ্যাবলী সংশ্লিষ্ট সংঘ স্মারক সংশোধন এবং পরিকল্পনা বলবত্‍ করিবার নিমিত্ত আবশ্যকীয় অন্যান্য অতিরিক্ত বিধান সংযোজন প্রয়োজন তাহা অন্তর্ভুক্ত থাকিবে৷ 

(৩) অবসায়ন এবং দেউলিয়াত্বের অধীন বীমাকারীর দায় ও মূল্যায়ন দেউলিয়াত্বের অধীন অবসায়ন বা লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিলের উদ্বৃত্ত পরিসম্পদ প্রয়োগ সংক্রান্ত এই আইনের বিধান এই ধারা অনুযায়ী প্রণীত পরিকল্প অনুযায়ী কোন কোম্পানীর ব্যবসায়ের কোন অংশ বিশেষ অবসায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যেমনভাবে উক্ত বিধানসমূহ কোন বীমা কোম্পানী অবসায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইয়া থাকে এবং এই ধারার বিধান অনুযায়ী প্রণীত কোন পরিকল্পের ক্ষেত্রে কোম্পানী আইনের অবসায়ন সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী, পরিবর্তনসহ, প্রযোজ্য হইবে৷ 

(৪) এই ধারার অধীন কোন পরিকল্প নিশ্চিতকরণ কালে আদালতের কোন আদেশ যাহার দ্বারা কোন কোম্পানীর সংঘস্মারকে উহার উদ্দেশ্যসমূহ পরিবর্তন করা হয় তাহা হইলে এই পরিবর্তন কোম্পানী আইন এ প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা নিশ্চিতকরণের সামিল হইবে এবং তদানুযায়ী কার্যকর হইবে৷ 

(৫) এই ধারার অধীনে কোন পরিকল্প নিশ্চিতকরণ আদেশ প্রদানে আদালত কোম্পানী কর্তৃক ধারা ২৩ এবং ধারা ১১৯ অনুযায়ী প্রদত্ত জমার যেই অংশ বীমাকারী কর্তৃক এখনও পরিচালিত কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসায়ের, যদি থাকে, সহিত সংশ্লিষ্ট নহে তাহার যতদুর সম্ভব অধিক নিষ্পত্তির প্রয়োজন সেই মর্ম অনুযায়ী প্রদান করিতে পারিবেন।
   
   
 
জামানত ফেরত
১১০৷ কোন বীমা কোম্পানী অবসায়নকালে, যেইক্ষেত্রে ধারা ১০৯ প্রযোজ্য হয় তাহা ব্যতিরেকে এবং অপর কোন বীমাকারীর দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে অবসায়ক কিংবা স্বত্ব নিয়োগী, যাহা প্রযোজ্য ধারা ২৩ কিংবা ধারা ১১৯ এর অধীন, ক্ষেত্রমত, কোম্পানী কিংবা বীমাকারী কর্তৃক জমাদানকৃত জমা ফেরত্‍ প্রদানের নিমিত্ত আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং এইরূপ দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, জামানত ফেরত প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিবেন৷
   
   
 
পলিসি মূল্যের নোটিশ
১১১৷ কোন বীমা কোম্পানীর অবসায়নকালীন সময়ে পরিসম্পদসমূহ নগদ অর্থ বন্টনের উদ্দেশ্যে এবং অপর কোন বীমাকারীর দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, অবসায়ক কিংবা স্বত্ব নিয়োগী কোম্পানীর অথবা অপর কোন বীমাকারীর নথিতে অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি এবং যিনি কোম্পানী কর্তৃক বা অন্য বীমাকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত পলিসিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হইবেন, তাহার নিকট কোম্পানীর বা অন্য বীমাকারীর দায় নির্ণয় করিবেন এবং আদালতের নির্দেশিত উপায়ে অনুরূপ পদ্ধতিতে সেই সকল ব্যক্তিকে মূল্য সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং নোটিশ দেওয়া হইয়াছে এইরূপ কোন ব্যক্তি যদি আদালতের আদেশ কিংবা বিধি অনুযায়ী নির্দিষ্টকৃত পদ্ধতি এবং সময়ের মধ্যে উক্তরূপ মূল্য সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তির নোটিশ না প্রদান করিয়া থাকেন তাহা হইলে তিনি সেই মূল্য গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
   
   
 
বীমা চুক্তি হ্রাসে আদালতের ক্ষমতা
১১২।(১) যেক্ষেত্রে কোন বীমা কোম্পানী অবসায়নাধীন থাকে কিংবা অপর কোন বীমাকারী দেউলিয়া হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, বীমা কোম্পানী কিংবা অপর বীমাকারীর বীমা চুক্তির পরিমাণ হ্রাস করিয়া আদেশ জারী করিতে পারিবে।

(২) যেক্ষেত্রে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন কোম্পানী দেউলিয়া বলিয়া প্রমাণিত হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত যথার্থ মনে করিলে অবসায়নের পরিবর্তে, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কোম্পানীর বীমা চুক্তির অর্থের পরিমাণ হ্রাস করার আদেশ জারী করিতে পারিবে। 

(৩) এই ধারার অধীন আদেশের জন্য অবসায়ক অথবা কোম্পানী অথবা কোম্পানীর পক্ষে অথবা পলিসি গ্রাহক অথবা কর্তৃপক্ষ আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন এবং আদালতের বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্থ হইতে পারে এইরূপ যে কোন ব্যক্তি এইরূপ আবেদন শুনানীর জন্য অধিকারী হইবেন।
   
   
 
অ-বাংলাদেশী কোম্পানীসমূহের উপর পারষ্পরিক অক্ষমতা আরোপে সরকারের ক্ষমতা
১১৩৷ যেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাহিরে কোন দেশের আইন বা প্রথা দ্বারা সেই দেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ শর্তাবলী আছে এবং অনুরূপ শর্তাবলী বাংলাদেশে গঠিত বা নিগমিত কোন বীমাকারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়, তাহা হইলে সরকার উক্ত শর্তাবলী সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঐ দেশের বীমাকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার শর্ত হিসাবে উক্ত একইরূপ শর্তাবলী প্রয়োগের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
   
   
 
বাংলাদেশের বাহিরে স্থাপিত বীমাকারী কর্তৃক দাখিলযোগ্য তথ্যাদি
১১৪৷ বাংলাদেশের বাহিরে ব্যবসায়ের প্রধান স্থান কিংবা স্থায়ী আবাসধারী প্রত্যেক বীমাকারী বাংলাদেশে উহার ব্যবসায়ের স্থান স্থাপন করিলে কিংবা বীমা ব্যবসা সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রতিনিধি নিযুক্ত করিলে এইরূপ ব্যবসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা অথবা প্রতিনিধি নিযুক্তির পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি পেশ করিবে, যথাঃ- 

(ক) বীমাকারীর গঠনতন্ত্র, বিধিবদ্ধ আইন, সমঝোতা স্মারক, সংঘস্মারক ও সংঘবিধি বা বীমাকারীর গঠনতন্ত্রের সংগঠন ও সংজ্ঞা প্রদানকারী অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি এবং এই দলিল ইংরেজী ভাষায় না হইলে উহার একটি নির্ভরযোগ্য (authentic) ইংরেজী অনুবাদ; 

(খ) বাংলাদেশে বীমাকারীর পূর্ণ ঠিকানা; 

(গ) বাংলাদেশে নিবাসী এক বা একাধিক ব্যক্তি যিনি বা যাহারা বীমাকারীর পক্ষে কোন প্রসেস্ এবং নোটিশ গ্রহণ করার জন্য বীমাকারীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত, এইরূপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা এবং তাহাকে প্রদত্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির অনুলিপি; 

(ঘ) বীমাকারী কোম্পানী হইলে, উহার পরিচালকদের তালিকা;

(ঙ) বীমাকারী কর্তৃক পরিচালিত হইবে এইরূপ বীমা শ্রেণীর একটি বিবরণী; এবং 

(চ) বীমাকারীর নিজ দেশে ধারা ১১৩ এ নির্দেশিত বিশেষ প্রয়োজনীয়তার অনুরূপ বাংলাদেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোন শর্তাবলী, যদি থাকে, একটি সত্যপাঠ(verification)দ্বারা প্রত্যায়িত বিবরণী৷
   
   
 
