ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগ দূরে রাখার ৭টি নিয়ম
১. কফি খাওয়ার মাত্রা কমাতে হবেঃ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন রয়েছে এমন পানীয় বেশি মাত্রায় খেলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বাড়তে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের জানা আছে মিষ্টি মানেই অতিরিক্তি ক্যালরি। আর অতিরিক্তি ক্যালরি মানেই ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।২. প্রতিদিন ডাল খেতে হবেঃ এই ধরনের খাবার হল প্রোটিন সমৃদ্ধ। সুতরাং লাঞ্চে বা ডিনারে এক বাটি করে ডাল খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। আর পেট ভরা থাকলে বারে বারে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে। সেই সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজম বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবেঃ ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে প্রতিদিন অল্প-বিস্তর শরীরচর্চা করতেই হবে। না হলে কিন্তু ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একেবারেই সম্ভব হবে না। তবে একান্তই যদি এক্সারসাইজ করার সময় করে উঠতে না পারেন, তাহলে নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক উপকারিতাও।৪. পুর্ণ শস্যজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবেঃ প্রসেসড সিরিয়ালের পরিবর্তে খাওয়া শুরু করুন বাজরা, রাগি এবং জোয়ারের মতো খাবার। যত বেশি করে এমন ধরনের খাবার খাবেন, তত শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমবে। সেই সঙ্গে শরীরে ক্যালরি প্রবেশের মাত্রাও কমতে শুরু করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমবে।৫. খাওয়ার সময় টিভি দেখা চলবে নাঃ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে খাওয়ার সময় টিভি দেখলে নিজের অজান্তেই বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়া হয়ে যায়। আর এমনটা হতে থাকলে ওজন বৃদ্ধি পেতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য! প্রসঙ্গত, খেতে খেতে মোবাইল ঘাঁটলেও একই ঘটনা ঘটে। তাই বিষয়টি মাথায় রাখাও একান্ত প্রয়োজন।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
সাম্প্রতিক মন্তব্য