বাংলাদেশের বাহিরে স্থাপিত বীমাকারী কর্তৃক রক্ষিতব্য বইসমূহ
১১৫৷ বাংলাদেশের বাহিরে ব্যবসায়ের প্রধান স্থান থাকিলে কিংবা স্থায়ী নিবাসী হইলে এইরূপ প্রত্যেক বীমাকারী এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলতব্য বাংলাদেশে উহার ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট হিসাব, বিবরণী, সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত করিতে সমর্থ করে এবং, প্রয়োজনবোধে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরীক্ষা করা যায় এইরূপ হিসাবের বই, রেজিস্টার এবং দলিলাদি বাংলাদেশে উহার প্রধান কার্যালয়ে রক্ষণ করিবে এবং প্রতি পঞ্জিকা বর্ষের জানুয়ারি মাসের শেষ দিবসে বা তাহার পূর্বে রক্ষিতব্য সকল হিসাবের বই, রেজিস্টার এবং দলিলাদি যথানিয়মে বীমাকারীর বাংলাদেশস্থ প্রধান কার্যালয়ে রক্ষিত হইতেছে এই মর্মে নিরীক্ষকের একটি প্রত্যায়ন পত্র কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে৷
   
   
তৃতীয় অধ্যায়
মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতি
 
সংজ্ঞা
১১৬৷ এই অধ্যায়ে- 

(ক) “মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী” অর্থ একটি বীমাকারী কোম্পানী যাহা কোম্পানী আইন বা উহা দ্বারা রহিত কোন আইনে নিবন্ধীকৃত এবং যাহার কোন শেয়ার মূলধন নাই; শুধুমাত্র গঠনতন্ত্র দ্বারা সকল পলিসি গ্রাহক উহার সদস্য ; 

(খ) “সমবায় বীমা সমিতি” অর্থ সমবায় সমিতি আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন সমবায় সমিতি যাহা এই আইন কার্যকর হইবার পূর্বে  Insurance Act, 1938 এর অধীন বীমাকারী হিসাবে নিবন্ধিত৷
   
   
 
মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতির ক্ষেত্রে অাইনের প্রয়োগ
১১৭। এই অধ্যায়ের বিধানসমূহের সহিত সংগতিপূর্ণ নয় ধারা ২১, ২২, ২৩, ৩৬ এবং ৪৪ এর উপ-ধারা (৯) এর দফা (গ) এইরূপ বিধান মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না; এবং এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
   
   
 
মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতির চলতি মূলধন
১১৮। কোন মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী এবং সমবায় বীমা সমিতি এই আইনের অধীন নিবন্ধীকৃত হইবে না, যদি না উক্ত কোম্পানী বা সমিতি গঠনকালের প্রাথমিক ব্যয় এবং নিবন্ধীকরণের আবেদনের পূর্বে প্রদেয় জামানত ব্যতীত তফসিল-১ এ উল্লিখিত চলতি মূলধন না থাকে।
   
   
 
মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী এবং সমবায় বীমা সমিতি কর্তৃক রক্ষিতব্য জামানত
১১৯৷ (১) প্রত্যেক মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতি নিবন্ধীকরণ আবেদন করার সময় তফসিল-১ এ উল্লিখিত অর্থ নগদে বা জমা প্রদানের তারিখে বাজারমূল্যে প্রাক্কলিত অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ প্রাক্কলিত মূল্যের অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করিবে এবং জমা রাখিবে৷ 



(২) নগদে জমাকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক উহা সমবায় বীমা সমিতির হিসাবে জমা রাখিবে৷ 



(৩) সমবায় বীমা সমিতি যে কোন সময় এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত সিকিউরিটিজ নগদে বা অনুমোদিত সিকিউরিটিজ বা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুমোদিত সিকিউরিটিজে প্রতিস্থাপন করিতে পারিবে এই শর্তে যে, অনুরূপ নগদ অর্থ বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের মূল্য বিদ্যমান বাজার দরে, বা অনুরূপ নগদ অর্থ এবং সিকিউরিটিজের মূল্য, যাহা প্রযোজ্য, জমা প্রদান করিবার তারিখে প্রাক্কলিত মূল্যে সিকিউরিটিজের মূল্য হইতে কম না হয়৷ 



(৪) সমবায় বীমা সমিতি আবেদন করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক- 



(ক) এই ধারার অধীন সমবায় বীমা সমিতি কর্তৃক জমা করা সিকিউরিটিজ বিক্রয় করিবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিজের কাছে জামানত হিসাবে রাখিতে পারিবে; বা 



(খ) সমবায় বীমা সমিতি কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ বা সিকিউরিটিজে বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ, বা জমাকৃত সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য সরকারী সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করিতে পারিবে এবং উপরোক্ত বিক্রয় ও বিনিয়োগের জন্য স্বাভাবিক হারে কমিশন আদায় করিতে পারিবে৷ 

(৫) এই ধারার উপ-ধারা (৪) এর বিধান প্রযোজ্য হইলে,- 



(ক) যদি সিকিউরিটিজ বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা (অর্জিত সুদ ব্যতীত) সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য জমাকৃত সিকিউরিটিজের জমা দেওয়ার তারিখে বিদ্যমান বাজারমূল্যের কম হয় তবে বীমাসমিতি উক্ত ঘাটতি সিকিউরিটিজ পরিপক্ক হওয়া বা বিক্রীত হওয়ার ২ (দুই) মাসের মধ্যে নগদে বা জমা প্রদান করিবার তারিখে বাজার দরে প্রাক্কলিত মূল্যে সরকারী সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদ ও আংশিক সিকিউরিটিজে পূরণ করিবে; অন্যথায় বীমা সমিতি এই ধারার অধীন জামানত সম্পর্কিত বিধান লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং 



(খ) যদি সিকিউরিটিজ বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা (অর্জিত সুদ ব্যতীত) সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত সিকিউরিটিজের জমা দেওয়ার তারিখে বিদ্যমান বাজার মূল্যের উদ্বৃত্ত হয় তবে কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী রক্ষিতব্য জমা পরিপূর্ণভাবে রক্ষিত হইয়াছে তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংককে উক্ত উদ্বৃত্ত অর্থ সমবায় বীমা সমিতি ফেরত্‍ দিতে বলিবে৷ 



(৬) যদি জমাকৃত অর্থ হইতে সমবায় বীমা সমিতির কোন দায় পরিশোধিত হইয়া থাকে তবে সমবায় বীমা সমিতি নগদে বা জমা দেওয়ার তারিখে বাজার মূল্যে প্রাক্কলিত সরকারী সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে এবং আংশিক অনুরূপ মূল্যায়িত সরকারী সিকিউরিটিজে উক্ত অর্থ পূরণ করিবে এবং দায় পরিশোধের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে ঘাটতি পূরণ না করিলে সমবায় বীমা সমিতি এই ধারার উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
ঋণ সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ
১২০৷ ঋণের ক্ষেত্রে অন্যান্য বীমাকারীর ন্যায় ধারা ৪৪ এ প্রদত্ত বিধানসমূহ সমবায় বীমা সমিতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
   
   
 
পলিসি হস্তান্তরভোগী ও স্বত্বনিয়োগী সদস্য হইতে পরিবেন না
১২১৷ এই অধ্যায়ের বিধান প্রযোজ্য হয় এইরূপ বীমাকারীর ইস্যুকৃত পলিসির হস্তান্তরভোগী বা স্বত্বনিয়োগী শুধুমাত্র উক্ত হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের কারণে মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন না৷
   
   
 
মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতির নোটিশ ও দলিলাদি প্রকাশ
১২২৷ কোম্পানী আইন এর বিধানসমূহে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতিকে সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুযায়ী উহার সদস্যদের নিকট প্রেরিতব্য উহার স্থিতিপত্র, রাজস্ব হিসাব এবং অন্যান্য দলিলাদি উহার সদস্যদের নিকট প্রেরণ না করিয়া কোম্পানী বা সমিতির প্রধান কার্যালয়স্থ স্থানে প্রচারিত একটি ইংরেজী এবং একটি বাংলায় প্রকাশিত সংবাদপত্রে একবার প্রকাশ করিতে হইবে৷
   
   
 
সদস্যগণকে দলিলাদি সরবরাহকরণ
১২৩। কোম্পানী আইন এর অধীন রেজিস্ট্রার অব কোম্পানীজ বা রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটিজ এর নিকট প্রেরিত দলিলাদি তাহার নিকট প্রেরণের ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে কোন সদস্য আবেদন করিলে কোনরূপ মূল্য ব্যতিরেকেই প্রত্যেক মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতি উক্ত দলিলাদির অনুলিপি আবেদন করার ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে সদস্যদেরকে সরবরাহ করিবে।
   
   
চতুর্থ অধ্যায়
মধ্যস্থতাকারী
 
বীমা এজেন্ট নিয়োগ
১২৪৷ (১) একজন বীমাকারী বা ব্রোকার একজন ব্যক্তি বীমা এজেন্ট নিয়োগ ও তাহার নিবন্ধীকরণ করিবে এবং প্রত্যেক বীমাকারী বা ব্রোকার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বীমা এজেন্ট হিসাবে অনুরূপ সকল নিয়োগ ও নিবন্ধনের একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবে৷

(২) প্রত্যেক বীমাকারী বা ব্রোকার উপ-ধারা (১) এর অধীন রক্ষিত রেজিস্টারের একটি অনুলিপি প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে এবং উক্ত তালিকায় কোন সংযোজন বা বিয়োজনের ক্ষেত্রে বাদ পড়া এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত রাখিবে৷ 

(৩) কর্তৃপক্ষ কোন বীমাকারী বা ব্রোকারকে তাহার নিকট দাখিলকৃত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ কোন বীমা এজেন্টের নাম নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বীমা এজেন্টের কর্তব্য পালনের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনায় বাদ দেওয়ার জন্য বীমাকারী বা ব্রোকারকে বাধ্য করিতে পারিবে৷

(৪) কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়নের দ্বারা বীমা এজেন্ট নিয়োগের জন্য যোগ্যতা এবং অন্যান্য শর্তাবলী, বীমা এজেন্টের নিবন্ধনের মেয়াদকাল, নবায়ন ফি এবং অনুরূপ ফি পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷ 

(৫) কোন বীমাকারী বা ব্রোকার অন্য কোন বীমাকারী বা ব্রোকারের বীমা এজেন্ট হিসাবে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তিকে তাহার অধীনে বীমা এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করিবে না৷

(৬) কোন বীমাকারী বা ব্রোকার কোন নিবন্ধীকৃত বীমা এজেন্টকে তাহার পূর্বতন নিবন্ধনকারী বীমাকারী বা ব্রোকারের নিকট হইতে অব্যাহতি আদেশ ব্যতীত তাহার অধীনে বীমা এজেন্ট নিয়োগ করিবে নাঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন এজেন্ট পদত্যাগের আবেদনপত্র বীমাকারী বা ব্রোকারের নিকট দাখিল করিলে এবং তাহার নিকট কোন পাওনা না থাকিলে বীমাকারী বা ব্রোকার উক্ত আবেদনপত্র দাখিলের তারিখ হইতে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তাহাকে অব্যাহতি আদেশ প্রদান করিবে৷
   
   
 
বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী নিয়োগ
১২৫৷ (১) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার বীমাকারী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় আহরণ বা ব্যবসা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বীমা প্রতিনিধি নিয়োগকারীর সনদপত্রধারী কোন ব্যক্তি বা বিধিবদ্ধ সংস্থাকে বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী হিসাবে কার্য্যক্রম করার জন্য নিযুক্ত করিবে৷ 

(২) কর্তৃপক্ষ প্রবিধান দ্বারা বীমা এজেন্ট নিয়োগকারীর সনদপত্র ইস্যু করার জন্য যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্তাবলী এবং সনদপত্রের মেয়াদকাল, নিবন্ধন ফি ও নবায়ন ফি এবং অনুরূপ ফি পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ করিবে৷
   
   
 
বীমা ব্রোকার লাইসেন্সধারী হইবে
১২৬৷ (১) নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার বীমাকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বীমা ব্রোকারের লাইসেন্সধারী বীমা ব্রোকারকে নিযুক্ত করিতে পারিবে৷ 



(২) কোম্পানী ব্যতীত অন্য কেহ বীমা ব্রোকার লাইসেন্স প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য হইবে না৷ 



(৩) সরকার বিধি দ্বারা অন্যান্য বিষয়ের সহিত পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ, যোগ্যতা, গঠন, নিবন্ধন ফি ও নবায়ন ফি এবং লাইসেন্স জারীর ফি পরিশোধ পদ্ধতি এবং লাইসেন্স ইন্স্যু, নবায়ন ও বিলম্বিত বা বাতিল করণের আবশ্যকীয় বিষয়াদি নির্ধারণ করিবে৷ 



(৪) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ লাইসেন্স না থাকিলে কোন ব্যক্তি কর্তৃক নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার ব্রোকারের দায়িত্ব পালন, নিজেকে বীমা ব্রোকার হিসাবে বর্ণনা করা বা করানো বা পরিচয় প্রদান করা বা করানো বে-আইনী হইবে৷
   
   
 
বীমা জরিপকারীদের লাইসেন্স প্রদান
১২৭৷ (১) এই ধারার অধীন লাইসেন্সধারী বীমা জরিপকারী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সম্পর্কিত কোন ক্ষয়ক্ষতির জরিপ, নিরূপণ কিংবা সমন্বয় করিতে পারিবে না এবং কোন বীমাকারী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাহার লেনদেনকৃত নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের সংশ্লিষ্ট কোন দাবী এই ধারার অধীনে লাইসেন্সধারী কোন বীমা জরিপকারী কর্তৃক ক্ষয়ক্ষতি জরিপকৃত, নিরূপিত বা সমন্বয়কৃত যাহা হয়, না হইলে পরিশোধ করিতে পারিবে না ৷

(২) এই ধারার অধীন লাইসেন্স এর জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি সহ, কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে। 

(৩) বীমা জরিপকারীদেরকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত, বিভিন্ন উপ-শ্রেণীতে ভাগ করা যাইবে এবং এইরূপ শ্রেণী ভাগ হইলে অনুরূপ প্রত্যেক উপ-শ্রেণীর জন্য পৃথক আবেদন করিতে হইবে এবং পৃথক লাইসেন্স ইস্যু করা হইবে ৷

(৪) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর যেইরূপ উপযুক্ত মনে করে তদ্রূপ তথ্য ও ব্যাখ্যা প্রদান করিতে অথবা তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে কর্তৃপক্ষ সমীপে উপস্থিত হইতে আবেদনকারীকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং আবেদনকারী নির্দেশিত অনুরূপ শর্তাবলী পূরণ করিয়াছে এবং আবেদনকৃত লাইসেন্স পাওয়ার উপযুক্ত এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এর বিধান সাপেক্ষে অনুরূপ লাইসেন্স মঞ্জুর করিবে৷

(৫) কোন আবেদনকারী এই ধারার অধীন কোন উপ-শ্রেণীর লাইসেন্সের জন্য প্রত্যাখ্যাত হইলে তিনি ঐরূপ প্রত্যাখ্যানের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর সময় উত্তীর্ণ না হওয়ার পূর্বে একই উপ-শ্রেণীর লাইসেন্সের জন্য নূতন আবেদন করার অধিকারী হইবেন না৷ 

(৬) ব্যক্তি আবেদনকারীর ক্ষেত্রে, তিনি নিজে এবং কোম্পানী বা ফার্ম আবেদনকারীর ক্ষেত্রে, উহার কোন পরিচালক বা অংশীদার নিম্নবর্ণিত কোন অযোগ্যতা সম্পন্ন হইবেন না : 

(ক) ব্যক্তি নাবালক হন ; 

(খ) যোগ্য অধিক্ষেত্র সম্পন্ন আদালত কর্তৃক ঘোষিত অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি হন; 

(গ) যোগ্য অধিক্ষেত্র সম্পন্ন আদালত কর্তৃক আত্মসাত্‍ বা বিশ্বাসভঙ্গ বা প্রতারণা বা জালিয়াতি মূলক অপরাধ করা বা অনুরূপ অপরাধে সহযোগিতা করিবার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি হনঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি এইরূপ কোন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হইলে সাজা প্রাপ্তির তারিখ হইতে কিংবা যেই ক্ষেত্রে অর্থদণ্ড সহ বা অর্থদণ্ড ছাড়া কারাদণ্ড হইয়াছে সেইক্ষেত্রে মুক্তি লাভের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পূর্ণ হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তির সাজাপ্রাপ্তি তাহার ঐরূপ আবেদন করিবার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করিবে না মর্মে ঘোষণা করিতে পারিবে৷ 

(ঘ) কোন বীমা পলিসি বিষয়ে বা কোন বীমা কোম্পানীর অবসায়ন বিষয়ে কোন আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে বা বীমা কোম্পানীর বিষয়াবলী সংক্রান্ত কোন তদন্ত চলাকালে যদি এইরূপ পরিদৃষ্ট হয় যে, উক্ত ব্যক্তি কোন বীমাকারী বা বীমা গ্রহীতার সাথে কোন জালিয়াতি, অসততা বা নিজেকে অন্য ব্যক্তি বলিয়া পরিচয় প্রদানের জন্য বা অনুরূপ কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ গ্রহণ বা সহযোগী হওয়ার জন্য অভিযুক্ত হন৷ 

(৭) এই ধারার অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স ইস্যুর তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের জন্য বলবৎ থাকিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে, উক্ত লাইসেন্স নবায়ন করা যাইবে।

(৮) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীনে লাইসেন্স প্রদান বা উহার নবায়ন প্রত্যাখ্যান করিলে তাহার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে প্রত্যাখানের কারণসহ আবেদনকারীকে আবেদনের তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে অবহিত করিবে৷

(৯) প্রত্যেক জরিপকারী এবং ক্ষতি নির্ধারক তাহাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব এবং অন্যান্য পেশাগত অন্যান্য বিষয়ে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অনুরূপ আচরণবিধি পরিপালন করিবে৷

(১০) যেইক্ষেত্রে পরিদৃষ্ট হয় যে, কোন বীমা জরিপকারী, ব্যক্তি হইলে তাহার কিংবা কোম্পানী বা ফার্ম হইলে উহার কোন পরিচালক বা অংশীদারের উপ-ধারা (৬) এর অধীনে নির্ধারিত অযোগ্যতাসমূহের কোনটি আছে তবে অন্য কোন শাস্তি বিধানের অধিকার ক্ষুন্ন না করিয়া এবং যদি কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টিসহ প্রমাণিত হয় যে, বীমা জরিপকারী - 

(ক) মিথ্যা প্রতিবেদন প্রদান করিয়াছে; বা 

(খ) কোন ক্ষতি সামগ্রিকভাবে অত্যধিক মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করিয়াছে; বা 

(গ) কোন ক্ষতি অত্যধিক অযৌক্তিকভাবে সমন্বয় করিয়াছে; 

তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত জরিপকারীর ধারণকৃত লাইসেন্স বা লাইসেন্সেসমূহ বাতিল করিতে পারিবেনঃ 

      তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষের ঐচ্ছিক ক্ষমতাবলে এই ধারার অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল করা হইলে এবং সরকারের নিকট এই বিষয়ে আবেদন করিলে অনুরূপ আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন চাহিতে পারে এবং উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনা করিয়া ও আবেদনকারীর শুনানী গ্রহণ করিয়া কৃর্তপক্ষকে যথোপযুক্ত নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে৷

(১১) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীনে তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত হারানো, ক্ষতিগ্রস্ত ও ছেঁড়া লাইসেন্সের পরিবর্তে নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে উহার প্রতিলিপি লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবে৷

(১২) কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধান লংঘনপূর্বক কার্য করিলে তিনি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; এবং লংঘনকারী কোম্পানী হইলে তাহাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন কার্যধারায় গ্রহণীয় ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখিয়া উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা কোম্পানীর অন্য কোন কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ঐরূপ লংঘনের জন্য দায়ী তিনি অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
   
   
 
দ্বিতীয় জরিপ
১২৮৷ (১) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে, কোন বীমা জরিপকারী মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছে বা ক্ষতির অত্যধিক অধিমূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করিয়াছে বা কোন ক্ষতি অত্যধিক অযৌক্তিক ভাবে সমন্বয় করিয়াছে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ তাহার অনুমোদিত অন্য কোন জরিপকারী বা জরিপকারীদের দ্বারা ঐ ক্ষতির আরো একটি জরিপ করার জন্য বীমাকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ 


(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে দ্বিতীয় জরিপের ক্ষেত্রে জরিপকারী বা জরিপকারীগণ তাহাদের প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করিবে; কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদনটি বিবেচনা করিয়া এবং প্রথম জরিপকারীকে তাহার বক্তব্য উপস্থাপন করার সুযোগ প্রদান করিয়া এই অাইনের এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রথম জরিপকারীর লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থে দ্বিতীয় জরিপের প্রতিবেদন এর ভিত্তিতে বীমাকারীকে তাহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করিয়া যথা প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, প্রথম জরিপকারী কর্তৃক বীমাকারী এবং বীমাগ্রহীতা উভয়ের নিকট প্রেরণের প্রাপ্তি স্বীকার পত্রসহ প্রতিবেদন দাখিলের অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে দ্বিতীয় জরিপকারী নিয়োগ করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিপ শেষ করিতে হইবে ৷
   
   
 
কতিপয় বিধান পরিপালন নিশ্চিত করণের ক্ষমতা
১২৯৷ ধারা ৫৮, ৫৯, ৬২, ৬৩, ১২৪, ১২৫, ১২৬, ১৩২, ১৩৫, ১৩৮ এবং ১৩৯ এর বিধানের পরিপালন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ নোটিশ দ্বারা-

(ক) কোন বীমাকারী বা বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী বা বীমা এজেন্ট বা বীমা ব্রোকার বা বীমা জরিপকারীকে উহার প্রয়োজনীয় তথ্য, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োজনীয় মনে করিলে উহা নিরীক্ষক বা একচ্যুয়ারি কর্তৃক প্রত্যায়িত, প্রেরণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;

(খ) যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবে, বীমাকারীকে সেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিতে পারে ;

(গ) কোন বীমাকারী, বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী, বীমা এজেন্ট, বীমা ব্রোকার বা বীমা জরিপকারীকে বাংলাদেশে উহার প্রধান কার্যালয়ে যে কোন হিসাবের বই, রেজিস্টার বা অন্যান্য দলিল পরীক্ষার জন্য উপস্থাপন করিতে বা নোটিশে উল্লিখিত কোন বিবরণ দাখিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
   
   
পঞ্চম অধ্যায়
অপরাধ ও দণ্ড
 
এই আইন পরিপালনে ব্যর্থতা কিংবা লংঘনজনিত কর্মকান্ডের জন্য জরিমানা আরোপ
১৩০৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধানের অধীন-

(ক) কর্তৃপক্ষের নিকট বিবরণী, হিসাব, রিটার্ন বা প্রতিবেদন দাখিল করিতে ব্যর্থ হন;

(খ) নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন;

(গ) সলভেন্সি মার্জিন সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন;

(ঘ) বীমা চুক্তি পরিপালনের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন; বা

(ঙ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনঃ বীমা চুক্তি পরিপালনের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন,

তাহা হইলে প্রতিটি ব্যর্থতার জন্য তাহাকে অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা করা যাইবে এবং এই লংঘন অব্যাহত থাকিলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা জরিমানা করা যাইবে ৷
   
   
 
দলিল, বিবরণী, হিসাব, রিটার্ন ইত্যাদিতে মিথ্যা তথ্য প্রদানের শাস্তি
১৩১। যদি কোন ব্যক্তি এইরূপ বক্তব্য প্রদান করেন বা এমন কোন দলিল, বিবরণী, হিসাব, রিটার্ন বা প্রতিবেদন দাখিল করেন যাহা মিথ্যা এবং মিথ্যা বলিয়া তিনি মনে করেন বা বিশ্বাস করেন বা সত্য বলিয়া মনে করেন না, তবে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে দন্ডিত হইবেন অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
   
   
 
কতিপয় ধারা লংঘনপূর্বক বীমা ব্যবসা পরিচালনার দণ্ড
১৩২৷ কোন ব্যক্তি ধারা ৮, ২৩, ৪১, ৪৩, ৪৬ বা ১১৯ এর বিধান লংঘন করিলে এইরূপ প্রতিটি লংঘনের জন্য তাহার অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড হইবে ৷
   
   
 
বীমাচুক্তি সম্পাদনে প্রলুদ্ধ করার জন্য বিভ্রান্তিকর বিবরণী, আশ্বাস বা পূর্বাভাস
১৩৩৷ কোন ব্যক্তি বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা বা প্রতারণামূলক বলিয়া জানেন, এইরূপ বিবরণী, আশ্বাস, পূর্বাভাস দ্বারা, বা প্রতারণামূলক বলিয়া জানেন, বা প্রতারণামূলক পূর্বাভাষ দ্বারা কোন ব্যক্তিকে কোন বীমাকারীর সহিত বীমা চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে প্রলুদ্ধ করার চেষ্টা করিলে তিনি এই অপরাধে অভিযুক্ত হইবেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হইলে অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড বা অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
   
   
 
আইনের বিধান পালনে ব্যর্থতা কিংবা লংঘনজনিত কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জরিমানা
১৩৪৷ এই আইনে অন্যরূপ কোন বিধান না থাকিলে কোন বীমাকারীর কোন পরিচালক, শেয়ার হোল্ডার, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক বা অন্য কর্মকর্তা বা ব্রোকার বা অংশীদার, জরিপকারী বা উহার অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বা বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী এই আইনের কোন বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে বা উক্ত বিধান লংঘন করিলে এবং কেহ জ্ঞাতসারে এই লংঘনের সহিত সংশ্লিষ্ট থাকিলে, তাহাকে সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং লংঘন অব্যাহত থাকিলে লংঘনজনিত সময়ের প্রতিদিনের জন্য অনধিক ৫ (পাচ) হাজার টাকা অতিরিক্ত অর্থ জরিমানা করা যাইবে৷
   
   
 
অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জন ও ধারণ
১৩৫৷ (১) যদি বীমাকারীর কোন পরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বীমাকারীর কোন সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অর্জন বা ইচ্ছাকৃতভাবে দখলে রাখেন কিংবা এই আইনে বর্ণিত বা অনুমোদিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন তবে বীমাকারীর বা কোন সদস্য বা বীমা পলিসি গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে বীমাকারীকে তাহার মনোভাব সম্পর্কে কমপক্ষে ১৫ (পনের) দিনের নোটিশ প্রদান পূর্বক তাহাকে ১৫ (পনের) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা যাইবে এবং বিচারিক আদালত তাহার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অন্যায়ভাবে অর্জিত বা অন্যায়ভাবে দখলকৃত বা ইচ্ছাকৃত অপব্যবহারকৃত এইরূপ সম্পত্তি ফেরত প্রদান করিতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনাদায়ে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড প্রদান করিবেন৷

(২) এই ধারার উদ্দেশ্যে বীমাকারী কর্তৃক রক্ষিত বিধিবদ্ধ লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিলের সম্পদ সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
কতিপয় ক্ষেত্রে বীমাকারীর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা ক্ষতিপূরণ দানের আদেশ প্রদানে আদালতের ক্ষমতা
১৩৬৷ (১) কোন আদালত কর্তৃপক্ষ অথবা ধারা ৯৫ এর অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রশাসক অথবা বীমাকারীর অথবা বীমা কোম্পানীর কোন সদস্য বা বীমা কোম্পানীর অবসায়ক (অবসায়নাধীন কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে) আবেদনের প্রেক্ষিতে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে-

(ক) কোন বীমাকারী (যেইক্ষেত্রে বীমাকারী একটি বীমা কোম্পানী সেইক্ষেত্রে উক্ত বীমাকারী কোম্পানীর সংগঠন ও গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোন ব্যক্তি বা কোন প্রাক্তন বা বর্তমান পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব অথবা অবসায়ক অন্তর্ভুক্ত) অথবা বীমাকারীর কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী অথবা বীমা এজেন্ট;

(অ) কোন বীমাকারীর টাকা বা সম্পত্তি অপব্যবহার করিয়াছেন বা দখলে রাখিয়াছেন অথবা এই দায়ে দায়ী হইয়াছেন অথবা তজ্জন্য দায়ী জবাবদিহিতার মুখোমুখি হইয়াছেন, বা

(আ) বীমাকারী-সংশ্লিষ্ট কোন বৈধ কাজ অন্যায়ভাবে সম্পন্ন করিবার জন্য বা বিশ্বাস ভংগের দায়ে অভিযুক্ত হইয়াছেন;

(খ) কোন ব্যক্তি, যিনি কোন প্রকারে বীমাকারীর ব্যবসায়ের সহিত সংশ্লিষ্ট আছেন বা ছিলেন, অন্যায়ভাবে বীমাকারীর কোন অর্থ বা সম্পত্তি দখলে রাখিয়াছেন অথবা অন্যায়ভাবে উক্ত অর্থ বা সম্পত্তি দখলে রাখিয়া তাহা বেআইনীভাবে ধারণ করিয়াছেন বা বীমাকারীর ব্যবহার ভিন্ন অন্য কোন ব্যবহারে রূপান্তর করিয়াছেন, অথবা

(গ) এই আইনের বিধান লংঘন জনিত কোন কারনে লাইফ ইন্স্যুরেন্স তহবিলের অর্থ হ্রাস পায়; তাহা হইলে আদালত অনুরূপ কোন বীমাকারী, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি, সচিব বা অবসায়ক বা এইরূপ অন্য কর্মকর্তা, কর্মচারী, বীমা এজেন্ট বা প্রযোজ্য অন্য কোন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং আদালত যেরূপ সঠিক বিবেচনা করিবেন অপব্যবহৃত, অধিকারভুক্ত বা অন্যায় কর্ম সম্পাদন বা বিশ্বাসভংগের ক্ষতিপূরণ হিসাবে বীমাকারীর অনুকুলে তাহার সম্পদে সেই পরিমাণ অর্থ প্রদান করিতে তাহাকে বাধ্য করিতে পারিবেন অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বীমাকারীর কোন অর্থ বা সম্পদ বা উহার অংশ বিশেষ পুনর্বহাল করিতে বাধ্য করিতে পারিবেন, এবং লাইফ ইন্সু্যরেন্স তহবিলের অর্থের পরিমাণ এই আইনের কোন বিধান লংঘন এর কারণে হ্রাস পাইলে, ঐ অর্থ কি পরিমাণ হ্রাস পাইয়াছে তাহা নির্ধারণ করিবার ক্ষমতা আদালতের থাকিবে এবং অনুরূপ লংঘনের জন্য দোষী ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ উক্ত অর্থের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ বীমা ইন্স্যুরেন্স তহবিলে প্রদানের আদেশ প্রদান করিবার ক্ষমতাও আদালতের থাকিবে ; এবং পূর্ব উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে আদালত যাহা যথার্থ মনে করিবেন সেইরূপ হারে এবং সময়ের জন্য সুদ পরিশোধ করিবার আদেশ প্রদানের ক্ষমতা থকিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) বা উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত বিধান সমূহ ক্ষুন্ন না করিয়া, যখন এইরূপ প্রমাণিত হয় যে, কোন বীমাকারীর কোন অর্থ বা সম্পত্তি অন্তর্হিত হইয়াছে বা হারাইয়া গিয়াছে তবে আদালত এইরূপ অনুমান করিবে যে প্রাথমিক সময়ে উক্ত অর্থ বা সম্পত্তির দায়িত্বে নিয়োজিত প্রত্যেক ব্যক্তি (তিনি একজন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যবস্থাপক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা অন্য কোন কর্মকর্তা হউন না কেন) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (অ) অনুযায়ী উক্ত অর্থ বা সম্পত্তি অন্তর্হিত হওয়া বা হারাইয়া যাওয়ার দায়ে দায়ী হইয়াছেন এবং সেই প্রেক্ষিতে একই উপ-ধারার বিধান একইভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে, যদি না উক্ত ব্যক্তি এইরূপ প্রমাণ করিতে পারেন যে, সংশ্লিষ্ট অর্থ বা সম্পত্তি বীমাকারীর বীমা ব্যবসায়কালীন সময়ে ব্যবহার করা হইয়াছে বা বন্টন করা হইয়াছে এবং উক্ত অর্থ অন্তর্হিত হওয়া বা হারাইয়া যাওয়া হইতে রক্ষার্থে সকল যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছেন এবং ঐ অর্থ বা সম্পত্তির অন্তর্হিত হওয়া সম্পর্কে অন্য কোন প্রকার সন্তোষজনক হিসাব প্রদান করিতে পারেন৷ 

(৩) বীমাকারী একটি বীমা কোম্পানী হইলে এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (খ) এবং (গ) এ বর্ণিত কার্যাবলীর কোন একটি ঐ বীমা কোম্পানীর যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত হইলে, প্রত্যেক ব্যক্তি যিনি উক্ত প্রাসঙ্গিক সময়ে বীমা কোম্পানীর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যবস্থাপক, অবসায়ক, সচিব বা অন্য কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যে তাহারা উক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তির অনুরূপভাবে এবং অনুরূপ ব্যাপকতায় উহার জন্য দায়ী বলিয়া বিবেচিত হইবেন; যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত ঘটনা তাহার অনুমতি অথবা সহযোগিতা ব্যতীত সংঘটিত হইয়াছে এবং তাহার কোন গাফিলতি বা ক্রটির কারণে সংঘঠিত হয় নাই৷

(৪) এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যক্রমের যে কোন পর্যায়ে (অতঃপর অভিযুক্ত নামে উল্লেখিত) আদালত যদি হলফনামা বা অন্য কোন প্রকারে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিপক্ষে দৃশ্যতঃ একটি মোকদ্দমার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ; এবং বীমাকারীর বীমা পলিসি গ্রাহক অথবা বীমা কোম্পানীর সদস্যদের স্বার্থ রক্ষার্থে যথাযথ ও ন্যায় সঙ্গত ভিত্তি রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত নিম্নরূপ ক্রোক করিবার আদেশ প্রদান করিবেন যথা:-

(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তির দখলে থাকা বীমাকারীর সম্পত্তি ;

(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তির মালিকাধীন কোন সম্পত্তি যাহা উপ-ধারা (৫) এর অর্থ অনুযায়ী তাহার দখলে রহিয়াছে বা দখলে আছে বলিয়া বিবেচিত ;

(গ) উপ-ধারা (১) এর অধীন কার্যধারা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে বা উক্ত কার্যধারা চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্বারা হস্তান্তর হইয়াছে এইরূপ কোন সম্পত্তি ক্রোক করিবার ক্ষমতা রাখেন, যদি আদালত সত্যপাঠ বা অন্য কোন প্রকারে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত হস্তান্তর সরল বিশ্বাসে বা ন্যায্য মূল্যে হস্তান্তরিত হয় নাই ৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নোক্ত শ্রেণীর সম্পত্তি সমূহ অভিযুক্ত ব্যক্তির বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-

(ক) কোন ব্যক্তির নামে থাকা কোন সম্পত্তি আত্মীয়তা জনিত কারণে বা অন্য কোন প্রাসঙ্গিক কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তির সহিত সম্পর্কের কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বলিয়া প্রতীয়মান হয়; 

(খ) মালিকানাধীন কোম্পানীর সম্পত্তি, যেইক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজে বা তাহার মনোনীত আত্মীয়, অংশীদার বা কোম্পানীর শেয়ারে আগ্রহী ব্যক্তিগণের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উহার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ বা গ্রহণের অধিকারী হয়৷ 

ব্যাখ্যাঃ- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন ব্যক্তি একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির মনোনীত ব্যক্তি বলিয়া গণ্য হইবেন যদি তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে বা অভিযুক্ত ব্যক্তির নির্দেশের মাধ্যমে এমন ক্ষমতার অধিকার অর্জন করেন যাহা দ্বারা অভিযুক্ত ব্যক্তি কোম্পানীর বিষয়াদির নিয়ন্ত্রণের অধিকারী হন ৷ 

(৬) এই ধারার অধীন ক্রোককৃত কোন সম্পত্তিতে দাবী বা উক্ত ক্রোকের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি থাকিলে তাহা আদালতে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে করিতে হইবে; এবং এই ধারার অধীন উক্ত সম্পত্তি ক্রোকযোগ্য নহে এই মর্মে দাবীকারী বা আপত্তি উত্থাপনকারীকে প্রমাণ প্রদর্শন করিতে হইবে এবং আদালত সংক্ষিপ্ত উপায়ে উক্ত দাবী বা আপত্তি তদন্তে অগ্রসর হইবেন ৷

(৭) আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন নিষ্পত্তি কালে ক্রোক হইয়াছে এমন সম্পত্তির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাবে প্রতীয়মান হয় এইরূপ সকল ব্যক্তিকে তাহাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার সুযোগ দানের পর এই ধারার অধীন কোন দায় যথাযথ উপায়ে কার্যকর করার জন্য উক্ত সম্পত্তির বিলি ব্যবস্থার বিষয়ে যাহা প্রয়োজনীয় মনে করিবেন, তদ্রূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং এই ধারার অধীন অনুরূপ সকল ব্যক্তি উক্ত কার্যধারায় পক্ষ বলিয়া গণ্য হইবেন৷ 

(৮) এই ধারার অধীন সকল কার্যক্রমে যে কোন প্রকৃতির প্রশ্ন, বিশেষ করিয়া এই ধারার অধীন ক্রোককৃত সম্পত্তির বিষয়ে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই আদালতের পূর্ণ ক্ষমতা এবং একক এখতিয়ার থাকিবে এবং অন্য কোন আদালতের কোন মোকদ্দমা বা অন্য আইনগত কার্যক্রমে এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন এখতিয়ার থাকিবে না ৷

(৯) উপ-ধারা (৫) এর অনুচ্ছেদ (খ) এ বর্ণিত ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন কোম্পানীর সম্পত্তি বিধি ব্যবস্থার আদেশ প্রদান কালে আদালত ঐ ধারায় উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ঐ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ব্যক্তিগণ ব্যতীত উক্ত সম্পত্তিতে অন্যান্য সকলের স্বার্থ যথার্থ বিবেচনায় আনিবেন ৷

(১০) এই ধারার অধীন কার্যক্রম গ্রহণে কোম্পানী আইন এ প্রদত্ত সকল ক্ষমতা আদালতের থাকিবে৷

(১১) তৃতীয় অধ্যায়ে উল্লিখিত বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতির ক্ষেত্রে বীমাকারীর ক্ষেত্রের অনুরূপ এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে ৷

(১২) এই ধারার অধীন কার্যক্রমের অধিক্ষেত্র হাইকোর্ট বিভাগের হইবে এবং এই আইন বলবৎ হইবার অব্যবহিত পূর্বে হাইকোর্ট বিভাগ ছাড়া অন্য আদালতে এই বিষয়ে বিচারাধীন থাকা কোন কার্যক্রম এই আইন বলবৎ হওয়ার পর হাইকোর্ট বিভাগে স্থানান্তরিত হইবে।

(১৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সুপ্রিম কোর্ট নিম্নরূপ বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ-

(ক) এই ধারার অধীন তদন্ত ও কার্যক্রম পরিচালনার পদ্ধতি; এবং

(খ) এই ধারার অধীন উহার অধিক্ষেত্র কার্যকর নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যে কোন বা সকল বিষয়৷
   
   
 
কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান এবং শুনানী
১৩৭৷ (১) এই ধারার অধীন প্রযোজ্য বিষয়ে যখন কোন আদেশ প্রদানের জন্য আদালতে আবেদন করা হয় এবং যদি কর্তৃপক্ষ নিজে এই আবেদন না করিয়া থাকেন এবং মামলার কোন পক্ষ নয় সেই ক্ষেত্রে আদালত আবেদনের একটি অনুলিপি আবেদন শুনানীর তারিখসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন এবং কর্তৃপক্ষকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন৷ 



(২) নিম্নবর্ণিত আদেশ সমূহে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে, যথা:- 



(ক) ধারা ২৩ বা ধারা ১১৯ এর অধীন কোন জমাকৃত অর্থ ডিক্রিমূলে ক্রোক করার আদেশ; 



(খ) এইরূপ কোন জমাকৃত অর্থ ফেরত্‍ প্রদানের জন্য ধারা ২৫ বা ধারা ১১০ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ; 



(গ) লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় হস্তান্তর বা একত্রীকরণের জন্য কোন ব্যবস্থা অনুমোদন করিবার জন্য আদেশ বা এই আদেশের ফলশ্রুতিতে প্রদত্ত অন্য যে কোন আদেশ; 



(ঘ) বীমা কোম্পানী বা মিউচুয়্যাল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতির অবসায়নের জন্য আদেশ; 



(ঙ) ধারা ১০৯ এর অধীন কোন বীমা কোম্পানীর আংশিক অবসায়নের জন্য প্রণীত পরিকল্প অনুমোদনের আদেশ; 



(চ) বীমা কোম্পানী বা মিউচুয়্যাল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতির বীমাচুক্তির পরিমাণ হ্রাস করণের জন্য প্রদত্ত আদেশ ৷
   
   
 
কার্যধারা দায়ের করিবার ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল এর পূর্বানুমোদন
১৩৮৷ (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যধারা দাখিলকৃত না হইলে বীমাকারী বা তাহার যে কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপক বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এই আইনের অধীন দায়ী কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন কার্যধারা দায়ের করিতে পারিবেন না, যদি তিনি উক্তরূপ কার্যধারা দায়ের করিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করিয়া থাকেন৷ 

(২) এই ধারার বিধান বীমাকারীর ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য তেমনি তৃতীয় অধ্যায়ে সংজ্ঞায়িত মিউচুয়্যাল বীমা কোম্পানী ও সমবায় বীমা সমিতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷
   
   
 
প্রতিকার মঞ্জুর করিবার ক্ষেত্রে আদালতের ক্ষমতা
১৩৯৷ যদি দেওয়ানী অথবা ফৌজদারী কোন মামলায় শুনানীর পরে কোন ব্যক্তি অবহেলা, বিচ্যুতি, দায়িত্বভঙ্গ বা বিশ্বাস ভঙ্গের কারণে দায়ী হইয়াছেন কিংবা হইতেন বলিয়া আদালত মনে করেন, কিন্তু তিনি সত্‍ভাবে এবং যুক্তিযুক্ত উপায়ে কাজ করিয়াছেন এবং বিষয়টির সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তাহাকে উক্ত অবহেলা, ত্রুটি, বিশ্বাসভঙ্গের দায় হইতে আদালত যথার্থ বিবেচনামূলক শর্তে তাহাকে উক্ত দায় হইতে সম্পূর্ণ বা আংশিক অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন৷
   
   
 
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার
১৪০৷ (১) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না৷ 

(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাতা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে৷
   
   
 
অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা
১৪১৷ এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে৷
   
   
 
আপীল
১৪২৷ (১) নিম্ন বর্ণিত যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে আপীল করা যাইবে, যথা :- 

(ক) ধারা ৮ এবং ১০ এর অধীন বীমাকারীর নিবন্ধীকরণ করার আবেদন প্রত্যাখ্যান বা নিবন্ধীকরণ বাতিলের আদেশ; 

(খ) ধারা ১৫ এর অধীন বীমা কোম্পানীর নাম পরিবর্তন করিবার নির্দেশ প্রদানের আদেশ; 

(গ) ধারা ১২৪, ১২৫, ১৩১ বা ১৩৮ এর অধীনে বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী বা বীমা ব্রোকার বা বীমা জরীপকারীর লাইসেন্স বাতিল করিবার বা বীমাকারীর রেজিস্ট্রার হইতে বীমা এজেন্টের নাম মুছিয়া ফেলার আদেশ; 

(ঘ) বীমাকারীর অবসায়ন বা দেউলিয়াত্ব প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত কোন আদেশ; 

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত হইবে দেওয়ানী অধিক্ষেত্রসম্পন্ন মুখ্য আদালত যাহার স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর ব্যবসায়ের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত৷ 

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের নিকট দায়ের করিতে হইবে এবং এই আপীলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বিবেচিত হইবে৷ 

(৪) এই ধারার অধীন কোন আপীল গ্রহণযোগ্য হইবে না যদি আপীলকারী আপীল সংক্রান্ত আদেশ প্রাপ্তির ৪ (চার) মাসের মধ্যে আপীল দায়ের না করেন৷
   
   
ষষ্ঠ অধ্যায়
বিবিধ
 
কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কর্তব্য অর্পণ
১৪৩৷ কর্তৃপক্ষ সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা এই আইনের অধীন ইহার ক্ষমতা এবং কর্তব্যের যে কোনটি ইহার অধীনস্ত যে কোন ব্যক্তির অনুকূলে অর্পণ করিতে পারিবে, এইরূপ অর্পিত কোন ক্ষমতা ও কর্তব্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত বিধি নিষেধ, সীমাবদ্ধতা এবং শর্তাবলী, যদি থাকে, সাপেক্ষে হইবে এবং ইহা চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণ ও সংশোধন সাপেক্ষে হইবে৷
   
   
 
দলিলাদি স্বাক্ষর
১৪৪৷ এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি অনুয়ায়ী কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা তাহার অধীনস্থ কোন ব্যক্তি বা ধারা ১২৫ এর উপ-ধারা (২) বা ধারা ১২৭ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে এইরূপ সকল দলিল কর্তৃপক্ষের অনুরূপ চেয়ারম্যান বা কর্মকর্তার স্বাক্ষরের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মুদ্রিত, খোদিত, লিথোগ্রাফকৃত বা অন্য কোন যান্ত্রিক পদ্ধতি দ্বারা ছাপ মারা ফ্যাকসিমিলি বহন করিলে উহা যথাযথরূপে স্বাক্ষরিত বলিয়া গণ্য হইবে৷
   
   
 
নোটিশ জারী
১৪৫৷ (১) কোন বীমাকারী বা মিউচ্যুয়্যাল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতিকে কোন প্রসেস্ বা সমন জারী করিতে হইলে উক্ত প্রসেস্ বা সমন কর্তৃপক্ষের নিকট রক্ষিত বীমাকারী বা মিউচ্যুয়্যাল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতির পক্ষে গ্রহণ করার জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তির নামে এবং কর্তৃপক্ষের সহিত রেজিস্ট্রিকৃত তাহার ঠিকানায় পৌছাইলে বা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করা হইলে উক্ত প্রসেস্ বা সমন যথাযথভাবে জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(২) এই আইনের অধীন কোন বীমা পলিসি গ্রাহকের নিকট কোন নোটিশ বা অন্য দলিলাদি প্রেরণ করিতে হইলে উহা সাধারণতঃ যে ব্যক্তির নিকট বীমা পলিসি সংক্রান্ত নোটিশ প্রেরণ করা হয় তাহার ঠিকানায় প্রেরণ করা যাইবে এবং এইরূপে প্রেরিত নোটিশ সংশ্লিষ্ট বীমা পলিসি গ্রাহককে প্রদত্ত নোটিশ বলিয়া গণ্য হইবেঃ

      তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি হস্তান্তর, নিয়োগ বা মনোনয়নের কারণে কোন পলিসিতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলিয়া দাবী করিয়া বীমাকারী বা মিউচ্যুয়্যাল বীমা কোম্পানী বা সমবায় বীমা সমিতিকে লিখিত নোটিশ দ্বারা অবহিত করিয়াছে সেইক্ষেত্রে এই আইনের অধীন বীমা পলিসি গ্রাহককে প্রেরিত নোটিশ অনুরূপ ব্যক্তিদের নিকটও প্রেরণ করিতে হইবে৷
   
   
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৪৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইসলামী বীমাসহ অন্যান্য বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
   
   
 
তফসিল সংশোধনে সরকারের ক্ষমতা
১৪৭৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেইরূপ প্রয়োজন মনে করিবে সেইরূপে তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে৷
   
   
 
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৪৮। কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদনক্রমে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
   
   
 
রিটার্নের সারাংশ প্রকাশকরণ
১৪৯৷ কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর এই আইনের অধীন হিশাব, স্থিতিপত্র, বিবরণী, সংক্ষিপ্তসার এবং অন্য কোন রিটার্নের সারাংশ তদকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে এবং এই সারাংশে কর্তৃপক্ষের যে কোন টীকা সংযুক্ত করিতে পারিবে৷
   
   
 
অনুমোদিত এজেন্টের জ্ঞাত বিষয় ও বিবৃতি বীমাকারী বা ব্রোকার বা এজেন্ট নিয়োগকারীর জ্ঞাত বিষয় ও বিবৃতি হিসেবে গণ্য
১৫০৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন সময়ে বীমাকারী বা ব্রোকার বা বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী, যাহা প্রযোজ্য, কর্তৃক বীমা চুক্তি পাওয়ার চেষ্টা বা আলোচনা করার জন্য উক্ত যোগ্যতায় ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া থাকিলে ঐ ব্যক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের জন্য বীমাকারীর এজেন্ট হিসাবে গণ্য হইবেন এবং বীমা পলিসি গ্রাহকের ঝুঁকি গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে উক্ত ব্যক্তির জ্ঞাত সকল বিষয় বীমাকারীর জ্ঞাত বিষয় বলিয়া গণ্য হইবে৷ 



(২) এইরূপ কোন ব্যক্তি এজেন্ট হিসাবে কোন বিবৃতি প্রদান করিলে বা কোন কাজ করিলে চুক্তি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে উক্ত বিবৃতি বা কাজ ধারা ১৪৫ বা অন্য কোন বিধান লংঘন সত্ত্বেও বীমাকারী কর্তৃক প্রদত্ত বা কৃত বলিয়া গণ্য হইবে৷ 



(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না, যথাঃ- 



(ক) যেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি এবং প্রস্তাবিত বীমা পলিসি গ্রাহকের মধ্যে বীমা চুক্তি সম্পাদনে যোগসাজস বা প্রশ্রয় থাকে; 



(খ) যেইক্ষেত্রে এইরূপ ব্যক্তি এখন আর এজেন্ট নহেন এবং বীমাকারী সম্ভাব্য বীমা পলিসি গ্রাহক এবং সর্বসাধারণকে উক্ত ব্যক্তির এজেন্ট না থাকার বিষয়ে অবহিত করার জন্য সকল যুক্তি সংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে৷
   
   
 
কোম্পানী আইন এর বিধানসমূহের সংরক্ষণ
১৫১৷ এই আইনে সুনির্দিষ্টরূপে বিধান করা হয় নাই এইরূপ বিষয়ে তৃতীয় অধ্যায়ে কোম্পানী হিসাবে সংজ্ঞায়িত কোন বীমাকারী অথবা মিউচ্যুয়াল বীমা কোম্পানী অথবা সমবায় বীমা সমিতি কোম্পানী আইন এর বিধান পরিপালনে এই আইনের বিধান কোন প্রভাব বিস্তার করিবে না৷
   
   
 
প্রকাশিত প্রসপেক্টাস ইত্যাদি পরিদর্শন এবং অনুলিপি সরবরাহ
১৫২৷ বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদানপূর্বক যে কোন ব্যক্তি ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (জ) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত দলিলাদি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত হারে অগ্রিম ফি প্রদান করত উক্তরূপ দলিলের অনুলিপি বা উহার অংশবিশেষ পাইতে পারিবেন৷
   
   
 
এই আইনের অধীন জমাকৃত সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য নির্ধারণ
১৫৩৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত সিকিউরিটিজের জমা প্রদানের তারিখে বাজার মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হইবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
   
   
 
উপদেষ্টা কমিটি
১৫৪৷ কর্তৃপক্ষ, সরকারের সহিত আলোচনা সাপেক্ষে, এই আইনের অধীনে তাহার দায়িত্ব পালনে পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করিবে এবং উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে৷
   
   
 
নীট প্রিমিয়াম আয়ের উপর কর ধার্যকরণ
১৫৫৷ সরকার, সময়ে সময়ে, সরকারী গেজেটে আদেশ দ্বারা, প্রত্যেক বীমাকারীর বার্ষিক নীট প্রিমিয়াম আয়ের উপর কর ধার্য ও সংগ্রহ করিতে পারিবে এবং এই কর হার বার্ষিক নীট প্রিমিয়ামের শতকরা অর্ধ ভাগের অধিক হইবে না৷
   
   
 
বীমা পলিসি গ্রাহকদের নিরাপত্তা তহবিল, ইত্যাদি
১৫৬। (১) কর্তৃপক্ষ “লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহক নিরাপত্তা তহবিল’’ নামে একটি তহবিল গঠন করিবে। সরকারের সহিত আলোচনাক্রমে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়রত বীমাকারীদের নিকট হইতে ধার্যকৃত লেভি হইতে আদায়কৃত অর্থ এই তহবিলে জমা হইবে।

(২) তহবিলে জমাকৃত অর্থ লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের সাধারণ নিরাপত্তার জন্য এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে। 

(৩) তহবিলে রক্ষিত এইরূপ অর্থ যাহা উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহৃত হইবে না তাহা কর্তৃপক্ষ এইরূপ দক্ষভাবে বিনিয়োগ করিবে যাহাতে সর্বোচ্চ আয় অর্জিত হয় এবং বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে।
   
   
 
পরিসংখ্যান
১৫৭।(১) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময় অন্তর বীমা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিসংখ্যান ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করিবে এবং অনুরূপ তথ্য সংগ্রহ এবং বীমা সংশ্লিষ্ট বা বীমা বহির্ভূত বিষয়ে উহার ব্যবহারের নিয়মাবলী এই ধারার অধীন প্রণীত প্রবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন প্রণীত প্রবিধানে বীমাকারী, বীমা ব্রোকার এবং জরিপকারী কর্তৃক, নির্ধারিত ছকে, যে কোন নির্ধারিত তথ্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।

(৩) কর্তৃপক্ষ বা তাহার পক্ষে সংগৃহীত অনুরূপ তথ্য এই ধারার বলে এইরূপভাবে প্রকাশ করা হইবে না যাহাতে কোন ব্যক্তিবিশেষের কার্যকলাপ প্রকাশিত হয়।
   
   
 
গোপনীয়তা
১৫৮। এই আইনের উদ্দেশ্য এবং এই আইনের অধীন কোন ফৌজদারী কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে এই আইনের অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নিযুক্ত কোন ব্যক্তি তাহার দায়িত্ব পালনকালে সংগৃহীত কোন ব্যবসা বা বীমা অংশগ্রহণকারী কোন ব্যক্তির কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য এই আইনের অধীন প্রকাশিতব্য না হইলে প্রকাশ করিবেন না।
   
    
আইনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ
১৫৯।(১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, অনধিক ২(দুই) বৎসরের মধ্যে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ  (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে৷

(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে৷
   
   
সপ্তম অধ্যায়
রহিতকরণ ও হেফাজত
 
রহিতকরণ ও হেফাজত
১৬০৷ (১)  Insurance Act, 1938 (Act IV of 1938), অতঃপর রহিত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদদ্বারা রহিত করা হইল৷ 

(২) উক্তরূপ রহিত হওয়া সত্ত্বেও রহিত আইনের অধীন -

(ক) জীবন বীমা ব্যবসা বা সাধারণ বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবন্ধিত বীমাকারী বা কোম্পানী বা সমিতি এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিবন্ধন সনদপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়া অথবা এই আইন প্রবর্তনের ৬ (ছয়) মাস উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটে, যথাক্রমে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা এবং নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে নিবন্ধিত বীমাকারী বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) লাইসেন্সপ্রাপ্ত বীমা এজেন্ট এবং সনদপ্রাপ্ত বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী যে কোন ব্যক্তি এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত বীমা এজেন্ট এবং সনদপ্রাপ্ত বীমা এজেন্ট নিয়োগকারী বলিয়া গণ্য হইবেন;

(গ) প্রধান বীমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ সনদপত্রধারী প্রত্যেক বীমা জরিপকারী, মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, এই আইনের অধীন বীমা জরিপকারী হিসাবে গণ্য হইবেন;

(ঘ) প্রধান বীমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মামলা বা সূচীত অন্য কোন আইনগত কার্যধারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা উহার বিরূদ্ধে দায়েরকৃত বা সূচীত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;

(ঙ) প্রধান বীমা নিয়ন্ত্রকের অনুকূলে বা বিপক্ষে কোন আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য সংস্থা কর্তৃক কোন কার্যক্রম, বিষয় বা মামলায় প্রদত্ত যে কোন রায়, আদেশ বা পুরষ্কার এই আইন প্রবর্তনের তারিখে অব্যাহত থাকিলে ঐ তারিখ হইতে উহা কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বা বিপক্ষে জারীকৃত বা সম্পাদিত রায় আদেশ বা পুরষ্কার হিসাবে গণ্য ইহবে এবং তদনুযায়ী কার্যকর ও অব্যাহত থাকিবে;

(চ) প্রধান বীমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক অনুমোদিত প্রিমিয়াম হার এই আইনের অধীন পুন:নির্ধারিত বা পরিবর্তিত বা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত, কার্যকর থাকিবে; এবং 

(ছ) প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধান, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এবং রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷ 

 
১ উপ-ধারা (৪) ও (৫) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬৩ ধারাবলে সংযোজিত।


  সূত্রঃ 




সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top